-
ঘুরে এলাম ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে ~
বালি শহর ছাড়িয়ে সেদিন
আমাদের ছোট দলটি নিয়ে-
ভ্যান গাড়ীটি সর্পিল পথ বেয়ে
আকাশের কাছাকাছি পৌঁছে গেল ।
গাড়ী থেকে নামলাম সবাই একে একে।
অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখি
সামনে অদূরে দাঁড়ানো ভলক্যানো।
অসংখ্য ক্যামেরার শাটারে ক্লিক ক্লিক করে
বন্দী হচ্ছে আপাত নৈসর্গিক দৃশ্যটুকু।
চকিতে সম্বিত ফিরে পেয়ে আমি
ঠাঁই দাঁড়িয়ে রই ভিউ পয়েন্টে।
দুরন্ত হাওয়ায় উড়ন্ত মেঘের সাথে সাথে
আমিও হয়ে যাই বড্ড এলোমেলো ।
ট্যুর গাইড থেমে থেমে
তার বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে-
শেষ কবে অগ্নুৎপাত হয়েছিল,
ভলক্যানোর জ্বলন্ত গলিত লাভায়
চারপাশ পুড়ে কালচে হয়ে আছে এখনো।
দলের মাঝে কেউ কেউ বলাবলি করছিল;
ঘুমন্ত পাহাড়ের নিদ্রা ভঙ্গের দিন নাকি আসন্ন।
আমি একটু তফাতে থাকায় গাইডের সব কথা
অত ভাল করে পাচ্ছিলাম না শুনতে।
ভূ-বিজ্ঞানের হিসাব নিকাশে
আমি খুব বেশী রকমের আনাড়ী।
আমার অভিধানে আজ ভূ-গর্ভে
গলিত লাভার রসায়ন ঝাপসা হয়ে গেছে।
ক্ষয়িষ্ণু মানবতার ক্রম অধঃপতনের ত্বরণে
নীরব স্বাক্ষী হয়ে নিঃশব্দে ভলক্যানো ঘুমিয়ে।
মহাজাগতিক ইশারায় দুলে উঠবে প্রকৃতি
আচমকা আবার জেগে উঠবে সুপ্ত পাহাড়টি !
প্রচন্ড আক্রোশে তছনছ করে দিবে চারিধার...
আমার মনটা খচ্খচ্ করছিল;
ক্রমশঃ মোহাবিষ্ট হয়ে পড়ছিলাম।
কেবলই ছুটে যেতে মন চাইছিল
ঐ পাহাড়ের খুব কাছে।
কান পাতলেই যেন শুনতে পাবো
আহত এক পাহাড়ের কান্না।
একান্ত চিত্তে নিজ হাতে
মাটির বুক চিরে চিরে দেখব-
অভিমানী ঐ ভলক্যনোর বুকে
এখনো কত জল আছে লুকানো!!
ছবিঃ অ্যালবাম থেকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।