আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসিনার সামনে ২টি পথঃযুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা,না হয় নিজেকে বিচারের সামনে দাঁড় করানো

ব্যস্ত শহর ঠাঁস বুনটের ভিরে আজো কিছু মানুষ স্বপ্ন খুজে ফিরে........

"আওয়ামীলীগ যখন বিরুধি দলে যায় তখন সবাইকে নিয়ে যায়,আর সরকারে গেলে একাই যায়.." "হাসিনা'স টাং ইজ দ্যা ওরেস্ট এনিমি অফ আওয়ামীলীগ" এই ২টি বাক্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছা জনতার বিজয়কে। যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে আমাদের সংগ্রামের প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছি মাত্র। মুজাহিদ মাত্র ১ হাজার ভোটের জন্য জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন। পরাজিত হয়েছে অন্য সকল জামাত পন্থি যুদ্ধাপরাধি। হয়ত আমাদের ব্যার্থতার জন্যই সাকা চৌ এর মত যুদ্ধাপরাধী জয়ি হয়ে গেছে ১ আসনে।

কথা গুলি হয়ত অগোছালো মনে হচ্ছে। এখন ধাপে ধাপে আসছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারঃ যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে আমাদের সংগ্রাম কে আওয়ামীলীগের প্রাচারনা বলে অনেকেই চালাতে চেয়েছেন। এটা মানি এই প্রচারণার ফসল আওয়ামীলীগের ঘরেই গেছে। আওয়ামীলীগের একটা কথা মনে রাখতে হবে,তরুন প্রজন্ম যারা এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রত্যাশা করে নৌকাতে হাওয়া দিয়েছে তাদের সেই প্রত্যাশা পুর্ণ না করলে সামনের নির্বাচনে হাসিনাকেই কাঠ গড়াতে দাড়াতে হবে।

এটা যদি হাসিনা মনে করে এই ইস্যু বাঁচিইয়ে রাখলে প্রতিবার সুফল ভালো হবে তবে সেটা হবে ভবিষ্যতের ইতিহাসের সব চেয়ে বড় ভুল। আমার প্রত্যাশা থাকবে এই ব্যাপারে তাড়াহুড়া করা ঠিক হবে না,বরং যে সকল দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে সে সকল দেশের সাথে যোগাযোগ করে পদ্ধতি ঠিক করে তার পর সামনে আগানো উচিত। আইনের সকল ফাঁক বন্ধ করেই সামনে আগাতে হবে। তবে এই কাজ এখনি শুরু করে যেন আগামী ৫ বছরের মাঝে শেষ করা যায় সেই কর্ম পন্থা ঠিক করতে হবে। মন্ত্রীপরিষদঃ জানি এখনো আমরা সেই পর্যায়ে পৌছায় নাই যে সোনিয়া গান্ধির মত প্রধাণ মন্ত্রীত্ব ছেড়ে কেবল দলীয় প্রধানের ভুমিকা পালন করার মত নজির এদেশে আমরা দেখতে পাব।

তার পরেও প্রত্যাশা থাকবে শেখ পরিবারের কাওকে যেন মন্ত্রীত্ব প্রদান না করেন হাসিনা। কারন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে না পারলে পরিণতি কি হবে তা ইতিহাস থেকেই জানা যায়। আর এবার কয়েক ডজনের বেশি যোগ্য সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন যারা মন্ত্রী পরিষদ গঠনের জন্য যথেষ্ট। এই মন্ত্রী পরিষদ কতটা দক্ষতার সাথে গঠন করতে পারল সেটাই প্রথম চেল্যাঞ্জ। এই পর্যন্ত যেখানেই এমন এক পেশে বিজয় হয়েছে তার ফলাফল কিন্তু করুন হয়েছে,এর একটাই কারন।

ক্ষমতার ব্যাল্যান্স হারায়ি ফেলা। তাই এই বিজয় কে প্রকৃত জনতার বিজয় করার জন্য আওয়ামীলীগ কে প্রথম থেকেই সাবধান থাকতে হবে। হাসিনাকে মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু যা সমাপ্ত করে যেতে পারেনি তা সম্পুর্ণ করার শেষ সুযোগ উনার হাতে। ২০০৮ সালের শেষ দিনে সমগ্র জাতির মত একই প্রত্যাশা,২০০৯ সালে একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতেচাই,যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি সমাধানের কাজ শুরু হয়ে যাবে। গরিব মানুষ গুলি সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনতার অর্থ খুঁজে পাবে।

সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.