হেলেন ল্যাম্ব। স্কটিশ সাহিত্যিকÑ গল্পকার ও কবি। বইÑ সুুপিরিয়র বেডশিটস ও স্ট্রেঞ্জ ফিশ। প্রথমটি গল্পের আর পরেরটি কবিতার। হেলেন ল্যাম্বের সঙ্গে মানে তার বইয়ের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে ফুলার রোডের ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরিতে।
স্কটিশ সাহিত্য তেমন পড়া হয়নি, সেভাবেই সুপিরিয়র বেডশিটস বইটি পড়তে নেই। বইটি যে ভালো লেগে গেল তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাই দুটো গল্প অনুবাদের মধ্য দিয়ে। তারপর অনেকদিন কেটে গেছেÑ দু’বছর। একদিন মনে হলো ইন্টারনেটে হেলেন ল্যাম্ব সার্চ দিয়ে একটু খুঁজে দেখি না, কিছু পাওয়া যায় কি না। কিছু তো পেলাম বটেই এবং তার ই-মেইল অ্যাড্রেসও পাওয়া গেল।
করলাম ই-মেইলÑ সবকিছু বিস্তারিত জানিয়ে, তার গল্পের অনুবাদ নিয়ে। তিনি হতবাক, দারুণ খুশি। জানালেন এর আগে হাঙ্গেরি ভাষায় তার গল্পের অনুবাদ হয়েছিল। তখন থেকে হেলেন ল্যাম্বের সঙ্গে মাঝে মধ্যে যোগাযোগ। তিনি এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটিতে ক্রিয়েটিভ রাইটিং পড়ান।
নিজে পড়াশোনা করেছেন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কটিশ ইতিহাস ও সাহিত্য নিয়ে। দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্বামী নিয়ে তার সংসার। তার সাহিত্যিক পরিচয়টা নিয়ে বলা যাক : হেলেন ল্যাম্বের প্রথম বই স্ট্রেঞ্জ ফিশ, বের হয় ১৯৯৭ সালে। এর আগেই তার লেখা বিভিন্ন সাহিত্য ম্যাগাজিন ও সংকলনে ছাপা হয়েছে। তার অনেক গল্পই ‘রেডিও ফোর’-এ পঠিত হয়েছে।
তিনি ২০০০ সালে ‘সানডে উইমেন শর্ট-স্টোরি প্রাইজ’ লাভ করেন। এ বছর স্কটিশ পোয়েট্রি লাইব্রেরি কবি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি তার প্রথম উপন্যাস নিয়ে কাজ করছেন।
হেলেন ল্যাম্বের প্রিয় লেখক ফেনারি ও’কনার ও রেমন্ড কার্ভার। দুজনেই আমেরিকান সাহিত্যিক।
হেলেন ল্যাম্বকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এই যে আপনি ক্রিয়েটিভ রাইটিং পড়ান, এতে করে কি সাহিত্যিক তৈরি করা যায়? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, প্রশ্নটা মাঝে মধ্যে আমি নিজেকেই করি। আসলে এইসব কোর্স করিয়ে কাউকে সাহিত্যিক বানানো যায় না। বড়জোড় শিল্পকৌশলটা শেখানো যায়, তবে শিল্পটা ভেতরে থাকতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।