আমি বলছি যাব যাব, ঘর বলছে না; অবাধ্য সেই দুয়ার আমার, আটকে রাখে পা...
'না ভোট' দিয়ে এলাম। ভোট দেয়ার নিয়মকানুন জানা ছিলো না। অভিজ্ঞতা তাই ভয়াবহ। পুরুষদের তিন ভোটরুমের ২ রুমে খা খা অবস্থা। আমার সিরিয়ালের রুমেই কিনা সারা বাংলাদেশ! বিশাল লাইন টপকে যখন ভোটরুমে ঢু মারলাম তখনই বিরাট লাইনের তথ্য ফাঁস! এরা এতো অদক্ষ! ভোটারের ভোটার নং মিলিয়ে দেখছে এক বুড়ো মহিলা! এখানে মহিলা কেনো? ভাবলাম মজা করা যাক! ন্যাশনাল কার্ড ধরিয়ে দিলাম।
আফিসার (এরা নাকি অফিসার) আমার দিকে তাকিয়ে বলে- স্লিপ কোথায়?
- নাই
- তাহলেতো ভোট দেয়া যাবেনা
- কেনো যাবেনা? আমার কাছে ন্যাশনাল আইডি কার্ড আছে।
- এটা দিয়েতো হবেনা
- তাহলে এটা করার দরকার কি ছিলো?
পাশের অবিচার (অফিচার) বলে, এতো তর্ক করা যাবেনা। নিচে নেমে ভোটার নম্বর বের করে আনেন।
উত্তর শুনে প্রচন্ডরকম হতাশ আমি। ফাকরু তুমি দীর্ঘজীবি হউ।
ভাগ্যিস নৌকা মার্কার একটা স্লিপ এনেছিলাম। ব্যাকআপ!
- এটা আগে দেন নাই কেনো?
- প্রয়োজন মনে করিনাই। আর আপনারা এতো স্লো কেনো? অন্য দুই রুমেতো কোনো লোকজনই নাই।
- ঐ দুরুমের ভোটার কম।
- ভোটার কম কেন? সবরুমেতো সমান ভোটার থাকার কথা!
আর কিছু বলতে পারলাম না।
দেখলাম আমার স্লিপ নিয়ে তিনি সুডুকো খেলতে শুরু করেছেন। খুঁজে আর পান না। অবশেষে... মিনিট পাঁচেক পর ভোট দিয়ে বেরিয়ে এলাম।
যে কারনে 'না ভোট' দিলাম-
১. আমি স্বাধিন বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে অনেক চিন্তা ভাবনা করে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাইনি।
২. মুক্তিযুদ্ধের গর্ব বুকে নিয়ে একজন সচেতন বাঙালী হিসাবে আমি দুর্নীতি, সন্ত্রাস, স্বৈরাচার আর যুদ্ধাপরাধী নিয়ে জোট গড়া কোনো দলকে ভোট দিতে পারিনা।
৩. জীবনের প্রথম ভোটের জন্য সারাজীবন আপসোস করতে চাইনা।
'না ভোট' আমার কাছে এক প্রতিবাদমুখী অস্ত্রের নাম। এই অস্ত্র সাধারণ জনগণের। এই অস্ত্র অসৎ রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতায় বসা থেকে বিরত রাখতে পারে। এই অস্ত্র একজন অসৎ রাষ্ট্রপ্রধানকে ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহিত করতে পারে।
'না ভোট' তাই একটি প্রতিবাদমুখী দিগন্তের নাম। জনগণের মুক্তির গান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।