আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোটপ্রদানের খুটিনাটি পর্যবেক্ষণ

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

ভোটকেন্দ্রে ঠিক ৮টার সময় গিয়ে ৮/৯ জনের পিছনে পড়তে হলো। লাইনটা আমার বুথের সামনে। আমার কেন্দ্রে এমন ৫টা বুথ আছে। বুথ খুঁজে পাবার জন্য ভোটকেন্দ্রের দেয়ালে সাটানো হাতে লেখা এবং কম্পিউটারে প্রিন্টেড কাগজ দেখতে হবে, সেখানে উল্লেখ করা থাকে নিদৃষ্ট একটা সিরিয়াল থেকে নিদৃষ্ট একটা পরিমাণের মধ্যে যাদের ভোটার নং তাদের বুথ নম্বর। তবে এই ভোটার সিরিয়াল/ক্রমিক নম্বর আপনার যে বারো ডিজিটের ভোটার নম্বর রয়েছে তা নয়।

আপনার ভোটার এলাকার ভোটার লিস্টে আপনি যত নম্বর সিরিয়ালে/ক্রমিকে আছেন এটা সে নম্বর। এই নম্বরটি আপনাকে বিভিন্ন দলের কর্মীরা খুঁজে তাদের ছোট্ট চিরকুটে লিখে দিতে পারে। অথবা ওয়েব থেকে আপনার ভোটার নম্বর খুঁজে সেখান থেকেও ক্রমিক নম্বরটা জেনে নিয়ে যেতে পারেন। তবে আবারো উল্লেখ করছি যে ভোটার নম্বর ও ভোটার সিরিয়াল/ক্রমিক নং একই সংখ্যা নহে। এবং ভোটকেন্দ্রে আপনার জন্য নির্ধারিত বুথটি সহজে খুঁজে পেতে ভোটার সিরিয়াল/ক্রমিক নম্বরটা জানা জরুরি।

বুথের অভ্যন্তরে তিন-শ্রেণীর লোকবল রয়েছে। প্রথমত যারা ভোট গ্রহণ করছেন। সরকার নিযুক্ত তিনজন পুলিং কর্মকর্তা। যারা ভোটার লিস্ট থেকে আপনাকে শনাক্ত করার কাজটি করবে। প্রথমজন ছবিসহ ভোটার লিস্ট নিয়ে বসে আছেন।

তিনি আপনাকে জিজ্ঞেস করবেন ক্রমিক নং, এবং এরপরে আপনার নামটা খুঁজে বের করে ছবির সাথে চেহারা মিলিয়ে টিক চিহ্ন দেবেন। তবে সাদাকালো ভোটার লিস্টে ছবির অবস্থা যাচ্ছেতাই। আমার নিজের ছবি দেখে আমি নিজেই চিনতে পারছিলাম না। দ্বিতীয়জন আপনার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলীর নখের গোড়ায় অমোচনীয় কালির আচড় কেটে দেবেন। তৃতীয়জন একটা ব্যালটের বাম পাশে আপনার সিরিয়াল নম্বর ও সাক্ষর রেখে ব্যালট অংশটি কেটে আপনাকে দিয়ে দেবে।

ছোট একটা সিল। সিলটাকে সিলপ‌্যাডে ঘসে নিতে ভুলবেন না। পর্দাযুক্ত একটা অংশে ব্যালটের উপরে সিলটা দিতে হবে। ব্যালটে প্রার্থীর নাম রয়েছে বাম পাশে আর মার্কা ডান পাশে। কোন দলেন নাম নেই, প্রার্থীর ছবিও নেই।

আপনাকে প্রার্থীর নাম ও মার্কা দেখে ভোট দিতে হবে। উপর থেকে নিচের দিকে সব প্রার্থীর নাম ও মার্কা। ধরুন প্রথমে "ক" দলের প্রার্থীর নাম এবং তারপরে মার্কা। এরপরে এই প্রার্থীকে পৃথক করার জন্য একটা সরল রেখা। অতপর "খ" প্রার্থীর নাম ও মার্কা।

প্রার্থীর নাম ও মার্কার মাঝখানে ক্ষুদ্র একটা স্পেস। সিলটি সেখানে অনায়েসে দেয়া যায়। তবে প্রার্থীর নাম, মার্কা যেখানে খুশী আপনি সিলটি দিতে পারেন। বুথের অভ্যন্তরে পুলিং এজেন্টরা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। পুলিং কর্মকর্তা যতজন ভোটারকে শনাক্ত করে ছারপত্র দেয় ততজনের হিসাব রাখা এই পুলিং এজেন্টদের কাজ।

এছাড়া রয়েছে পর্যবেক্ষক। তবে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল নিষিদ্ধ করা হলেও মোবাইল চেক করা হয়নি। যে কেউ অনায়েসে মোবাইল নিয়ে ভোট দিতে পারবে। ব্যালটে সিল মারার পরে একটা সেমি ট্রান্সপারেন্ট ব্যালেট বাক্সে সেটা ফেলতে হবে। পেপারটি এমনভাবে ভাজ করতে হবে যেন বাক্সে ফেলার সময় কেউ না দেখে ফেলে আপনি কাকে ভোট দিলেন।

অতপর আমি নৌকায় ভোট প্রদান করিয়া ঘরমুখী হইলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.