আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যোগ্যতা নয়, কর্মকর্তাদের ইচ্ছাই মুখ্য

টেনিসের মর্যাদার লড়াই হচ্ছে ডেভিস কাপ। এশিয়ার ১১টি দেশকে নিয়ে দুইদিন পরেই দুবাইয়ে শুরু হচ্ছে জমজমাট এই প্রতিযোগিতা। চার সদস্যের বাংলাদেশ দল আগামীকালই ঢাকা ত্যাগ করবে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, দেশের সেরা দুই খেলোয়াড়কে বাদ দিয়েই নাকি এবার দল গঠন করা হয়েছে। যোগ্যতা নয়, টেনিস ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের ইচ্ছাকেই মূখ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

চার সদস্যের দলে সুযোগ না পেয়ে হতাশ দেশের দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড় আলমগীর হোসেন ও চতুর্থ স্থানে থাকা দিপু লাল রায়। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আলমগীর হোসেন বলেন, '২০১২ সালের ডেভিস কাপের সময় আমিই ছিলাম সেরা তখনও কর্মকর্তারা ইচ্ছা করে আমাকে বাদ দিয়েছিল। আর এখন তো আমি দেশের দ্বিতীয় সেরা। গত বাংলাদেশ গেমসে আমি রানার্স আপ হয়েছি। রানারগ্রুপ টুর্নামেন্টেও আমি ফাইনাল খেলেছি।

তারপরেও আমাকে তারা বাদ দিয়েছে। টেনিসের কর্মকর্তারা আসলে দেশের ভালো চায় না। তাদের আচরণে আমি খুবই হতাশ। আমার আর বাংলাদেশেই থাকতে ইচ্ছে করছে না। ' ডেভিস কাপে খেলার সুযোগ না পেয়ে মর্মাহত আরেক খেলোয়াড় দিপু লাল রায়।

তিনি বলেন, 'আসলে আমি বুঝতে পেরেছি পারফরম্যান্স দেখিয়ে লাভ নেই, কর্মকর্তাদের ইচ্ছাই এখানে বড় কথা। ওদের যাকে ইচ্ছা হবে তাকে নিবেন। আবার যাকে ইচ্ছা হবে বাদ দিবেন। দেখার কেউ নেই। দেশের সম্মানের কথা কেউ ভাবে না।

' অভিমানে টেনিসই ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন তিনি, 'এভাবে চলতে থাকলে তো আর টেনিস এগিয়ে যাবে না। এখন যারা তরুণ আছে তারাও এক সময় হতাশ হবেন। আমার আর টেনিস খেলতেই ইচ্ছা করছে না। এখানে শুধুই অবহেলা, কোনো ভবিষ্যৎ নেই। '

ডেভিস কাপের বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাওয়া চার খেলোয়াড় হচ্ছে-অমল রায়, আনোয়ার হোসেন, জামিল ভুঁইয়া ও বিপ্লব রায়।

অমল রায় দেশের সেরা খেলোয়াড়, আনোয়ার হোসেন তৃতীয় সেরা। কিন্তু জামিল ভুঁইয়া ও বিপ্লব রায়ের সেরা চারে সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, 'ডেভিস কাপে খেলা আমার স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন ওরা ভেঙে দিয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, জামিল-বিপ্লবের বিরুদ্ধে আমি ১০০ বার খেললে ওরা ১০০ বারই হারবে।

তারপরেও সেই জামিল-বিপ্লবকে নিয়ে হাস্যকর এক দল গঠন করে দুবাই যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটা দেখে দেশের দ্বিতীয় সেরা খেলোয়াড় হিসেবে আমার তো আর ভালো লাগার কথা নয়। টেনিসের বর্তমান অবস্থা এমন- 'জোর যার মুল্লুক তার' পারফরম্যান্স কোনো ব্যাপারই নয়। ' দিপু লাল রায় বলেন, 'সব শেষ ম্যাচে আমি বিপ্লবকে ৬-৪, ৬-০ সেটে এবং জামিলকে ৬-২, ৬-০ সেটে হারিয়েছি। ওরা দুইজন তো সেরা দশেও নেই।

এসব আর ভাবতে ইচ্ছা করছে না। '

এদিকে আলমগীর ও দিপু লালকে ইচ্ছা করে বাদ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টেনিসের কোচ শেখ মঈনউদ্দীন ওয়ালিউল্লাহ জিলান। তিনি বলেন, 'আমরা কোনো খেলোয়াড়কে উপেক্ষা করিনি। সম্ভাব্য ভালো দলটাই বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আলমগীর এবং দিপু লালকে জানিয়েছিলাম।

তারা খেলতে চায়নি। তাছাড়া টেনিস খেলায় বয়স একটা বড় ব্যাপার। সেদিক চিন্তা করেই আমরা জামিল ও বিপ্লবের মতো তরুণ খেলোয়াড়কে সুযোগ দিয়েছি। দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এমন দল গঠন করা হয়েছে। আমি আশা করছি এই দল নিয়েই আমরা ভালো করব।

আমাদের লক্ষ্য গ্রুপ-৪ থেকে গ্রুপ-৩তে ওঠা। ' অন্যদিকে আলমগীর ও দীপু লাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, 'যে দল নিয়ে দুবাই যাওয়া হচ্ছে এই দলকে আমরা সুযোগ না পাওয়া খেলোয়াড়রা অনায়াসেই হারাতে পারব। সেই দল নিয়ে কিভাবে ভালো করা সম্ভব!'

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.