মঙ্গলগ্রহে কোন প্রাণীর বসবাস থাকতে পারে না, কারণ-
১। লোয়েলের মতে মঙ্গলগ্রহের গড় তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে। এত কম তাপমাত্রায় কোন প্রাণীর বাস অসম্ভব।
২। উন্নতমানের টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা ছবিগুলো দেখার পরও জ্যোতির্বিদরা মঙ্গলে খালগুলো খুঁজে পাননি।
৩। ভাইকিং খেয়াজানের গবেষণায় জানা যায় যে, শীতল তাপমাত্রা, তরল পাণীয়র অভাবে এ গ্রহে পরিবেশ জীব থাকা অসম্ভব।
৪। মঙ্গলের ঝড়ের ধূলির কুণ্ডলী কয়েক হাজার ফুট পর্যনত্দ উঠে যায় এবং তীব্র বেগে ঘুরতে থাকে। তাছাড়া এ ঘূর্ণিঝড় কয়েক মাস পর্যনত্দ স্থায়ী থাকে।
তাই বিজ্ঞানীরা স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন তুলেছেন যে, মঙ্গলগ্রহে দীর্ঘ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ঘটে, তাহলে মানুষ সেখানে দৈনন্দিন জীবন কিভাবে পরিচালনা করবেন, আবার এ ধারণাও করা যায় যে, ৪০০ কোটি বছর আগে যদিও কোন প্রাণী থাকতো তবে তারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। ২০০৫ সালের ১৯ আগস্ট মঙ্গলগ্রহে অবস্থানরত 'স্পিরিট'-এর ক্যামেরায় বিশাল ঘূর্ণিঝড়ের দৃশ্য দেখা গেছে। ছবি দেখে বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, বসনত্দকাল শুরম্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলগ্রহে বাতাসের গতি প্রচন্ডভাবে বাড়তে থাকে।
৫। ম্যারিনা নভোযানটি মঙ্গলগ্রহের পাস দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানটায় কোন নাইট্রোজেন গ্যাসের সন্ধান পায়নি।
কিন্তু নাইট্রোজেন গ্যাস পৃথিবীর জীবনসমূহের একটি মূল্যবান উপাদান। তাই নাইট্রোজেনের অভাবে মঙ্গলগ্রহে জীবন অসম্ভব।
৬। আবার মঙ্গলগ্রহের তিন বছরের যাত্রায় যে সমস্যাগুলি দেখা দিবে তাহলো বিকিরণ, অনিদ্রা, নভোচারীর মাংসপেশী ও হাড় দুর্বলতা। দুর্বল হবে ইমিউন ব্যবস্থা।
এমন দুর্বলতা নিয়ে কোন নভোচারী মঙ্গলে নামলে তার ধকল কি সহ্য করতে পারবে?
৭। তাছাড়া মঙ্গলগ্রহের বড় সমস্যা জ্বালানি সমস্যা। জ্বালানির সাশ্রয় হতে পারে যদি পৃথিবী ও মঙ্গলগ্রহের পথটি সংৰিপ্ত হয়। আর এ সংৰিপ্ত পথটি হবে যখন পৃথিবী ও মঙ্গল প্রতি ২৬ মাস অনত্দর একই এলাইনমেন্টে এসে দাঁড়ায়। আবার পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে বেতার মারফত যোগাযোগ ৪০ মিনিট লাগবে।
অর্থাৎ পৃথিবীতে কোন বার্তা পাঠিয়ে সেই বার্তার জবাব পেতে সময় লাগবে ৪০ মিনিট।
৮। পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা ৬০ বছর যাবৎ গবেষণা করে এ সত্যে উপনীত হয়েছেন যে, মঙ্গলগ্রহে কোন বুদ্ধিমান জীব ছিল না, শুধু আছে ঘন সবুজ অঞ্চল কৃত্রিম খাল ও শেওলা জাতীয় উদ্ভিত। এটাও আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে যখন পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরে গিয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে গ্রহটাকে পর্যবেৰণ করা যাবে।
উপরোক্ত সমস্যাগুলো এড়ানো গেলে মঙ্গলগ্রহে বসবাস সম্ভব হবে।
তবে আদৌ সম্ভব হবে কি? মঙ্গলগ্রহ মানুষের ভাবনায় অমঙ্গল বয়ে আনবে কি?
সূত্রঃ সংগ্রহিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।