আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নোবিপ্রবির প্রক্টরের পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আন্দোলন স্থগিত করে তালা খুলে দেয়ার পর শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক মো. মমিনুল হক।
মমিনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক মাসের মধ্যে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছে। ”
তিনদফা দাবিতে এপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা সকাল ১১টার দিকে ভবনে তালা লাগিয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ রাখা হয় তাদের।


এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এর আগে সোমবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে একাডেমিক ভবনেও তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবি হলো- এপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সব ব্যাচের এসিসিই অনার্স ডিগ্রিকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিতে রূপান্তর, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সমৃদ্ধ ল্যাব সুবিধা নিশ্চিত করা।
এসব দাবিতে গত ২ মে থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা।


এদিকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার আন্দোলন চলাকালে ভেতর থেকে শিক্ষক-কর্মকর্তারা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় পাঁচ শিক্ষার্র্থী আহত হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রক্টর জাহাঙ্গীর সরকার পাল্টা অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীরাই তাদের দিকে ইট নিক্ষেপ করছে।
এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফার সঙ্গে প্রক্টরের পদত্যাগের বিষয়টিও যুক্ত করেন।
নিবন্ধক জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতেই প্রক্টর জাহাঙ্গীর সরকার পদত্যাগ করেছেন।


আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, এসিসিই বিভাগে বিভিন্ন ব্যাচে বর্তমানে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
প্রায় একই পাঠ্যক্রম হওয়া সত্বেও শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এই বিভাগের এসিসিই অনার্স ডিগ্রিকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিতে রূপান্তর করা হয়নি।
এ কারণে ইতোমধ্যে যেসব শিক্ষার্থী চার বছর মেয়াদী ডিগ্রি সম্পন্ন করেছে কর্মক্ষেত্রে তাদের নানা প্রতিকূলতা ও বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে।
গত আট বছরে বিভাগটিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো শিক্ষক নিয়োগ না দেয়ায় পাঠদানেও শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
অন্যদিকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সমৃদ্ধ ল্যাব সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীরা সবদিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ছে।


এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বার বার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো ফল না পেয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।