ফোঁটায় ফোঁটায় জহর আমি জমা করে রাখি তোর নাম করে বুড়ি জপি নতুন রুবাই ।
ক.
ঘুমোতে ঘুমোতে যারা যায় আর ঘুমোতে ঘুমোতে আসে তারা ভ্রমণে হাই তোলে- ধুৎ! বিরক্তিকর, বলে- 'বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ তর্কে বহুদূর'। আমি তো দেখতে দেখতে যাই আর দেখতে দেখতে আসি ফলে কৃষ্ণে মন নেই। মন পড়ে আছে দুধবালিকার ঘরে।
ভ্রমণে ক্লান্তি নেই তর্কে তর্কে উঠে পড়ি দূরগামী ট্রেনে।
খ.
'ও আমার দেশের মেয়ে তোমার প'রে ঠেকাই মাথা'- পাশ থেকে এমন একটি সুর গুনগুনিয়ে উঠলে মুহূর্তেই সমস্ত ক্লাশ ফাঁকা হয়ে যায়। তখন কী করে বুঝাই অর্ধ-শিক্ষিত অধ্যাপিকার বকবকানি শুনার চেয়ে ছাত্রী হস্টেলের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে টাঙ্কি মারা কত পুণ্যময় আর রিয়েলিস্টিক।
বাৎস্যায়ন জেনেছি আমি জনমের দোষে তাই থোড়াই কেয়ার ঐ অধ্যাপিকা- গুরুজনে ভক্তি নেই, চোখ বিঁধে আছে সহপাঠিনীর স্তনে।
গ.
বাতি নিভিয়ে দিলে সব অন্ধকার। শাদা-কালো সমান।
অন্ধই কেবল চোখে দেখে তখন। পৃথিবীতে কেবল হোমারই আলো আর অন্ধকারে সমান জ্যোতির্ময়। মুখভরা গাল নিয়ে যারা বসে আছো তারা অধ্যাপিকা ভালো। আলোতে আরো ভালো। আরো ভালো চন্দ্রের সমাজ।
চোখে আমার গ্রহণ লেগেছে বড়, মূর্খতর, সাজিয়াছি আদিম সূঁচকুমার...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।