আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই ব্যাপারে আমি কিছুটা অহংকারী



আমাকে যখন কেউ দেশ নিয়ে জিজ্ঞাসা করে আমি একটু ডিটেইল বলার চেষ্টা করি। যেমন ইন্ডিয়ার পাশে একটা ছোট দেশ। আমেরিকার একটা রাজ্যের চেয়ে ছোট, কিন্ত জনসংখ্যা আমেরিকার প্রায় আর্ধেক। লোকজনের চোখ বড় হয়ে যায়। আমি বলি এত লোক ভাল লাগে না আমার।

তারপর, একটু ভুগোল মেরে দেই। যে আমরা একটা ইউনিক ল্যান্ড, কারন আমরা পৃথিবীর বৃহত্তম ডেল্টা ( ব-দ্বীপ) , আমাদের দেশে শত শত নদী, আমরা আসমুদ্রহিমাচল মানে হিমালয় থেকে সমুদ্র পর্যন্ত পুরো সমতলটাই আমাদের দেশ। এরপর শুরু হয় ইতিহাস যে কিভাবে ভারত ভাগ হয়ে দুইটা রাষ্ট্র হয়েছিলো। আমরা ছিলাম পাকিস্তানের মেজোরিটি, কিন্তু পাকিস্তানের যম পান্জাবী আর্মি কিভাবে আমাদের দাবিয়ে রাখতো, শোষন করার চেষ্টা করতো। আমরা খুবই শান্তি প্রিয় জাতি হলেও কিভাবে আমরা মাতৃভাষার অধিকার আদায় করেছি লড়াই করে, রক্ত দিয়ে।

তারপর জানিয়ে দেই সেই ২১ ফেব্রোয়ারী এখন জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যদিও খুবই বিনয়ের সাথে বলার চেষ্টা করি কিন্তু আমার চেহারায় তখন এমন একটা গর্ব ফুটে উঠে যা শ্রোতার হাসি দেখলে বোঝা যায়। তারা হেসে বলে তুমি এসব কথা বলতে খুব আনন্দ পাও তাই না? তারপর বলি পাকিস্তানিরা আসলেই হিংস্র জাতি, এটা প্রমাণ করা লাগে না কারন তাদের বর্তমান কার্যক্রমে সবাই এটা জানে। আমি বলি কিভাবে হায়েনার দল নিরস্ত্র, ঘুমন্ত বাংগালীদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলো ২৫ মার্চের কালরাতে। কিন্তু তারা আসলে ঘুমন্ত বাঘকে জাগিয়ে দিয়েছিল।

তারপর আমরা মাত্র নয় মাসে ওদেরকে শিখিয়েছিলাম বাংগালীরা ক্ষেপলে কি হয়। ওরা ভাবতো পাকি আর্মি বিশ্ব সেরা। আবার তারা মার্কিন আর চীনাদের অস্ত্র আর মদদ পুস্ট ছিলো। কিন্তু আমরাও কুটনীতিতে কম নই । আমরাও যুদ্ধে বন্ধু যোগাড় করেছিলাম।

আমরা জয়ী হয়েছিলাম কুটনীতির লড়াই এ আর রনাংগনে। হানাদারেরা আত্নসমর্পন করেছিলো ৯ মাসের মধ্যে। আর এটা ছিলো ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পরে সবচেয়ে বড় বাহীনির সারেন্ডার। অতএব বুঝে দেখো আমরা কি। খারাপ লাগে যখন ভাবি আমাদের দেশের বর্তমান দুরবস্থার কথা তবে বিশ্বাস করি যে আমরা ভবিষ্যতে ভালো কিছু করে বিশ্বের বুকে আমাদের নাম প্রতিষ্ঠা করবো।

তখন পৃথিবী জানবে যে বাংলাদেশ নামের ছোট স্বাধীন দেশের গর্ব, অহংকার করার মত অনেক কিছুই আছে। কিন্তু ব্লগের কিছু লেখা পড়লে খুবই হতাশ হতে হয়, এরা এমন কিছু লেখে যা আমাদের গর্বের ইতিহাসকে বিতর্কিত করে। এদের যে কবে সুমতি হবে। আমাদের আরো অনেক বিজয় দরকার যাতে আমরা আরো বেশী বেশী গর্ব অহংকার করতে পারি। পাদটিকা: এই পোস্ট দিতে ইচ্ছা করলো মেহরাব নামের এক ব্লগারের বিজয় দিবস নিয়ে কটাক্ষ মুলক লেখা পড়ে।

আমি দুইটা কমেন্ট করলে আমাকে ব্লক করে দেয়। প্রথম কমেন্টে ভালোভাবে বুঝাইতে চেয়েছিলাম কিন্তু ২য় কমেন্টে ওকে তুই ছাড়া কথা বলতে পারি নাই। এদেরকে নিয়ে যে কি করা যায়, বুঝিনা।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।