মামা ভাগ্নে যেখানে আপদ নাই সেখানে । তার আগে জেনে নিন আমরা ভুলে যাই কেন। ভুলে যাওয়ার কারণের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো আমাদের নেতিবাচক প্রোগ্রামিং। আমরা মনে করি, আমরা মনে রাখতে পারবো না। দ্বিতীয়ত, আমরা মন দিয়ে জিনিসটি শিখি না এবং বার বার ঝালাই করি না।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, তথ্যগুলো পরবর্তীতে ব্যবহার না করলে যেকোনো পড়ার ১ দিনের মাথায়ই এর ৭৫% ভুলে যায় মানুষ। তৃতীয়ত, বিক্ষিপ্ত এবং অপ্রাসঙ্গিকভাবে শিখলে এবং টেনশন ও দুশ্চিন্তায় মন আচ্ছন্ন থাকলে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেশি হয়। আর আপনার ভুলে যাওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে যেভাবে আপনি শিখেছেন ঠিক সেভাবে মনে করতে না পারা। পরীক্ষার সময় প্রশ্ন একটু ভিন্নভাবে এলে আমাদের মনে করতে যে অসুবিধা হয় তা এ কারণেই।
অথচ আমাদের সবারই মনে রাখার ক্ষমতা সমান।
পার্থক্যটা হয় স্মৃতিকে চর্চা না করার ফলে। ব্রেনের এই মেমোরি ব্যাংকের কিন্তু কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। প্রতি সেকেন্ডে হাজার খানেক নতুন তথ্য গ্রহণের ক্ষমতা আছে এবং যত নতুন তথ্যই দেই না কেন সে কিন্তু ঠিকই এর জন্যে জায়গা করে দিচ্ছে।
এবার তাহলে জেনে নিন মনে রাখার ক্ষমতাকে আপনি কীভাবে বাড়াতে পারেন।
যা আপনি মনে রাখতে চান তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন বা পড়ুন।
একইসময় যদি একটা বিষয়েই মনোযোগ দেন তাহলে এটা সহজ হবে।
আর মনোযোগহীনতার একটা বড় কারণ হলো আগ্রহের অভাব। এজন্যে মনোযোগ অধ্যায়ে দেয়া আগ্রহের টিপসগুলো পড়ুন।
যে তথ্যগুলো মনে রাখতে চান সেগুলোকে নির্দিষ্ট করুন এবং শুধু তাতেই মনোযোগ দিন। যেমন, বইয়ের যে তথ্যগুলো আপনি নতুন দেখছেন বা কঠিন মনে হচ্ছে সেগুলোই হবে আপনার মনোযোগের বিষয়।
একটি বিষয়কে আপনি যত ভিন্ন দৃষ্টিকোণ এবং ব্যাখ্যা থেকে বুঝবেন তত এটি আপনার মনে রাখা সহজ হবে। পুরনো জানা তথ্যের সঙ্গে মিল-অমিল চিন্তা করে ভাববেন, তত আপনার মনে থাকবে। যেমন, আপনি জানলেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনকের নাম হিপোক্রেটিস। প্রথমেই আপনার মনে হলো হিপোক্রেট একটি ইংরেজি শব্দ যার অর্থ হলো ভণ্ড বা প্রতারক। কিন্তু আপনার নতুন শেখা এই নামের সঙ্গে এ অর্থের কোনো মিল নেই।
বরং উল্টোটাই প্রযোজ্য। কারণ এখনও চিকিৎসকরা পাশ করার পর যে শপথ নেন তাকে বলা হয় ‘হিপোক্রেটিক ওথ’ যার বক্তব্য হলো একজন চিকিৎসক হিসেবে তিনি রোগীকে সাধ্যমতো নিরাময় করার চেষ্টা করবেন, রোগীর গোপন কথা প্রকাশ করবেন না এবং সৎভাবে জীবন যাপন করবেন।
যা মনে রাখতে চান, তাকে একটি পূর্ণাঙ্গ কাঠামোয় রূপান্তরিত করুন। আংশিক না করে বিষয়টি পুরোপুরি শিখতে বা বুঝতে চেষ্টা করুন।
মনে রাখার জন্যে প্রথমবার পড়ার ২/১ দিনের মধ্যেই পড়াকে রিভাইজ করুন।
কোয়ান্টা রিডিং পদ্ধতিতে সুযোগ পেলেই চোখ বুলিয়ে নিন। এছাড়া ক্লাস শেষে নিয়মিত ক্লাসনোটে চোখ বুলান।
মনে রাখার ক্ষেত্রে ছবির ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই কোনো জটিল বা ব্যাপক বিষয়কে ছবি, চার্ট বা ডায়াগ্রামে সাজিয়ে নিন।
এছাড়া তৈরি করতে পারেন নানা ধরনের মনে রাখার ছন্দ।
যেমন, মুঘল সাম্রাজ্যের পরম্পরা বোঝাতে ‘বাবার হইল একবার জ্বর, সারিল ঔষধে’ ছড়াটি আওড়ালেই বাবর, হুমায়ূন, আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহজাহান, আওরঙ্গজেব প্রমুখ মুঘল বাদশাহদের নাম একের পর এক বলে দেয়া যায়।
http://quantummethod.org.bd/node/228 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।