..
নক্ষত্রের কপাটখানি একটু আলগা হলে
চোরা আলো এসে তোমাকে স্পর্শ করে যায়
স্পষ্টতই সে তোমার অবয়ব।আজন্ম চেনা।
মধ্যরাতের বেহালার ছড়ে হু হু কান্নার মত বেজে বেজে ওঠো বার বার
জলের তরঙ্গে তরঙ্গে একই সুরে নিক্কন বাজে
প্রবল বাতাসের ঝাপটায় একটি বহু বর্ণ প্রজাপতি উড়ে গেলে
ডানার কিছু অভিমানী রং ছড়িয়ে পড়ে ঘাসের উপরে;
চিরচেনা সেই রং।
চোখের আড়ালের ছায়াগুলো ক্রমশঃ অস্পষ্ট হতে থাকে............
রাত্রি দ্বিপ্রহরের বেহালায় যে কান্নার ধুন বেজেছিল
অবশেষে তাও স্তব্ধ হয়ে যায়;
জোনাকীর বুকের ভেতরে যে তীব্র সোনা-রং জ্বলে উঠেছিল,
সমুদ্রের সফেন ঢেউয়ের ঝিলিমিলি আরশিতে
অবিকল জোনাকীর জমজ আগুন-গালিচা পেতে দিয়েছিল
নক্ষত্রের মিটি মিটি হাসিমুখ--
ধীরে ধীরে নিভে যেতে থাকে তাও;
সব কান্না এবং আগুন এভাবেই নিভে যায়।
চরাচর ঘিরে থাকে এক নির্লিপ্ত নীরবতা।
কৃষ্ণ-গহবরে হারিয়ে যায় ব্যথা এবং বাসনাগুলো।
জ্বলজ্বল করে শুধু--
শ্বাপদ-হলুদ দু'টো চোখ আর একটি রক্তমাখা ছুরি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।