আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বড় রাজনৈতিক দলসমূহের নির্বাচনী ইশতেহারে যা থাকা জরুরি

যা লিখি তাই অখাদ্য হয়। তবুও চেষ্টায় আছি....

আজকের ইত্তেফাকের দৃষ্টিকোন পাতায় এই লিখাটি পড়লাম। ভালো লাগলো তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমি সাধারনত আমলাদেরকে দেশখাদক আর দুর্নিতিবাজ বলেই মনে করি। তারপরও এই আমলার দেশ আর রাজনৈতিক ভাবনা দেখে মুগ্ধহলাম।

বিশেষকরে গ্রামউন্নয়নে তার উপদেশগুলো খুবই গুরুত্বপুর্ন মনে হয়েছে। যারা পড়েননি পড়ে নিতে পারেন। কারার মাহমুদুল হাসান আসছে ২৯শে ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার সব ধরনের আয়োজন এখন সম্পন্ন হবার পথে। উভয় বড় দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ এখন স্ব স্ব নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন চূড়ান্তকরণে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে যে প্রস্তাবিত ইশতেহারে দারিদ্র্যবিমোচন ও সন্ত্রাসদমন কর্মকান্ড বিষয়ে সবিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হবে।

সে সংগে ধান-চাল-ডাল-তেল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনয়নের প্রচেষ্টাসহ খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন কর্মকান্ড জোরদারকরণের ইংগীত দেয়া হয়েছে সে সংগে খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলাসহ বিদ্যুৎ ঘাটতি কমানোর কার্যকরী প্রচেষ্টার উপরও সবিশেষ গুরুত্ব প্রদান করার কথা ইশতেহারে থাকবে মর্মে আভাস দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি’র ইশতেহার বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতা এম,কে আনোয়ার কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার প্রদান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা, দুর্নীতি দমন, সন্ত্রাস দমন এবং মধ্যপ্রাচ্যে আরও অধিক সংখ্যক বাংলাদেশীদের কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কার্যকরী উদ্যোগ ইত্যাদি বিষয় থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন। এসব ইশতেহারে লিপিবদ্ধ বিভিন্ন ঘোষণা এবং ওয়াদা, প্রতিজ্ঞা ইত্যাদির বাস্তবায়ন বিষয়ে যদি সঠিক বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা হয় তবে এসব বিষয়ে দেশের আম-জনতার মতামত খুব একটা দ্বিমতের অবকাশ নেই বললেই চলে। এ অবস্থা সত্ত্বেও দেশের মানুষ রাজনৈতিক দল বা নেতাদের উপর আস্থা হারাতে চায় না, বরং নির্বাচনী ইশতেহার-এ দেয়া প্লান-প্রোগাম ঘোষণা ইত্যাদি বিশ্বাস করে বাঁচতে চায়। আর সম্ভবত: সেকারণেই দেশবাসী এবং সাধারণ ভোটারগণ রাজনৈতিক দল বা জোটের ইশতেহারে দেয়া ঘোষণা ওয়াদা ইত্যাদির জন্য অপেক্ষা করে এবং কেউ কেউ এসব খুঁটি-নাটি পড়ে দেখতে পছন্দ করে।

অন্যদিকে অধিকাংশ ভোটার ইশতেহারে কি আছে বা নাই এসব নিয়ে খুব একটা গা করে না। সে যা-ই হোক, ুপৃথিবীর সকল উন্নত দেশে, অন্য কথায় পৃথিবীর সকল সভ্য দেশে নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্ব অপরিসীম। সংশ্লিষ্ট দেশের ভোটারগণ নির্বাচনী ইশতেহার অত্যন্ত গভীর মনোযোগের সংগে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করে থাকেন এবং সাধারণ নির্বাচন সহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ইশতাহারে বর্ণিত প্রোগ্রাম বা কার্যক্রম জনমত গঠনে ও নির্বাচনের ‘মুড়’ ঘুরিয়ে দিতে যথেষ্ট ও অবদান রাখতে সক্ষম হয়। নির্বাচনে বিজয়ী রাজনৈতিক দল সরকার গঠনের পর ইশতেহারে বর্ণিত প্রতিটি ঘোষণা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়নে নিরন্তর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর থাকেন। তবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি এ বাংলাদেশে ক্ষমতার দুর্গে আসীন হবার সংগে সংগে আকর্ষণীয় শব্দচয়নে প্রণীত নির্বাচনী ইশতেহার বা এতে দেয়া বিভিন্ন সুন্দর ঘোষণা, ওয়াদাসমূহ প্রায় সাবলীল ও সার্বিকভাবে ভুলে যাওয়া বা অবহেলা করার কাজগুলি অতিসহজ এবং নির্বিকারভাবে করে ফেলতে সরকারী দল খুব একটা সময় নষ্ট করে না।

বহু বছর থেকে এ ধরনের ট্র্যাডিশন -এর চর্চা চলে আসছে। তবে গত এক-দেড় বছরে বিশ্ব অর্থনীতি এবং এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ বা উত্তর বা দক্ষিণ আমোরিকার বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক বিশৃংখলার পাশাপাশি চাল-ডাল-তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির যে অভাবনীয় ঊর্ধ্বগতি প্রত্যক্ষ করেছে এবং বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সংগে সংগে কিংবা বলতে গেলে তার বেশ আগে থেকেই চাল-ডাল-তেল ইত্যাদির যে অভাবনীয় ঊর্ধ্বগতির অভিজ্ঞতা মাসের পর মাস প্রত্যক্ষ করেছে, যে অবস্থায় দেশের নিম্ন আয়ের এবং মধ্য আয়ের শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ জনগোষ্ঠী অদ্যাবধি চরম আর্থিক কষ্টে কালাতিপাত করে চলেছে। সে কঠিন প্রেক্ষাপটে বড় রাজনৈতিক দলগুলির কর্ণধারদের বরাবরে অত্যন্ত বিনীতভাবে তাদের স্ব স্ব নির্বাচনী ইশতেহারে নিম্ন বর্ণিত বিষয়গুলি অন্তর্ভূক্ত করা তথা বিবেচনায় আনার জন্য প্রস্তাব করি। ইশতেহারে কৃষি সেক্টরকে গুরুত্ব প্রদান বিষয়ক ঘোষণা সব রাজনৈতিক দল যেহেতু রেওয়াজ হিসেবে সবসময় উল্লেখ করে থাকেন এবং যেহেতু এ সেক্টরটি দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর জীবন ধারনের প্রধান অবলম্বন, সেহেতু এতদ্বিষয়ে ইশতেহার এবং তৎসংগে প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট পুস্তিকায় নিম্নেবর্ণিত বিষয়গুলি উল্লেখ করতে হবে। কারণ, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থা সমূহে বিভিন্ন সময়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে কিংবা উচ্চতর ও পূজনীয় কর্তা ব্যক্তিদেরকে সন্তুষ্ট করার মানসে অবলীলাক্রমে তথ্যাদি পরিবর্তন করতে তাদের এতটুকু বুক বা হাত কাঁপে না।

এর যৎকিঞ্চিৎ বিবরণ নিম্নে দেখা যেতে পারে ঃ কৃষি মন্ত্রণালয়/কৃষি তথ্য সার্ভিস/কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত কৃষি ডায়েরী ২০০৮ (আগের বছরগুলিতে প্রকাশিত প্রতিটি ডায়েরী এর ব্যতিক্রম নয়)- এবং বিএডিসি ডায়েরী ২০০৮এ তে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন বিষয়ে দেয় তথ্য ঃ ডিএই/এআইএস (এগ্রিকালচার ইনফরমেশন সার্ভিস) কর্তৃক প্রকাশিত কৃষি ডায়েরী ২০০৮-এ মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন ঃ ক) বিবিএস প্রদত্ত (ধান ও গম সহ) = ২৭২.৬৫লাখ মেঃ টন খ) ডিএই প্রদত্ত (ধান ও গম সহ) = ৩১৮.১৬ লাখ মেঃ টন গ) ডিএই প্রদত্ত (ধান, গম ও ভুট্টা সহ) = ৩৩০.৮৪ লাখ মেঃ টন বিএডিসি ডায়েরী ২০০৮: মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদন ক. বিবিএস প্রদত্ত (ধান ও গম সহ) = ২৬১.৩৩ লাখ মেঃ টন খ. ডিএই প্রদত্ত (ধান ও গম সহ) = ২৭৯.২৪ লাখ মেঃ টন গ. ডি এই প্রদত্ত (ধান, গম ও ভুট্টা সহ) = ২৮৪.০৪ লাখ মেঃ টন এখানে উল্লেখ করার বিষয় দুই সংস্থা তথা কর্তৃপক্ষের একটি মূল উৎপাদিত দানা শস্যকে ‘ধান’ হিসেবে এবং অন্য কর্তৃপক্ষ মূল দানা শস্যকে চাল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ সবাই জানেন যে, এক টন ধান থেকে গড়ে কমবেশী পৌনে এক টন চাল বেরিয়ে আসে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে এ দুই বড় মাপের কর্তৃপক্ষ জাতিকে কী ‘মেসেজ’ দিতে চাচ্ছে? আগত রাজনৈতিক সরকারকে এসব তথ্যের ব্যাপারে কঠোরভাবে নজরদারীর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। উপরে বর্ণিত তথ্য বিভ্রাটের কারণে কোন রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে কৃষি বিষয়ে সঠিক তথ্যাদি অবহিত হওয়া কোনভাবেই সম্ভব নহে। সুতরাং নির্বাচনী ইশতেহারে ডিএইসহ অন্যান্য সংস্থা / দপ্তরগুলিকে সত্য কথা বলা এবং সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ বিষয়ে কঠোর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মিথ্যা বলা বা ”যখোন মন চাহে যা” ধরনের তথ্য কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ না করে।

বাংলাদেশের পেক্ষাপটে বাস্তব অবস্থা হলো; যারা এখানে জমি চাষাবাদ করেন, ফসল ফলান দেশের মানুষের খাদ্য যোগান দেন, তাদের প্রায় ৭০/৭৫ ভাগই বর্গা চাষী, অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে ফসল ফলান। তাদের নিজের জমি নাই, বললেই চলে কিংবা যা আছে তা-ও খুব সামান্য কিংবা উল্লেখ করার মতো নয়। আর সেকারণে ফসল উৎপাদনকারী চাষীদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই বিভিন্ন ব্যাংকসমূহ থেকে চাষাবাদ করার জন্য কোন কৃষিঋণ সংগ্রহ করতে পারেন না। তবে যেহেতু মূলধন ছাড়া সার, বীজ বা সেচ এর পানি, এসব কোনটিরও আনজাম দেয়া সম্ভব নয় আক্ষরিক অর্থেই, সে কারণে ফসল উৎপাদনকারী কৃষককুলের প্রায় ৭০ ভাগ অতি উচ্চসুদে ধনী লোকজন, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী কিংবা প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকসহ ঠিকাদার, দোকানদার ও অন্যান্য অনেক কিসিমের বিত্তবানদের নিকট থেকে ঋণ দিতে বাধ্য হন। কারণ, কৃষি কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজ যে তাদের জানা নেই।

কিংবা আয়ত্তের মধ্যে নেই। ফসল ফলানোর পর পরই ঋণের টাকা শোধ করতে গিয়ে ফসলের এক বড় অংশ বিক্রি করে দিতে হয় কৃষককে কিংবা ফসলের বড় ভাগ দাদনকারীদের ঘরে পৌঁছিয়ে দিতে হয়। সরকার দেড়-দুই দশক থেকে বর্গা চাষীদেরকে আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির আওতায় কৃষি প্রদানের প্রত্যয় এবং ঘোষণা দিয়ে আসছে, তবে এ বিষয়ে কোন পদ্ধতি আজ পর্যন্ত প্রণয়ন করতে পারেনি কিংবা সরকারের কার্যকরী ও পরিকল্পিত কোন উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা গ্রহণের কথা দেশবাসী জানতে পারেনি। এ ধরনের অবহেলা, তাচ্ছিল্য এবং অমনোযোগিতা অনেক বছর থেকে চলে আসছে। নির্বাচনী ইশতেহারে বড় দুইটি রাজনৈতিক দল উপরোল্লিখত কৃষিঋণ সংশ্লিষ্ট জটিলতা কিভাবে সুরাহা করবেন- এবং কত দ্রুত, ইশতেহার বাস্তবায়ন পদ্ধতি পুস্তিকায় সে সব বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে।

বর্তমান বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ৮৭৩১৯টি (মতান্তরে ৮৭৭২২টি) ছোট-বড় গ্রাম আছে। প্রতিটি গ্রামে রাজনৈতিক দলীয় সরকার উদ্যোগ নিলে ক্ষমতা গ্রহণের ২ বছরের মধ্যে কমপক্ষে (১) দশটি কি করে মিনি ডেইরী (৩ থেকে ৫ টি গরু/গাভী সমন্বয়ে) ফার্ম (২) পাঁচটি করে মুরগী/পোল্ট্রী (আনুমানিক ২০০ থেকে ৩০০ টি প্রতিক্ষেত্রে) ফার্ম (৩) পাঁচটি করে গরু মোটাতাজাকরণ ফার্ম (৪) পাঁচটি পুকুরে মাছের চাষ ইত্যাদি কর্মকান্ডের ব্যবস্থা বা প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করতে পারেন। এর ফলে আগামী ২ বা ৩ বছরে দেশে কমপক্ষে তিন মিলিয়ন বেকার যুবক-যুবতীর কৃষি ভিত্তিক প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। উল্লেখ্য, দেশে বর্তমান ১.৯ মিলিয়ন ছোটবড় পুকুর আছে। কৃষি সংশ্লিষ্ট আরও অনেকগুলি ক্ষেত্র আছে সরকার দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞ বিশেষত: কৃষি, মৎস্য, খাদ্য ইত্যাদি মন্ত্রণালয় এবং এসবের আওতাধীন বিভিন্ন দফতরসংস্থায় সুনাম ও দক্ষতার সংগে দায়িত্ব পালন করে এখন ঘরে বসে কালাতিপাত করছেন তাদেরকে খুঁজে বের করে- এসব কাজে লাগালে দেশের মানুষের সে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলসমূহেরও প্রভূত উপকার হবে।

কর্মসংস্থান-এর ব্যবস্থা ব্যাপক ও কার্যকরীভাবে করা গেলে দেশে বেকার সমস্যা কমানোর পাশাপাশি সন্ত্রাস-এর মাত্রাও অনেকাংশে কমে আসবে। আপাতত: রাজনৈতিক দলসমূহকে কৃষিসংশ্লিষ্ট উপরোক্ত প্রস্তাবসমূহ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সংযোজন করে নির্বাচন যুদ্ধে সুস্থভাবে নেমে পড়তে আহবান জানাই। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে যানজট সমস্যা নিরসন কল্পে পরিকল্পিত ও বাস্তবসম্মত/বাস্তবায়নযোগ্য বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়াদিও ইশতেহার সংযোজন করা যেতে পারে। সে সঙ্গে দেশের তথাকথিত সুশীল সমাজের কর্ণধার, বড় বড় জ্ঞানী-গুণী আইনজ্ঞ যারা বিভিন্ন মামলায় ক্লায়েন্টদের পকেট কেটে প্রতিকেসে প্রতি শুনানিতে দুই থেকে দশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। যেসব প্রতিষ্ঠানের/ফার্মের মালিকদের, মোক্তারদের আয়ের উৎস এবং আয়ের একশতাংশও তারা আয়কর দেন না মর্মে জনশ্রুতি আছে।

তাদেরকে যথাসম্ভব সনাক্ত করে আমজনতাকে জানান দিয়ে আইনের চৌহদ্দীতে এনে অভিযোগনামা প্রণয়ন করে বিচারের ব্যবস্থা করা ইত্যাদিও ইশতেহারে সংযোজন করা যাতে পারে। [লেখক: সাবেক সচিব]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।