আমাকে বিয়ের খায়েশ হযেছিল এক অতিশয় ভদ্রলোকের। তার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়ে হয়েছিল কণেদেখা গোধুলী আলোয়। বলা বাহুল্য আমার বয়সের সাথে তার বয়সের পার্থক্য প্রায় দেড় কুড়ি।
আমি তখন সবেমাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছি। আমার পিসীমা আমার বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগলেন।
ছেলে অনেক টাকা ওয়ালা । পিসীমা ভেবেছিল আমি শান্তিতে থাকতে পারবো। টাকাকড়ির কোন অভাব নেই। সে ভেবেছিল বাবাকে হয়তো রাজি করাতে পারবে। এমনিতে বাবা তার উপরে কথা বলেন না।
তাই সরাসরি বলতে পারলেন না- অনুকে এখন বিয়ে দেওয়া যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে সেদিন গোধুলী বেলায় কনে দেখার আলোতে আমাকে বসতে হলো।
বরের বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। বর বেটার ছেলেটাকে যদি আমার সাথে বিয়ে দিতে আসতো তাহলে হয়ত সেদিন না করতে পারতাম না। কি আশ্চর্য তার ছেলে তখন কলেজ পাশ করেছে! রব পক্ষ চলে গেল।
আমার মতামত জানার জন্য পিসিমা আমাকে ডেকে বসলেন। আমি ভয়-ডর শিকেই তুলে বললাম- আমার তো বিয়ের বয়স হয়নি তবে তুমি যদি রাজি থাক তবে আমি ওবেটার সাথে পিসে মশাইকে বলে বিয়ের ব্যবস্থা করতে পারি। সেই যে পিসিমা গেলেন ফিরলেন তিন বছর পরে। আমিতো মনে মনে ভেবেছিলাম বাবা হয়তো এহেন কর্মে আমার উপরে রুদ্রমুর্তি হয়ে আসবেন। না দেখলাম বাবা বা মা কেউই কিছু বললেন না।
যদিও ওবেটা আমার মতামত জানতে চেয়েছিল, বাবা সোজা তাকে বলেদিয়েছিল- আপনার ছেলে নিজের পায়ে দাড়ালে না হয় আসবেন। শুনেছি পরে নাকি ও বেটা নাকি সেই দুঃখে আর বিয়েই করেনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।