আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে হিরোইন বৈধতা পেল।

দেখতে চাই ধরনী

অবশেষে হিরোইন বৈধতা পেল। ব্যপারটা কান কথা ছিল বেশ কিছু দিন থেকেই। তবে এভাবে যে বৈধতা পাবে তার কোন ধরনা ছিলনা। কেন? তার কারন অবশ্য এখনও জানা হয়ে ওঠেনি। তবে এটা সত্য সব ধরনের ড্রাগের ব্যবহার বৈধতাদানের ভয়াবহ সম্ভনাটা আরও জোরাল এখন।

সেবন করার জন্য হিরোইন প্রেস্কাইব করতে পারবেন ডাক্তারা – এমন একটা আইনের প্রনয়ন করেছেন স্যুইস সরকার। এর কারন হিসেবে তারা বলেছেন এতে করে প্রকৃত ব্যবহারকারীই কেবল হিরোইন নিতে পারবেন এবং নতুন গ্রহীতার সংখ্যাকে কমান সম্ভব হতে পারে। যদিও কথাটার মাঝে সাময়ীক সাফল্যের গন্ধ আছে তবে এর সুদূর প্রসারি ভয়বহতার কথা চিন্তা করছেন অনেকেই। প্রায় ১৪ বছর আগে থেকে এমন একটা স্কিম নেয়া হয়েছিল যার মাধ্যমে সেবনকারীরা চিকিৎসার আওতায় মাদকদ্রব্য সেবন করতে পারবেন ক্লিনিক গুলোতে – কেননা তত দিনে জুরিখ সহ সারা দেশে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছিল অনেক। ইন্জেটিং ড্রাগ ইউজারদের (আই ডি ইউ) সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এর সাথে সমানতালে বাড়ছিল নানা ধরনের সংক্রামক রোগ এবং তাদের মধ্যে এইডস অন্যতম।

পরিসংখ্যান মতাবেক আই ডি ইউ দের মাধ্যমে এইডস ছাড়ানর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে এর সংখ্যা প্রকপ। প্রায় সবদেশেরই (এমনকি বাংলাদেশ)আই ডি ইউ’রা সবচেয়ে ভলনারেবল হিবেসে বিবেচিত। একটি সীমিক্ষায় দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি দেশে এখন এটা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরেছে। আর এটাকে মহামারী তখনই বলা হবে যখন ব্যবহারকারীদের মধ্যে শতকরা ৫ জনের বেশি আক্রান্ত হয়ে পরেন। যদি আমরা বাংলাদেশের দিকটা দেখি তো ব্যপাটা এখানেও সত্য।

হার্মরিডাকশন ম্যানেজমেন্টের আওয়ায় যারা আছেন তাদের বেশির ভাগই আই ডি ইউ এবং এ সংখ্যা সংখ্যাতত্বের বিচারে এখন মহামারী এবং তাদের বেশির ভাগ এখন এইডস এ আক্রান্ত। স্যুইস সরকার এই স্কিমের আওতায় প্রতিটি ব্যবহারকারীকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুবার ডাক্তারের তত্তাবধানে মাদকদ্রব্য সেবনের ব্যবস্থা করেছেন। এতে করে তারা সুস্থ (!) ভাবে মাদকদ্রব্য সেবন এবং তার থেকে প্ররিত্রানের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা-পরামর্শ পেতে পারেন। যদিও ব্যপারটার বিরোধীতার করে আসছিলেন অনেকেই তবে ৬৮% ভোটে পরাজিত হবার পর তাদের আর কিছুই করা থাকছেনা। ইউরোপের দেশগুলোতে মাদকদ্রব্য গুলোর মধ্যে ক্যনাবিস বেশ জনপ্রিয় এবং এটা সেবন করা বৈধ।

যদিও অনেকে এটার ব্যপারেও কথা তুলে ছিলেন কিন্তু ব্যপারটা একে বারেই ধোপে টেকেনি। (আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় কয়েক জনকে পেয়েছিলাম যারা ছিলেন নেদারল্যান্ডের। তাদের সাথে দেখা হবার আগেই অবশ্য তাদের বিখ্যাত কেনাবিস ফ্যাস্টিভালের কথা পড়েছিলাম। তবে তাদের সাথে কথা হবার পর ব্যপারটার সত্যতার ব্যপারে নিশ্চিত হলাম। একই জায়গায় থাকার কারনে তাদের সাথে অকল্যান্ড শহরতলী দেখতে গিয়ে যেনেছিলাম তাদের জীবন প্রনালীর কিছুটা।

সকালে যখন আমরা ব্রেকফাস্ট টেবিলে কফি খাচ্ছিলাম তাখন জানলাম সেখানের (আমসটামাডম) ব্রেকফাস্ট মেনুর সাথে ক্যানাবিস নেয়া যায়। এবং তারা এতেই অভ্যস্ত। আর সেদিন রাতের বেলা বিখ্যাত “নাইট লাইফ” দেখার জন্য যখন কুইন স্ট্রীটের উপর ক্যানাবিস বাসটাকে দেখে তাদের উচ্ছাসের বাহার দেখেছিলাম। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।