জন্ম
স্যাটেলাইট টিভির মাধ্যমে ভারতের সওদাগরি রাজধানী মুমবাইয়ে চলমান যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে ।
এই যুদ্ধের পাটনার মিডিয়া গুলো যার যার রাজনৈতিক পক্ষ অনুযায়ী প্রচার পোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে ।
বাংলাদেশের সুশীল সংবাদপত্র এবং কর্মীরাও ভারতীয় শাসকদের (নিপীড়িত জনগনের নয়) পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশের জনগনকে নানান খবর বিলাচ্ছেন এবং নিজেরা বিলাপের মধ্যে আছেন ।
সচেতন মাত্রই অনুমান করবেন ভারতের সওদাগরি রাজধানির এই যুদ্ধের সাথে আঞ্চলিক এবং আর্ন্তজাতিক রাজনীতির যোগাযোগ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক । কারণ এই অঞ্চলের আফগানিস্তানে একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর বিরোদ্ধে মার্কিন-ইসরাইল এবং তাদের এশীয় মিত্র ভারত যুদ্ধে রত ।
তারই সূত্রে পাকিস্তানের নানান অঞ্চলেও তাদের হামলার হাত প্রসারিত । আর ভারতীয় বর্ণবাদী শাসকরা তো সংখ্যালঘু নিপীড়নের অংশ আকারে নানান সময় নানান জায়গায় মুসলমান-ক্রিসচান জনগোষ্ঠীর উপর হামলা অব্যাহত রাখছে ।
মনে রাখা প্রাসঙ্গি যে এই হামলার গুরুত্বপূর্ণ কারন ভিন্ন ভিন্ন আইডিওলজিতে বিশ্বাস। সরলীকরনের দোষসহ মোটাদাগে বলা যায়, একদিকে পশ্চিমা সভ্যতার মধ্যে গড়ে উঠা আইডিয়ার জগত যার সাথে বর্ণবাদী হিন্দু ভারতীয় শাসকদের আতাতের মধ্যে দিয়ে গড়ে উঠা নতুন সাম্রাজ্যবাদী শাসকদল ; অন্যদিক পশ্চিমা সভ্যতার বাইরে গড়ে উঠা আইডিয়ার জগত (এই বিশেষ ক্ষেত্রে ইসলাম বা মুসলমান নামধারী জনগোষ্ঠী) যারা পৃথিবীকে ভিন্ন ভাবে ভাবতে অভ্যস্ত কিংবা নিজেদের মতো করে ভাবার একটা ঐতিহ্য রয়েছে এই রকম একটি জনগোষ্ঠি যখন তার ইতিহাস-ঐতিহ্য-বিশ্বাস নিয়ে যাতে দাড়াতে না পাড়ে তার জন্য দীর্ঘকাল ধরে পশ্চিমাদের নানান অপপ্রচার । (যেমন -- ইসলাম একটি বর্বর ধর্ম , মুসলমান মানেই একটি ভয়ংকর কিছু , তাদের গৌরব করার মত কোন চিন্তা-সংস্কৃতি নেই ।
) এই অপপ্রচার শুধু পশ্চিমারাই করে তা নয় । পশ্চিমা ধ্যানধারনায় বায়াত গ্রহনকারী আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত
শ্রেণীও প্রতিদিন তাদের প্রবন্ধ, গল্প,কবিতা,গান,সিনেমা ইত্যাদির মধ্যে প্রচার করছে ।
উপরে বর্ণীত প্রেক্ষাপট মনে রাখলে আমাদের মনে এক ধরনের বুঝ তৈয়ার হয় যে কারা কি কারণে এই হামলা চালাতে পারে । আর কারাই বা এই হামলার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কলম-কথা-কাগজ-মগজ খাটাবে ।
বাংলাদেশের বর্তমান এবং ভবিষতে যদি র্নিবাচন হয় যে শাসক শ্রেণী ক্ষমতায় আসবে বলে আমরা দেখছি এই সব শাসক শ্রেণীই রুচি-চিন্তা-নিজস্ব শ্রেণীস্বার্থে পুরোপুরি মার্কিন-ইসরাইল এবং ভারতীয় শাসকদের দোসর ।
দুষমন বাংলাদেশের সাধারন বঞ্চিত-নিপীড়িত জনগনের ।
আগামীদিনে নিপীড়িত জনগন যদি নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে বর্তমান নিপীড়ক শাসক শ্রেণীকে প্রতিরোধ না করে তাহলে নিজেদের ভাগ্য বদলাবে না ।
পৃথিবীর সর্বত প্রতিরোধ গড়ে উঠছে - গড়ে উঠবে । প্রতিরোধ একমাত্র প্রতিরোধই পারে একটি কল্যাণময় আগামী পৃথিবী গড়ে তোলতে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।