ক খ গ ঘ...
একটা গল্প বলি---- যারা বিয়ে করতে চান তাদের জন্য একটু সচেতন করার চেস্টা.............
অনু-র মত ভাল মেয়েরা বাবা মা-র অনুগতই হয়. যেমন অনার্স পড়া শেষ করতে না করতেই বাবা মা বিয়ে ঠিক করে বলল ওঠ ছুরি তোর বিয়ে। এমন ভাল ছেলে আর পাব???
ছেলে কানাডা-র সিটিজেন, বি-শা-ল চাকরি । তোর বড় চাচার কলিগের পরিচিত। দেশে এসেছে কদিনের জন্য বিয়ে করতে। এমন ভাল ছেলে সবসময় কি আসে?
এমন মেয়ের গুরু জনেরা মেয়ের হ্যা বলার অপেক্ষায় থাকে না।
বিদেশি পাত্র বলে কথা। অত কথা বলার সময় কি আর আছে? দেশে ছেলে কই ? সব তো খ্যাত!!হ্যা বলার আগেই বিয়ের ঢাক ঢোল বাজা শুরু হয়ে গেল. আয়জন করে বিয়ের আনুস্ঠিকতা শেষ করে মেয়েকে নিয়ে ছেলে উড়াল দিল কানাডায়।
দিন যায় , মাস যায়...
বাবা মা-র মনে কস্ট লাগা শুরু হয়। ইস দেশে-ই কোন ভাল ছেলের সাথে বিয়ে দিলে তো মেয়েকে চোখের সামনে দেখা যেত কিছুদিন পর পর।
কিন্তু এখন তো আর কিছু করার নাই।
বছর খানেক পর...
বলা নেই কওয়া নেই, হটাৎ মেয়ে ফোন করে বলে মা, আমি পরশু দেশে আসছি। আর কিছু না বলে-ই ফোন রেখে দেয় মেয়ে।
বাবা মা উদ্বিগ্ন মুখ নিয়ে মেয়েকে এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় নিয়ে আসে। মেয়ে কোন কথা বলে না। একদম চুপচাপ।
বিদেশ যেয়ে বেশির ভাগ বাংগালী মেয়েরা হয় নাদুস নুদুস খাসি আর এই মেয়ে একেবারে চিমসা মেরে গেছে। কিছুটা কালো -ও হয়ে গেছে। আর সবচে বড় কথা মুখে-র উপর মনমরা একটা কালো ছায়া
বাবা মা সেদিন মেয়ের মুখ থেকে খুব একটা কথা বের করতে পারে না।
পরদিন শুধু মেয়ের মুখ থেকে শুনতে পায়, তোমরা আমার এত বড় সর্বনাশ করলে শুধু ঐ বিদেশের টাকার লোভে?
বাবা মা বোঝায়, না মা, আমরা তোমার ভাল-র জন্য-ই এসব করেছি।
মেয়ে বলে, কিসের ভাল? সব জানতে ঐ ছেলে সম্পর্কে?
বাবা মা নিজেদের মধ্যে একে অপরের দোষ দিতে থাকে।
কেউই নিজের ঘাড়ে দোষ রাখতে চায় না।
এদিকে পাড়া পরশী রাও গুন্জন শুরু করে দেয়। বান্ধবীরা আসে , বার বার একই কথা জানতে চায় কি হয়েছে?
মেয়ে শুধু একটা কথা-ই বলে , এটা না জিগ্গেস করলে হয় না?
বান্ধবীরা যারা বিদেশী পাত্রের সাথে বিয়ের কথা শুনে হিংসায় জ্বলছিল, তারা মহা খুশি তে নানা কথা বলে বেড়াতে লাগল.........
কিছু কথা মেয়ের কানেও আসে...
বাবা-মার জিগ্গাসু দৃস্টি মেয়ের উপর সারাক্ষন থাকে।
মেয়ের এসব সহ্য হয় না।
-------------------------------------------------------------
একদিন ভোরবেলায় মা মেয়ের ডরজায় টোকা দিতে যেয়ে দেখে দরজা খোলা, মেয়েকে বারবার ডেকেও ঘুম ভাংগাতে পারে না।
শংকিত মায়ের মন খুজে পায় টেবিলের উপরের একটা চিরকুট--
তাতে লেখা,
মা, আমি এমনি-ই মরতাম। তোমাদের সবার প্রশ্ন আর সহ্য হচ্ছিল না। তাই এই ভাবে মরে গেলাম। তোমরা মনে কিছু নিও না।
আমার হয়েছে এইডস।
হ্যা মা, এইডস। তোমাদের জামাই-এর উপহার। ঐদেশে তার যথেচ্ছ ঘোরাঘুরি আমি যাবার পরও থামেনি। তার-ই ফল এই পরিনতি। তোমরা যদি বিয়ের আগে সব টেস্ট করে নিতে তাহলে আমার জীবন টা নস্ট হত না।
বিদেশি টাকার লোভে সব আসলে তোমরা ভুলে গিয়েছিলে। ভাল থেক তোমরা।
-----------------------------------------------------------------------------
আমার এই লেখার মাধ্যমে আমি শুধুমাত্র এটাই জানাতে চাইছি যে, বিয়ের আগে যেন সবার টেস্ট করা হয়। যেমন -এইডস, রক্তের গ্রুপ, বড় কোন অসুখ... ইত্যাদি, ডাক্তার রা ভাল বলতে পারবেন।
বিদেশি পাত্র শুধুমাত্র রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
দেশি -বিদেশি সকল পাত্র -পাত্রিকেই এসব টেস্ট বিয়ের আগে করানো উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।