তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।
দেশে অহরহ হয়েছে। ঈদের নামাযে সবচে পিচ্চিটাকে জুতো পাহারায় রেখে নামায পড়তে যেতাম (আমিও যখন পিচ্চি ছিলাম, পাহারা দিয়েছি)। আর অন্যান্য নামাযের সময় তো জুতো মাথার সামনেই থাকতো। তারপরও মাঝে মাঝে হাপিস হয়ে যেতো।
এখানে তো আর জুতো চোর আসার কথা না। এতোদিন ভালোই ছিলাম।
বছরে হয়তো একবার জুতো কেনা হয়। কেনাকাটা করতে ভালো লাগে না তাই বছরের জন্য বরাদ্দ একটা জুতো। তাও ভাইদের উপর দিয়ে প্রায় সময়ই খড়গটা যায়।
এইবার জুতো কেনা হয়েছে প্রায় ৫ মাস আগে। ছোটভাই কিনেছে আমার জন্য। এতোদিন ওর গাড়িতেই ছিলো। গতসপ্তাহে দিয়ে গেলো। রিবোক জুতো ভালোই।
দামও খারাপ না। সপ্তাহান্তে নতুন জুতো পরে বাইরে বের হয়ে একটু জগিং টাইপ হাটাহাটি হলো। অফিসের জুতো আলাদা তাই নতুনটা ফ্লাটের বাইরে রাখা ছিলো।
অন্যান্য দিনের মতো সন্ধ্যার খাবার খেয়ে টিভি দেখতেছিলাম। ছোটভাই বাইরে যাবে দেখে দরজা খুলে দেখে জুতো গায়েব।
দুজনের নতুন জুতো। এই ফ্লাটে প্রায় ৮বছর থেকে আছি। কখনোই কিছু হারানো যায়নি। নীচে তালাহীন দামী দুটো সাইকেল। কিন্তু চোর ব্যাটা জুতো নিয়ে ফুড়ুত।
নীচের ফ্লাটের মহিলাও বল্লো গতসপ্তাহে নাকি ওদেরও একই কান্ড ঘটেছে। মনে মনে বলি, আগে বলো নাই কেনো? আমার রুমের দরজা খোলা ছিলো। শুয়ে শুয়ে লোকজনের কথাবার্তা শুনেছিলাম। ছোটবোন মনে হলো ব্যাপক মজা পাইছে। আমাকে এসে শান্তনা দিতেছে।
মাত্র তো ৬০/৭০ ইউরো দামের জুতো গেছে। তুমি তো অনেক ইনকাম করো। এইটা কোন ব্যাপার হলো। দিলাম একটা ঝাড়ি এই বলে যে, নিজে এখনো এক ইউরোও কামাও নাই উল্টো গেছে তো কি হইছে ভাব
মনে মনে ভাবতেছি কে কাজটা করতে পারে। এখানে পেনা (যারা মদ খেয়ে পড়ে থাকে) লোকজন তো নাই।
তাহলে? হাউজমাষ্টারকে জানাতে হবে। সাইকেলও ভালো করে তালা দিতে হবে। শীতের জন্য অনেকদিন সাইকেল চালানো হবে না। শীত উপলক্ষ্যেই জুতোটা কেনা হয়েছিলো। বরফ পড়ে গেলে ব্যাপক ঝামেলা।
আবার যে কবে কেনা হবে?? সামনে কোন উপলক্ষ্যও নেই যে কেউ উপহার দিবে। দেখি, বড় ভাইয়াকে দুষ্কের কথা বলে যদি উনাকে দিয়ে এইবারের জুতোটা কেনানো যায়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।