কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
ব্যাংকঋণ প্রাপ্তিতে ভোগান্তিঃ
সব চাহিদা মোতাবেক কাগজ পত্রগুলো সরবরাহ করলেও ব্যাংক হইতে ঋন পাওয়া যায় না। আমি একটি ছোট মফস্বল শহরে থাকি । যেখানে ১৭টি এর মতো বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক-এর শাখা বিদ্যমান। তারা ইন্সুরেন্স কোম্পানীর মতো গ্রাহকদের একাউন্ট খোলায় ব্যস্ত। একাউন্ট খোলা শেষ তাদের টার্গেট শেষ।
তারা লোন দেয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহলকে যারা ব্যাংক হতে এসএমই লোন নিয়ে আবার আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে চড়া সুদে ঋন দেয়। ব্যাংক ম্যানেজাররা ব্যস্ত তাদেরকে চা পানি খাওয়াতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন নীতিমালা তারা ফলো করেন না। যদিওবা কখনো আবার আশার বাণী শোনায় তখন ধীরে ধীরে লোনের বিষয়টিকে আরো জটিল হয়ে উঠে।
নিজ অভিজ্ঞতায় বলছি- আমার নিজের বেলায় শেষ মুহূর্তে লোন ফাইলটি হারিয়ে গেলো।
যে হারালো সেই কর্মকর্তার প্রমোশন হলো। আবারও তার প্রমোশনের খবরটি বলে পূনরায় কাগজ-পত্র চাইলো। আরেকটি ব্যাংক প্রায় ছয় মাস আমাকে ঘুরানোর পর বললো তাদের নাকি লোন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। যখন স্কিম চালু হবে তখন পাবেন। সেই আশায় বসে থাকতে হলো।
অন্যদিকে যখন নতুন কোনো ব্যাংকের শাখা খোলা হলে আমরা সবাই আশান্বিত হই। ওদের প্রতিনিধিরা দল বেধে বের হয়ে দোকান ও বাসাবাড়িতে গিয়ে মানুষজনকে একাউন্ট খুলতে উদ্বুদ্ধ করেন।
তাদের প্ররোচনায় আমরা একটা সময় একাউন্ট খুলি। এরপর ছয়মাস বা এক বছর যেতে না যেতে মিনিমাম চার্জ, এই চার্জ সেই চার্জ কেটে নেয়া হয়। আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এক হাজার টাকা থাকলে সর্বোচ্চ আটশত টাকা কেটে নেয়ার মতো নজির আছে।
শুধুই কি তাই, নতুন ব্যাংকের শাখা খোলা নিয়ে খুব সুকৌশলে চাকুরি নামের বাণিজ্য চলে। এখানে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠি চলে না। শুধু আত্মীয়-স্বজন বা প্রবাসীদের আমানতের জোরে অনেক অযোগ্য ব্যক্তিকেও নিয়োগ দেয়া হয়।
এই যদি হয় আমাদের ব্যাংক সেকটরের সেবা । তবে সেবার পিছনে তাদের সার্থটা মুখ্য নয় কি ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।