বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
এটি ‘থ্রি হানড্রেড’ ছবির জারেকসেস; আসলে তিনি যে কেমন দেখতে ছিলেন ...
শব্দটা ফারসীতে ‘খাসহাইয়ার’। অবশ্য আমার ভুলও হতে পারে, আমি ফারসী বিশারদ নই। ইংরেজিতে বলা হয় Xerxes; আমরা বলব জারেকসেস।
ইনি ছিলেন সম্রাট দারায়বৌষ বা Darius-এর জ্যেষ্ট পুত্র- এবং প্রাচীন পারস্যের আকানেমিদ রাজবংশের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য সম্রাট।
জারেকসেস-এর জন্ম ৫২০ খ্রিস্টপূর্বে; পারস্যের দক্ষিণে ফারস প্রদেশে। ওই ফারস প্রদেশেই ছিল পারস্যের আকামেনিদ সাম্রাজ্যের রাজধানী পার্সিপোলিস-যেটি পরে আলেকজান্দার পুড়িয়ে ফেলেছিল ।
খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৬ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৪৬৫ অবধি পারস্য শাসন করেছেন জারেকসেস।
সম্রাট দারায়বৌষ সম্রাট সাইরাস-এর এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন।
সম্রাট সাইরাসের সেই মেয়ের নাম ছিল আতোসা। ইনিই জারেকসেস-এর মা।
সম্রাট হিসেবে অভিষেক হওয়ার আগে ব্যাবিলনে প্রাদেশিক শাসনকর্তা ছিলেন জারেকসেস।
জারেকসেস যখন পারস্যে শাসনভার পেলেন সেই সময়টায় মিশরে পারশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। অত্যন্ত কঠোর হাতে সে বিদ্রোহ দমন করলেন জারেকসেস।
তারপর মিশরের ওপর পারস্যের কাঠোর কর্তৃত্ব আরোপ করলেন।
মিশরের বিদ্রোহ দমন করে জারেকসেস পশ্চিমে তাকালেন। পশ্চিমে গ্রিস। সম্রাট দারায়বৌষের আমল থেকেই গ্রিসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। ম্যারাথন যুদ্ধে হেরে গিয়েছিল পারস্য।
সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ৪৮১ -৪৮০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে সসৈন্য গ্রিক অভিযানে বের হলেন জারেকসেস।
উত্তর গ্রিস, মানে, থ্রাস-মেসিডোনিয়া পদানত করল পারশিক বাহিনী।
র্থামোফাইলে স্পার্তানরা পারশিক বাহিনীকে বাধা দিল। (এই ঘটনা নিয়েই হলিউডি ছবি ‘থ্রি হানড্রেড: হিরোজ অভ থার্মোফাইল। ')
স্পার্তানদের পরাস্ত করে সসৈন্য আথেন্সে-এর দিকে এগিয়ে গেলেন জারেকসেস।
আথেন্স অবরোধ করলেন। আথেন্স-এর খুব কাছেই ছিল অ্যাক্রোপলিস-গ্রিকদের উপাসনালয়, শৌর্যবীর্যের প্রতীক । ওটা পুড়িয়ে দিলেন জারেকসেস।
(অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন যে- পরবর্তীকালে (খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০) আলেকজান্দার পার্সিপোলিস পুড়িয়ে দিয়েছিল এ কারণেই। )
পারশিক বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন মারদোনিয়াস।
তার কাছে যুদ্ধের দায়িত্ব দিয়ে জারেকসেস পারস্যে ফিরে যান। কেননা, তিনি ভেবেছিলেন, সম্রাটের বেশিদিন সাম্রাজ্যের বাইরে থাকা ঠিক নয়।
সালামিসের যুদ্ধে পারশিকরা হেরে যায়। পরবর্তীতে আরও কটি যুদ্ধে পারশিকদের ভরাডুবি হল ওই নেতৃত্বহীনতার কারণেই। পারশিক বাহিনী কখনেই গ্রিকদের মতো সুশৃঙ্খল ছিল না।
খোদ গ্রিসের ভূখন্ডে পারশিক আক্রমন গ্রিকদের জন্য শুভ হয়েছিল। তারা দেলিয় লিগ গঠন করে পারস্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। আথেন্স হয়ে উঠেছিল গ্রিক অর্থনীতি-বানিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।
সম্রাট জারেকসেস -এর সময় পারস্যের রাজধানী ছিল তিনটি। সুসা, একবাতানা ও পার্সিপোলিস।
জারেকসেস আর যুদ্ধে জড়াননি। তিনি ভোগ বিলাসে ডুবে গেলেন। ‘থ্রি হানড্রেড’ ছবিটায় তার কিছু আলামত আমরা দেখি। সম্রাট ভোগী হলে যা হয়-আকামেনিদ সাম্রাজ্যের শক্তি ক্রমশ ক্ষয়ে যেতে লাগল।
খ্রিস্টপূর্ব ৪৬৫।
নিহত হলেন জারেকসেস। সম্ভবত তারই এক ছেলের নির্দেশে। ছেলের নাম আর্তাজারেকসেস।
তিনিই হয়েছিলেন পারস্যের পরবর্তী সম্রাট।
সূত্র: উইকিপিডিয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।