সকল অন্ধকারের হোক অবসান
বাংলাদেশের ক্রিকেটের মতোই বাংলাদেশের রাজনীতি। আজ সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে জাতীয় দলের এবং লাহর বাদশাহর সঙ্গে ঢাকা ওয়ারিয়র্স-এর দুটি খেলায় বেদম পিট্টি খেয়েছে বঙ্গ সন্তানরা। এই মার খাওয়ার ব্যাপারটা আমাদের এখন অবশ্য গা সয়ে যাওয়ার কথা। খেলার মাঠ থেকে রাজনৈতিক ময়দান সব জায়গাতেই চলেছ মার খাওয়া। বাজারে যাচ্ছেন মার খাচ্ছেন দামের কাছে।
সিনেমায় যাচ্ছেন মার খাচ্ছেন রুচির কাছে। রাজনীতিতে যাচ্ছেন তো মার খাচ্ছেন আদর্শের কাছে। এতো মার খেতে কার ভালো লাগে বাপু। মার খেতে খেতে আমাদের চেহারা ভচকে গেছে।
এখন তাই দ্রব্যমূল্য ও বাস ভাড়া বাড়লেও আমরা পোতানো মুড়ির মতো নিশ্চুপ।
রাজনীতির ময়দানে শেয়ালের পিঠা ভাগাভাগি দেখেও আমাদের মুখ থেকে সাইল্যান্সার নামে না। আমরা আর গর্জে উঠি না। টুকটাক কিছু ভালো খবর পেলে রোদে শুকানো বালিশের মতো ফুরফুরে হয়ে উঠি- ক্ষণিকের জন্য- তারপর আবার পোতানো দশা।
দিনকে দিন বিভিন্ন জায়গায়- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা মার খেতে খেতে এখন কী হাল ছেড়ে দিয়েছি? সব কিছুতেই কেমন একটা অবসন্ন ভাব? দেশে বছর ধরে জরুরী অবস্থা চলছে, কারো কোনো বিকার নাই। যেন দেশের রাজনীতি নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কী আছে- এমন একটা ব্যাপার।
নতুন প্রজন্মের অধিকাংশ বোধহয় শুধু রাজনীতি শব্দটার সঙ্গেই পরিচিত কিন্তু এর অর্থ বিকেন্দ্রিক জ্ঞান (কোনোটেশন) নাই। শব্দটার সঙ্গে কোনোভাবেই তারা সক্রিয়ভাবে যুক্ত নয়। এর পেছনে আছে বাংলাদেশের রাজনীতির নানা নেতিবাচক দিক।
যারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিল তারাও দেখি আজকাল হাল ছেড়ে দিচ্ছে। 'এই দেশে আর কী হবে?' এই কথাটা এ যাবৎকালে এবং এখন পর্যন্ত বহুল ব্যবহৃত।
ইদানিং এ কথা বলার মানুষ আরো বেড়েছে। এটা জেনেও যে রাষ্ট্রের কোনো কাজই অরাজনৈতিক নয়। সবকিছুই রাজনীতি। আমাদের বাজার করা, বাসে চড়া, কর পরিশোধ করা ইতি এবং আদি। কিন্তু তারপরও আমরা কেমন দূরে দূরে থাকতে চাই।
যে রাজনৈতিক চক্করে আমরা এখন পড়ে গেছি সেই চক্করের কারণেই আমরা স্বভাবত অবস্থান করছি একটি বৃত্তের বৃত্তচাপে। এবং আমরা যে বল অনুভব করছি তা কেন্দ্রবিমুখী বল- রাজনীতি বিমুখতা। দুষ্টু চক্রের চক্কর কে বন্ধ করবে, কারা করবে, কখন করবে, কীভাবে করবে- এগুলোই এখন প্রয়োজনীয় প্রশ্ন। আশা করি চক্কর বন্ধ করে আমরা সুস্থির হয়ে বসতে পারব একদিন এবং সকলেই কেন্দ্রের কাছাকাছি থেকে আমাদের স্বপ্নগুলোকে কেন্দ্রীভূত করে বাস্তবে রূপ দিতে পারবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।