নিজেরে হারায়ে খুজি..... bohurupi.mohajon@gmail.com
আজ সকালে নাস্তা না করেই অফিসে গিয়েছি - এই প্রথমবার । সমস্যা হচ্ছে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার আধঘন্টার মধ্যে নাস্তা না করলে আমার দুনিয়া উলটপালট হয়ে আসে। উপায় ছিলনা বলেই অভুক্ত অবস্থায় অফিসে গমন। বাসের মধ্যেই সিটগুলো চাবিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছিলো। তাই পৌছেই দেরি না করে পিয়নকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম আসেপাশে নাস্তা কি রকম পাওয়া যাবে, সে জানালো কাছে পিঠেই হোটেল আছে, পরোটা-ডালভুনা ইত্যাদি বিক্রি করে।
প্রথমটায় আমি তিনটা পরোটা, ডিমভাজা আর ডালভুনা আনতে বললাম। কিন্তু পরবর্তীতে নিজের ছ'ফুটি দীর্ঘ দেহখানার চাহিদার কথা বিবেচনা করে চারখানা আনতে বলায় পিয়ন মুচকি হাসি দিল। পেছনে তাকিয়ে দেখি ফ্রন্টডেস্কের মেয়েটাও মিটমিটিয়ে হাসছে! আমি তখন হাসির খ্যাতা পুড়ি - পেটে কিছু থাকলে তবেই দুনিয়া রঙিন লাগে।
পিয়ন যথারীতি নাস্তা এনে খেতে ডাকলো, বাড়তি টাকা ফেরত চাইনি বলে খাতির করে নাস্তা ওভেনে গরম করে দিল। খিদের প্রথম ধাক্কায় একটা পরোটা কোথায় উধাও.................কি খেলাম প্রথমটায় তাই বুঝতেই পারিনি।
প্রথমটা খাবার পর পর পরোটা থেকে কেমন একটা মেকানিক্যাল গন্ধ নাকে লাগলো। একটু পরই বুঝতে পারলাম এই গন্ধ উপর্যুপরি আমার গলা এবং পরোটা, উভয় দিক থেকেই আসছে। ভাল করে ঘ্রান নিয়ে বুঝলাম মবিলে ভাজা তাজা তাজা পরোটা খাবার সৌভাগ্য আমার হয়ে গেছে মনে জোরছিল আমি লোহা খেয়ে হজম করতে পারবো, তাই খিদের জ্বালায় আল্লার নাম নিয়ে বাকি তিনটাও মেরে দিলাম এবং তারপরই কাহিনী শুরু হল........................
নিজেকে এখন কেমন জানি যানবাহনের মত লাগছে, ভাগ্যিস ধোঁয়া বের হওয়া শুরু হয়নি............
[যত রসিকতাই করি না কেনো, আমাদের দেশের মানুষের চরিত্র কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে তা ভেবে অবাক হচ্ছি!!!!!]
পুনশ্চ: খাবার সময় তো খাইয়া ফেলছি, হিসাব দিতে হবে সে চিন্তা করি নাই!! টেনশনে আছি, এখনো হিসাব দিতে বসি নাই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।