বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
জার্মান দার্শনিক নিৎসে (১৮৪৪ ১৯০০) গনতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন না; খ্রিস্টধর্মেও না, সমাজতন্ত্রেও না, প্রভূ জাতির কথা বলতেন নিৎসে। বলতেন অতিমানবের কথা ।
The Genealogy of Morals গ্রন্থে নিৎসে লিখেছেন-The sick are the great danger of man, not the evil, not the 'beasts of prey.' They who are from the outset botched, oppressed, broken those are they, the weakest are they, who most undermine the life beneath the feet of man, who instill the most dangerous venom and skepticism into our trust in life, in man, in ourselves…Here teem the worms of revenge and vindictiveness; here the air reeks of things secret and unmentionable; here is ever spun the net of the most malignant conspiracy – the conspiracy of the sufferers against the sound and the victorious; here is the sight of the victorious hated.
নিৎসে মারা যান ১৯০০ সালে।
হিটলার তখন একুশ বছরের তরুন; যেহেতু হিটলারের জন্ম ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল। তরুন বয়েসে নিৎসে পড়েছিলেন। নিৎসে গনতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন না; খ্রিস্টধর্মেও না, সমাজতন্ত্রেও না। প্রভূ জাতির কথা বলতেন নিৎসে।
অতিমানবের কথা বলতেন।
এসবই হিটলারকে উদবুদ্ধ করেছিল। নিজেকে অতিমানব ভাবতে শুরু করেছিলেন।
ভুলটা হয়েছিল ওখানেই। যেমন দূর্বল জাতি বলতে হিটলার ইহুদিদের বুঝেছিলেন।
নিৎসে সে ভাবে অবশ্য বলেন নি।
নিৎসে ছিলেন শিল্পমনস্ক। নিৎসের দুটি উক্তি পড়লেই বোঝা যায়।
An artist has no home in Europe except in Paris.
Art is the proper task of life.
শিল্পমনস্ক মানুষ কি কোনও জাতিকে ঘৃনা করতে পারে?
নিৎসের মতে দূবর্ল মানুষ আসলে শিল্পবোধশূন্য দূর্বল বোধের অধিকারী মানুষ।
যারা বাউলের ভাস্কর্য ভাঙ্গতে যায়!
কাজেই, হিটলারের হঠকারী সিদ্ধান্তের বশে জার্মান নাৎসীরা যে দু কোটি নিরপরাধ মানুষ হত্যা করল ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় -সেই মর্মান্তিক গনহত্যার সঙ্গে নিৎসের নাম জড়ানো অনুচিত।
নিৎসে ছিলেন সত্যদ্রস্টা।
তিনি চেয়েছিলেন শিল্পের শাসন, নির্বোধ মানুষের শাসন নয়।
তাঁকে আমাদের বড় প্রয়োজন। এখন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।