দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজারকে সাময়িক অপহরণের পর সরাসরি ভল্ট থেকে চুরি করা হয় ১১১ মিলিয়ন ডলার। একেবারেই গোছগাছ করে পেশদার লুটেরাদের কাজই ছিল এটি। ইতিহাসের অন্যতম কুখ্যাত লুটের ঘটনা এটি। লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার এলাকায় এই ন্যাশনাল সিকিউরিটি ডিপোজিটে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ক্যাশ টাকা রক্ষিত ছিল। 'সেইফ সিকিউরিটি বক্স' ভাড়া নেন নাইটসব্রিজের সিকিউরিটি ইনচার্জ।
নিরাপত্তার কোন কমতি ছিল না। হাতে হাতে বন্দুক নিয়ে পাহারায় ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী। কিন্তু লুটেরারা প্রথমেই তুলে নেয় ম্যানেজারকে। তার গাড়িতেই তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীকেও বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রাস্তায় সরিয়ে ফেলে তারা।
আড়ালে ভেতরে ঠিকই চলছিল লুটের সব আয়োজন। চোরের দল তখনকার সময়ে ৬৫ মিলিয়ন (বর্তমানে ১১১ মিলিয়নেরও বেশি) ক্যাশ ছিল ভল্টে। পুরোটাই চুরি করে তারা পালায়। পালিয়ে যাওয়ার প্রায় ঘ ঘণ্টাখানেক পর বহু কষ্টে একজন বন্দী নিরাপত্তাকর্মী নিজেকে মুক্ত করে অ্যালার্ম সুইচ টিপতে পারে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশের কাছে খবর পৌঁছে যায়।
অতি দ্রুত গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে পোঁছেন। কিন্তু ততক্ষণে পালিয়ে গেছে লুটেরার দল। তবে একটি হাতের ছাপ শনাক্ত করতে পারে পুলিশ। পরবর্তীতে এই হাতের ছাপের সূত্র ধরেই তদন্ত চালিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। হাতের ছাপটি ছিল ভ্যালেরিও ভাইসি'র।
অনেক পুলিশি অভিযানের পর তারা ভাইসিকে গ্রেফতার করতে পেরেছিল। উল্লেখ্য, আইনি সাজাপ্রাপ্ত ভাইসি পরবর্তীতে এই লুটের ঘটনা নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছিল আর সেটা দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।