সেন্সলেস অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় সামিয়াকে। বাবা একবারেই হতভম্ভ! কী থেকে কী হয়ে গেলো? সে কি খুব জেদী? সে কি অহঙ্কারি? সেকি বাবার বাৎসল্য নিয়ে জন্মায়নি? নিজেকে একরোখা বলে ভীষণ অনুতপ্ত হয়। চারপাশে অনেক লোক সামিয়ার। ডাক্তারের সংখ্যাও অনেক। বেশিরভাগই ওর বন্ধু।
স্যালাইন দিয়ে সুস্থ করা হচ্ছে। ... ...
নিশির আগমনে হঠাৎ হাসপাতালের চিত্রটা যেন বদলে যায়। সঙ্গে আসে ওর ছোট ভাই। আন্দালিব। অনেকগুলো ফুল হাতে ওর।
সরাসরি ভেতরে যায় না সে। পা ছুঁয়ে সালাম করে সামিয়ার বাবাকে।
এদিকে ফোনটা বেজেই চলছে বাসার। কাজের মেয়েটা সুযোগপেয়ে ঘুম দিয়েছে। নিশিকে দেখে চোখ মেলে সামিয়া।
বন্ধুকে জড়িয়ে সে কি কান্না নিশির। অনেকদিনের বন্ধুত্ব। একসঙ্গেই আছে ছোটবেলা থেকে। স্কুল জীবন,. প্রাইমারি জীবন এবংবিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও। নিশি হলে থাকত।
ওর সাবজেক্ট সাইকলজি। সামিয়া পরীক্ষার আগে গিয়ে ওর রুমে উঠত। একসাথে দুজনে পড়ত।
ফোনটা বাজতে বাজতে থামে আবার বাজে। অবশেষে ঘুম ভাঙে বুয়ার।
ফোন ধরে। জানায় সামিয়া হাসপাতালে। তারপর আবার ঘুম।
এদিকে ছেলেটি আসে সামিয়াকে দেখতে হাসপাতালে। যথেষ্ট হ্যান্ডসাম।
ওর ডাক্তার বন্ধুরাও একটু চোখ বাঁকা করে। কেই ভাবে না, তেমন কেউ হতে পারে না। সামিয়ার রুচি এতো নীচে নামবে না যে স্বামীকে একবছরের মধ্যে ভুলে গিয়ে আরেকজনের প্রেমে ঝুলে পড়বে। তবে এটা কে?
ছেলেটি সবার সাথেই করমর্দন করে। সামিয়া তাকায় ওর দিকে।
সবাই অপেক্ষা করে কী দৃশ্য হয়! কে ছেলেটি? যাকে কেউ চেনে না! তার সাথে কীসের সম্পর্ক সামিয়ার? সামিয়ার বাবাকে দেখে মনে হয় না সে ব্যাপারটা নিয়ে কিছু ভাবছে। ...
আমি...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।