আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্রাতা রাইসু কমেন্ট মুছলেন কেন? প্রিয় ব্লগারবৃন্দ রুখে দাঁড়ান, আরেকটি মাইনাস উৎসবে যোগ দিন



আমি দিন তিনেকের জন্য কুষ্টিয়ায় ছিলাম। সভ্য জগতের সাথে মোটামুটি সম্পর্কহীন। পেপারপত্রিকা, টিভি, নেট - কিছুই নাই, কেবল দুইদাগ চার্জ নিয়ে মোবাইলটি সক্রিয় ছিল। এবং ওই সক্রিতার সুবাদে জনাব মেসবাহ য়াযাদের কাছ থেকে একটি এসএমএস পেলাম। চারুকলার সামনে মানব বন্ধন ...দুপুর বারোটায় .... ব্যাকগ্রাউন্ডটা জানা না থাকায় এসএমএসটার পুরো বক্তব্যটা বোধগম্য হল না ... ওদিকে এক বাউল গভীর ধ্যানে দেহতত্ত্বের গান শুনাচ্ছে...মনোযোগটা ওইখানেই বেশি .... ঢাকায় ফিরে কাহিনী শুনলাম..পত্রিকা ঘেটে দেখলাম ..একটা মোটামুটি অবিশ্বাস্য ঘটে গেছে .... অবিশ্বাস্য ঘটনা আরও ঘটতে দেখলাম..পত্রিকায় পড়লাম আমিনী সাহেব ফুঁ দিয়ে শিখা অর্নিবাণ নিভিয়ে ফেলতে বলেছেন।

তার চাইতেও অবিশ্বাস্য ঘটনা এই কথা বলার পরও সরকার বা রাষ্ট্র তাকে কিছুই বলছে না .... আজ আরেকটি অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখলাম। সেটি হচ্ছে ব্রাতা রাইসুর পোস্ট। পোস্টে তিনি মূর্তি বনাম ভাস্কর্য নিয়ে একটি বিতর্ক তোলার চেষ্টা করেছেন। কেবল তা নয়, এইসব ভাস্কর্যের নান্দনিক সৌন্দর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার এই আপাত নিরীহ পোস্টটি পড়ে হঠাৎ মনে হতেই পারে, যাক ওগুলো দেখতে তো ততো ভাল ছিল না, ভেঙ্গে খারাপ হয় নাই ... আমি এটি নিয়ে মন্তব্য করলাম।

বল্লাম, এই বিতর্ক তোলার উপযুক্ত সময় এটা না। এখন এই বিতর্ক মৌলবাদীদেরই পক্ষে যাবে। উদাহরণ দিলাম, মুক্তিযুদ্ধের সময় যে পতাকা আমরা ব্যবহার করেছি, সেটার নান্দনিক সৌন্দর্য নিয়ে কারও কারও মনে দ্বিধা থাকতেই পারে, কিন্তু সেই বিতর্কের ধোঁয়া তো কেউ মুক্তিযুদ্ধের সময় তোলে নাই। উত্তেজনাটি বেশি থাকায় পর পর তিনটি মন্তব্য করলাম, মন্তব্যগুলো হয়তো কড়াই ছিল। শেষ মন্তব্যটিতে আমি তেইশতম মাইনাস দিলাম এবং আরেকটি মাইনাস উৎসবের আহবান জানিয়েছিলাম।

বলাবাহুল্য , উত্তর তো দূরের কথা তিনটি মন্তব্যই গায়েব। গায়ের হবারই কথা। আজিজ মার্কেটের এই সচতুর ধান্দালটির লুঙ্গির গিট যে প্রায় খুলতে বসেছে। যখন, আমাদের মতো দুই পয়সার সাধারণ মানুষেরা একটা জনমতকে জনপ্রতিরোধে পরিণত করার চেষ্টা করছে, তখন এই জাতীয় ফাতরা রাইসুরা কেন নান্দনিকতার দোহাই দিয়ে এই আন্দোলনকে পেছন থেকে ছুরি মারতে চাইছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করাটা খুবই জরুরি। এটাও জরুরী, ব্রাতা রাইসুর আয়ের উৎস কী? এই পোস্ট দেয়ার প্রেরণা তাকে কে দিয়েছে? আর এই ভাস্কর্যের নান্দনিকতার আলোচনা বেছে বেছে তিনি এই বিশেষ সময়ে কেনইবা তুললেন??? শত্রুকে সামনে থেকে মোকাবেলা করা যায়, প্রগতিবাদের বুলি কপচানো এইসব লোকেরা দাঁড়িয়ে তাকে আমাদের পেছনে ...বন্ধু হয়ে .... সঠিক সময় ছুরিটি বসিয়ে দেয় .... আর আমরা সামনে হাটতে গিয়ে দুই কদম পিছিয়ে যাই ... আমি দাবী জানিয়েছিলাম, এই সাবোটাজমূলক পোস্টটি অপসারণের জন্য।

সেই দাবী পুনব্যক্ত করছি। আর যতক্ষণ সেই দাবী বাস্তবায়িত না হচ্ছে ততক্ষণ ওই পোস্টে একে একে মাইনাস প্রদান করে আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টির জন্য প্রিয় ব্লগারদের আহবান জানাচ্ছি .... [এই পোস্টটি গতকাল রাত সাড়ে বারোটায় পোস্ট করেছিলাম। এখনও প্রথম পাতায় না আসায় পুনর্বার পোস্ট করলাম। শর্ষের ভেতর ভুত ঢুকলো কিনা- কে জানে]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।