পোস্টের শুরুতেই কিছু
কথা বলে নেয়া ভাল । অবশ্যই
এটা একটা ১৮ পোস্ট । এবং এই
পোস্টে যা আছে তা একটা বয়সে সবার
ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে ।
সো ব্যাপারটা কেউ অন্যভাবে নেবেন
না
"
"
"
"
"
১ম অভিজ্ঞতা , ছোট পর্ণ কার্ড দেখাঃ
এখনও মনে আছে । সেই ক্লাশ সেভেনের
কথা ।
তখন বন্ধুদের
কাছে ছেলে মেয়ে সম্পর্ক নিয়ে কিছু
কিছু শুনি । কিন্তু যাই শুনি কিছুই
বিশ্বাস করতাম না । আমার মনে হত নাহ
এটা হতেই পারে না । মানুষ এত খারাপ
হতেই পারেনা । আর বন্ধুরা খেপে যেত
এই কথা শুনে ।
ওরা আমাকে বিশ্বাস
করিয়েই ছাড়বে । যেই ভাবা সেই কাজ ।
পরদিন এক বন্ধু(আমাদের ক্লাশের
সবচেয়ে দূরন্ত ও দুষ্ট ছেলে) নিয়ে এল
মোক্ষম সেই জিনিস ।
গুণে গুণে তিনটা কার্ড । আমরা সবাই
কিছুটা উত্তেজিত ।
কখন দেখব কখন
দেখব । আমাদের আর তর সইছে না ।
৪৫মিনিটের ক্লাশ যেন আর শেষ হতেই
চায় না । ক্লাশেও কারও মন বসে না ।
সবার তখন একটাই চিন্তা কি থাকবে ওই
কার্ডে ।
অবশেষে এল সেই মোক্ষম সময় ।
ক্লাশের পেছনের বেঞ্চে গিয়ে সবাই
বসলাম । এবং ভাগ্য আমাদের এতই ভাল
এই ক্লাশটা অফ । স্যার আসেনি ।
ছাত্ররা যেন গ্যাঞ্জাম না করে এই জন্য
ক্লাশ ক্যাপ্টেন সামনে দাঁড়িয়ে নাম
লিখতে শুরু করল ।
কিন্তু কিসের কি ।
আমরা তখন কার্ড দেখার চিন্তায়
বিভোর । এরপর তন্ময় বের করল সেই
জিনিস । আরে জিনিসও একখান ।
আগে কখনওই দেখি নাই ।
বাপরে সে কি স্ট্যাইল । ৭ জন পোলাপান
আমরা তিনটা কার্ড ।
টানাটানি হুড়োহুড়ি । তবুও দেখার স্বাদ
মেটেনা । এদিকে ক্লাশে এমন
গ্যাদারিং দেখে ক্লাশ ক্যাপ্টেন অনিক
এগিয়ে ঘটনা কি দেখতে ।
অতি ভদ্র
অনিক কার্ড দেখে দুই
হাতে মুখে দিয়ে বলে উঠল " হায় আল্লাহ
তোমরা এইসব কি দেখ "
ভয়াবহতম দ্বিতীয় ঘটনাঃ তখন ক্লাশ
এইটে উঠছি ।
যাকে বলে পুরোপুরি উন্মাদ আমরা ।
কার্ড ছাড়া চলছেই না । কয়েকবন্ধু
মিলে দরকার হলে কার্ড কিনতাম , তবুও
নতুন নতুন কার্ড দেখা চাইই চাই ।
এভাবে ২০ টার মত কার্ড জমিয়েছিলাম
।
ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ দেখে বিছানার
নিচে রেখে ঘুমাতাম । ভালই কাটছিল
দিনগুলো । এরপর একদিন আব্বু
আমাকে বলল " তোষক
উঠিয়ে ছাদে যাওয়ার সময় তোমার
বিছানায় কিছু কার্ড পেয়েছিলাম ,
আমি সেগুলো ফেলে দিয়েছি ,
খুজে খুজে আবার হয়রান হইয়ো না "
কার্ড নিয়ে বিচ্চিন্ন কয়েকটা মজার
ঘটনাঃ তখনও কার্ডই আমাদের
কাছে সেরা পর্ণ । যার কাছেই
একটা কার্ড আছে সেই মুটামুটি সকলের
কাছে কাংখিত মানুষ । কিন্তু
এভাবে সকলের
কাছে চেয়ে চেয়ে দেখতে আর ভাল
লাগছে না ।
এবার আমার এক বন্ধু প্ল্যান
করল ও নিজেই কয়েকটা কার্ড কিনবে ।
আর পুরো শহরে বুড়ো চাচার দোকান
ছাড়া আর কোথাও কার্ড পাওয়া যায়
কিনা কেউই জানি না । তো একদিন স্কুল
ছুটির পর আমি আর আমার বন্ধু গেলাম
সেই দোকানে । একটা সিনেমা হলের
পাশেই ছিল দোকানটা । আর ওইসময়ের
সিনেমার কথা কি বলব ।
এক টিকিটে দুই
মুভি । তাই ওই এলাকায় গেলেই
কিছুটা ভয় লাগত । কেউ
যদি দেখে ফেলে । বুকটা দুরু দুরু করছে ।
দুরু দুরু বুক নিয়ে ঢুকলাম দোকানে ।
হাতে নিয়ে কার্ড পছন্দ
করছি(আসলে দেখতেছি ,
সবগুলো তো কেনা সম্ভব না) । হঠাত স্কুল
পুড়ুয়া আমাদের বয়সি দুইটা মেয়ে এল ।
ইস লজ্জায় আমরা শেষ । যাই হোক
মেয়ে দুটো দোকানে ঢোকার পর
বুড়ো চাচা আমাদের
বেরিয়ে যেতে বললেন । রাগ
যা লেগেছিল না ।
শালা মেয়েদের
এখনও লুল হয়ে যায় । আমরা দোকানের
বাইরে দাঁড়িয়ে আছি । মেয়ে দুটো কার্ড
দেখছে । হঠাত একটা মেয়ে বলে উঠল
"দেখ এই মেয়েটা বুবস
আমারটা থেকে কয়েকগুণ বড় হবে , বলেই
খিল খিল হাসি "
আরেকদিনের ঘটনা । এবার পরীক্ষার
হলে ।
পরীক্ষার দিন আমাদের
পাশে ক্লাশ নাইনের সিট পরেছে । বড়
ভাইরা পরীক্ষা দিচ্ছে । হঠাত আমাদের
স্কুলের সবচেয়ে লুল মার্কা স্যার
সাইদুর স্যারের চোখ পড়ল এক বড়
ভাইয়ের মানিব্যাগের দিকে ।
ব্যাগটা ফুলে প্রায় ঢোল । স্যার
ব্যাগটা চেয়ে নিজের কাছে নিয়ে আপন
মনে সব কাজ টাকা বের
করে দেখতে লাগল ।
এর
মধ্যে বেড়িয়ে পড়ল সেই জিনিস ।
স্যারের চোখ তো আর সরে না ।
গুণে গুণে ৫২ টা কার্ড স্যার অনেক সময়
নিয়ে দেখলেন আর হাসলেন । বড় ভাই
তো লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে ।
বেচারা কিছু লিখতেও পারছে না ।
অবশ্য স্যার ভাল মত
কার্ডগুলো ব্যাগে ভরে আবার ফেরত দিল
। আর দেয়ার সময় বলল " এত বড় হইছছ
এখনও কার্ড দেখস কেন "
এটাও আমাদের ক্লাশরুমের ঘটনা ।
আমরা ছিলাম মর্নিং শিফট । তাই
ডে শফটের ছাত্রদের অনেক কর্মকান্ডই
আমাদের ক্লাশে থেকে যেত ।
প্রতিদিনের মত সেদিনই
যথারীতি বসেছি ক্লাশের মাঝখানের
বেঞ্চে ।
বন্ধু মামুন হঠাত করেই
বেঞ্চের নিচে পেয়ে গেল একটা কার্ড ।
সবাই সেটা দেখার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু
করল । কার্ড ঘুরতে লাগল এক হাত
থেকে আরেক হাতে । কিন্তু
সবচেয়ে দূর্ভাগা ছিল সজীব ।
বেচারা যেই কার্ড
হাতে নিয়ে দেখতে লাগল ।
হঠাত
স্যারের হুঙ্কার । তোর হাতে কি ?
পড়বি তো একেবারে মালির হাতে ।
স্যার ছিলেন আমাদের আরবী স্যার ।
কার্ডটা হাতে নিয়েই স্যারের হুঙ্কার
"নালায়েক , জানোয়ার ক্লাশের
মধ্যে এসব কি " বলেই পেটাতে লাগল
বেচারাকে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।