[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
এত ক্যাচালের পর ...কি কি বলা উচিৎ সেটাই নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
খুব সংক্ষিপ্ত সারে বললে বলতে হয়, আড্ডা জনিত ক্যাচাল এই প্রথম নয়, এর পূর্বেও আমরা আডডার পরবর্তীতে নানা ক্যাচালের অবতারণা দেখেছি। মনে হয় তাই, একদল ক্যাচাল বাঁধানোর জন্যই ব্লগার হয়েছেন। কোন ইস্যুই তারা মিস করতে চান না। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো , পৃথিবীতে ইস্যুর কোন অভাব কচ্ছিন কালেও হয়না হয়নি, হবেনা।
কিন্তু কথা থাকে এই বারেরর ক্যাচলের কারণ- ব্লগের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি ত্রিভূজ এসেছিল।
ব্লগের পূর্বেকার সকল আড্ডা ( যতগুলাতে আমি গিয়েছি, গোটা ৭/৮ তেক এর কমনা) , অপেন ফর অল টাইপই ছিল বলে আমার জানা এবং দেখা। তবে একটা আড্ডা ছিল কোন এক ব্লগারের বাসায় যেখানে ক্যাচাল জনিত কারণ এর ব্যাপকতা বৃদ্ধির কারনে দাওয়াত দেয়ার রেওয়াজ চালু হয় সেই আড্ডার ক্ষেত্রে । কিন্তু সেই আড্ডা টি শেষ পর্যন্ত সফল হয়নাই। আমার বিশেষ ভাবে মনে থাকার কারন, আমি দাওয়াত পাওয়ায় নির্ধারিত দিনে রেডি ছিলাম, কিন্তু শেষ মুহূর্তে কপাল গুণে হোস্টকে ফোন করায় ক্যানসিল সংবাদটা পাই।
সুতরাং ওপেন আড্ডায় কে আসবে , আর কে এল, আর কে ঘোষনা দিল আসবে বলে, কে ঘোষনা দিলনা আসবে বলে সে সব বিচার করার অবকাশ কি করে থাকবে তাদের কাছে সত্যিকারে যারা এরকম আডডায় আসতে চান।
এখন আড্ডা এভাবে ঘোষনা ছাড়াও হয় , হয়েছে, হবে। ইনটিমিসি এক এক জনের সাথে এক এক রকম গড়ে উঠেছে। সেটাই স্বাভাবিক। আজিজের সামনে িতনজন ব্লগারেরর দেখা হয়েই যেতে পারে, আডাও হতে পারে।
সেটা ওপেন আড্ডা নয়। অঘোষিত, সেখানে আপনি বা আপনারা কাউকে এলাউ করতে না ও পারেন।
কিন্তু ওপেন আড্ডায় কোন ব্লগারকে এড়াবেন কি করে? কেন এড়াবেন?
যাকে ব্লগে ব্লগার হিসাবে মেনে নিয়ে ব্লগে লিখতে পড়তে আসতে পারেন, তাকে আড্ডায় দেখলে গা গুলিয়ে ওঠাটা স্ববিরোধি মনোভাব।
তারপরও কথা থাকে , সাচ্চা মনের মানুষ হলে , যদি সত্যিকার প্রমাণ সহকারে দৃঢ় বিশ্বাস হৃদয়ে লালন করে কেউ কারও বিরুদ্ধে, তবে প্রকাশ্যে আড্ডায় তার বিরুদ্ধাচারণ করা অত্যাবশ্যক। সেটা দায়িত্বও বটে।
আড্ডার পরে ব্লগে এসে মেকি ভালোমানুষি দেখানো টা দৃষ্টি কটু মনে হচ্ছে।
আমি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে মনে প্রাণে রাজাকার হারামী কুত্তাগুলারে মহাঘৃণা করি। কিন্তু আমারা নিজেরা ওই কুত্তাদের কাছ থেক কিছু বদগুণাবলী অর্জন করে ফেলেছি, যেটা হলো নিজ জাতির প্রতি ঝগড়াঝাটির উস্কানী।
কই সাধু সুবোধ ব্লগার , যারা বলছেন , ভুল করে আড্ডায় এসেছিলেন, তারা ত্রিভূজকে চলে যেতে বলতে পারতেন, কেনো এসেছে জিজ্ঞেস করতে পারতেন।
প্রকাশ্যে অন্তত বলতে পারতেন ত্রিভূজ থাকে যেখানে সে আড্ডা হবেনা।
কিন্তু তা না করে পিছে গিয়ে ফুসফাস করছেন।
বুঝিনা, একটা ছেলে, এক ত্রিভুজকে এত বেশী পাত্তা দিয়ে হিরো বানানোর কি আছে!
কে জানি বলেছেন, আড্ডার ঘোষণা দেয়া পোষ্ট দুটো মুঝে দিয়েছি। আসলে মুছিনি। ড্রাফট করেছি। অপ্রেয়াজনীয় পোষ্ট মনে হয়েছ তখন যখন বুঝিনি এত ক্যাচাল হবে , মুছেছি তখন।
তবে মনে হয় সেকানে ঢু মারার কিছূ নাই। সম্ভবত যতদূর মনে পড়েত্রিভূজ বলেছিল, হয়তো আসতে পারি।
শেষ কথা বলতে চাই----সমাধান নিচের তিনটির যেকোন একটিই আসলে
(১) ওপেন ব্লগ আড্ডা বন্ধ করে দেয়া
(২) কোন আড্ডা নিয়ে কোন ক্যচাল এর ইস্যু না খোঁজা, অথবা
(৩) ওপেন আড্ডায় ব্লগের মত সকল ব্লগারের উপস্থিত মেনে নেয়া
আরেকটি কথা ব্যক্তিগত, আমি আছি যে কোন আড্ডায় সময় প্রাপ্তি সাপেক্ষে , কারও গুহ্যদারে হাত ঢুকিয়ে চলিনা, কে আইলে আর কে আইলো না তার জন্য আমার যাওয়া বন্ধা করার মত হীন মানসিকতা আপাতত নেই। আমার স্বাধীন বাংলার পথের যেকোন স্থানে আমি আড্ডা দেব , কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের জন্য পথ থেকে চলে আসব বা আসতে কেনো চাইব। ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।