আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাবি-জাবিঃ এ্যালিয়্যান হিসাবে এক বছর



Click This Link অগাষ্ট 12, 2008 by naushadzaman হাবি-জাবিঃ এ্যালিয়্যান হিসাবে এক বছর এ্যালিয়্যান শব্দটা শুনলে যেই অর্থটা মাথাই আসে, সেইটা হল এ্যালিয়্যান, মানে কোন একটা কিছু এই দুনিয়ার বাইরের। কিন্তু এই যুক্তরাষ্ট্রে আসার সময় আমাদের কিছু ফর্ম ফিলাপ করতে হয় এ্যালিয়্যান হিসাবে। এবং এর পরে কেউ যদি ভুলে যায় যে সে একটা এ্যালিয়্যান, প্রতি বছর ট্যাক্স এর সময় তাকে মনে করাই দেয়া হবে যে সে অাসলে এ্যালিয়্যান। যদিও ৫ বছরের আধিক সময় থাকলে, ট্যাক্স এর হিসাবে সে নাগরিক কিন্তু এমনি আবার এ্যালিয়্যান! মানে ফাইজলামির শেষ নাই। কিন্তু এই এক বছর “এ্যালিয়্যান” হিসাবে থাকলেও নিজে কে কোন দিন “এ্যালিয়্যান” মনে হয় নাই।

শুধু আমি না, আমার জানা মতে, যে এই দেশে এসেছে, তার একি মন্তব্যই হবে। আমার হইত এই ধারনা আরো বেশি, কারন আমার জ্ঞ্যান বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটা জার্মান কম্পানিতে সীমাবদ্ধ। চাকরিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় এ আসলে বাইরের মানুষই এত বেশি, দেখে মনে হই এ্যালিয়্যানদেরই রাজত্ব। আমি এই গ্রীষ্মে একটা জার্মান কম্পানিতে ইন্টারনশিপ করেছি এবং সেই খানে হাতে গুনা কয়েকজন আমেরিকান। আর আমার একটা বন্ধু ইন্টেল এ ইন্টারনশিপ করছে, সে বেশ মজার একটা গল্প বলছিল সেইদিন।

আমার সেই বন্ধু, তার আরেক বন্ধুর জন্য ইন্টেল এর লাউন্জ এ অপেক্ষা করছিল। তখন সে বসে বসে মানুশ গুন্ছিল এবং একশজন পর্যন্ত গণনার পরে দেখল, ৭৭ জন ই এশিয়া বংশৌদ্ভূত। আসলেই এ্যালিয়্যানদেরই রাজত্ব! সিলিকন ভ্যালি তে অধিকাংশ কম্পানি এরই একি অবস্থা। কম্পানিগুলার মানুষগুলা আসে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে, সুতরাং, অনুপাত তা সেই খানেত্ত অনেকটা একি রকম। যদিও র্যাঙকিং এর একদম উপরের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ হইত অধিকাংশই আমেরিকান থাকে, কিন্তু বাকি অনেক গুলোতে আমেরিকানরা আসলে সংখ্যাগুরু না।

অন্ত্যত আমার মাত্র এক বছর এর অভিজ্ঞতা থেকে তাই ই মনে হয়েছে। ভাল দিকটা হল, এই কারনে এ্যালিয়্যান হয়েও নিজেকে মাথায় সিং ওয়ালা এ্যালিয়্যান মনে হয় না, কারণ অধিকাংশই এ্যালিয়্যান। অারেকটা ব্যাপার হলো, এই দেশ টার জন্ম অাসলে এ্যালিয়্যান দেরই নিয়ে। অাদিবাশী, মানে অাসল অামেরিকানদের দেখা বড় ভাগ্যের ব্যাপার। কেউ হয়ত পাচ পুরুষ অাগে এ্যালিয়্যান ছিল, কেউ বিশ পুরুষ।

সুতরাং সবাই এই এ্যালিয়্যান দের খুব সহজভাবে গ্রহন করে নিতে পারে। যদিও এই চিত্রটা বিশ্ববিদ্যালয়, অাইটি কম্পানি, বড় শহরে অনেক স্বাভাবিক হলেও, ছোট শহর অথবা মাঝখানের স্টেট গুলোতে শুনেছি বিপরীত চিত্র। যাই হোক, এই এক বছর পর অামাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, এই এক বছরে অামার সব থেকে কি বেশি ভালো লেগেছে, প্রথমটা অামি সাথে সাথেই বলতে পারবো কিন্ত এর পরেরগুলা ক্রমানুসারে বলতে হয়ত বেশ সময়ই লাগবে। অার প্রথমটা হল এই খানের খাওয়া দাওয়া। অামেরিকার খাওয়া দাওয়া বলতে অামাদের অধিকাংশ এরই ধারণা হচ্ছে ম্যাকডোনাল্ডস, কেএফসি, এইগুলো।

কিন্তু এই খানে অাসলে বুঝা যাই এই গুলো থেকে অনেক ভালো খাওয়া অাছে এই খানে, অার সেই টা হল সব দেশের খাবার। এই খানে বড় শহর গুলোতে, অনেক দেশের বংশৌদ্ভূত মানুষ থাকার জন্য অনেক দেশের খাওয়া পাওয়া যায়। নিউ ইয়র্ক, টরোন্টোর মতো বড় শহরে হয়তো যেকোন দেশের খাবার পাওয়া যাবে এবং খুব সহজে। কিন্তু মোটামুটি শহরেও অনেক দেশের খাওয়া পাওয়া যায় এবং অন্যান্য খাবারের দামেই। অবশ্যই এখানের শিক্ষা, বিভিন্ন দেশের বন্ধু, সব কিছুই অামার জন্য অনেক বড় অভিজ্ঞতা, কিন্তু খাবারটা নির্দ্বিধায় অামি সবথেকে বেশি উপভোগ করেছি এই এক বছর! নওশাদ ১২ অগাষ্ট ২০০৮ পালো অাল্টো, ক্যালিফোর্নিয়া ব্যবহার যোগ্য বাংলা মনে করতে পারিনিঃ ফর্ম ফিলাপ, র্যাঙকিং যে সব শব্দ নিয়ে সন্দেহ আছেঃ বংশৌদ্ভূত অনেক দিন পরে ব্যবহার করলামঃ নাগরিক, গ্রীষ্ম



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।