কথায় আছে, সময় নাকি দুঃখ উপশম করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দুঃখগাথা চাপা পড়ে যায়। মানুষ নাকি ভুলে যায় অতীতে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর দুঃখের কোনো স্মৃতি। কিন্তু সব সময় কি তা হয়? ক্যালেন্ডারের পাতায় দুঃসহ স্মৃতির ওই দিনটি ঘুরেফিরে এলে কি তা মানুষকে নাড়া দিয়ে যায় না? অবশ্যই যায়। ক্যালেন্ডারের পাতায় কিছু তারিখ, কিছু মুহূর্ত আছে, যা মানুষকে নাড়া দিয়ে যায় ভয়ংকরভাবেই।
তীব্র আক্ষেপে তখন মন-প্রাণ হয় বিষণ্ন্ন। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী তথা ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের জন্য ৬ সেপ্টেম্বর তারিখটিও তেমনই একটা দিন। আজ থেকে ১০ বছর আগে ঠিক এই দিনেই এ দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ বিষণ্ন হয়েছিল না-পাওয়ার অবর্ণনীয় এক বেদনায়। আশাভঙ্গের দুঃখ সেদিন গ্রাস করেছিল এ দেশের সচেতন প্রতিটি মানুষকে।
২০০৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ছিল শনিবার।
১০ বছর আগের ওই রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনটি শুরু হয়েছিল বিশাল এক উত্সবের অপেক্ষায়। কিন্তু দিনের অর্ধেক সময় পেরোতে না পেরোতেই সেই উত্সবের অপেক্ষা পরিণত হয়েছিল আশাভঙ্গের নিদারুণ এক যন্ত্রণায়। দেশের ক্রিকেট সেদিন নীল হয়েছিল তীরে এসে তরি ডোবার বেদনায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে মুলতানের মাটিতে ১০ বছর আগের এই দিনেই প্রথম টেস্ট জয়ের উন্মাতাল আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশ। বঞ্চিত হয়েছিল চরম দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে; ইনজামাম-উল হক নামের এক অসাধারণ ব্যাটসম্যান সেদিন নিজের ব্যাটিংশৈলীর অনুপম প্রদর্শনী ঘটিয়ে বাংলাদেশের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছিলেন নিশ্চিত এক জয়।
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আড়াই বছরের মাথায় পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের সমূহসম্ভাবনায় উত্সব-প্রস্তুতি সেদিন বাংলাদেশের জন্য বিষণ্ন কান্নায় পরিণত হয়েছিল বিধাতার অদ্ভুত এক খেয়ালে। মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক উইকেটের ব্যবধানে ওই পরাজয় তাই পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের চিরকালীন দুঃখে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।