জনসম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনা
দেশের রাজনীতি আবারও অসুস্থ্ ধারায় এগোচ্ছে। জরুরি অবস্থার দীর্ঘমেয়াদি শাসনেও পরিবর্তনের প্রগতিশীল ধারায় সূচিত হয় নি রাজনীতির। কী হবে, কী হচ্ছে- বুর্জোয়া রাজনীতির ঘেরাটোপে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি। ১/১১ নানান রঙ্গ আর বর্ণ নিয়ে এলেও সমাধানের পথ বাতলাতে পারেনি এখনো। দুই নেত্রীর মাইনাস প্রচেষ্টা বুমেরাং হয়েছে।
কিন্তু এসব ডামাডোলে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল ভবিষ্যৎ। বিপুল জনসংখ্যা জগদ্দল পাথরের মতো বাড়ছে। এই জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তর ও কাজে লাগানো ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী? কিন্তু পরিকল্পনা কই? বিনিয়োগ কই জনসম্পদ বিনির্মাণে?
জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের চেষ্টা চলছে বিশ্বজুড়ে। সমাজতান্ত্রিক দেশ চীন তার বড় উদাহরণ। উদাহরণ পাশের দেশ ভারতও।
দুই প্রতিবেশী ভারত ও চীনের অর্থনীতি বেড়ে উঠছে মানবসম্পদের গুণেই। ক্রমেই বড় হচ্ছে তাদের বাজার।
পরিবর্তিত বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দুনিয়াজোড়া নানান সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্বের কায়িক শ্রমের কাজ, মধ্যমমানের মেধাভিত্তিক কাজ এতদিন দখলে রেখেছিল ভারত আর চীন । তাদের বৈষয়িক, অর্থনৈতিক উন্নতির ফলে এসব কাজ এখন ক্রমশ ছেড়ে দিচ্ছে তারা।
পশ্চিমা বিশ্বে এখন একটা বড় শ্রম বাজার তৈরি হচ্ছে। এই বিশ্ববাজারে ঢোকার জন্য চাই কিছু প্রস্তুতি। ইংরেজি, চায়না, স্প্যানিশ ভাষাভিত্তিক জ্ঞানকে পুঁজি করে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিলে বাংলাদেশ সেই বাজারে আশ্রয় নিতে পারে। তৈরি করতে পারে একটা সুযোগের সম্ভাবনা।
মধ্যপ্রাচ্যের বাজার যখন সঙ্কুচিত হচ্ছে, তখন ইউরোপ, আমেরিকায় নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে না পারলে বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যার প্রতিপালন কঠিন হয়ে পড়বে।
এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে শ্রমবাজার খোঁজা, শ্রমবাজারের জন্য যোগ্য জনসম্পদ তৈরির উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। বিশেষ পরিকল্পনা আর বিনিয়োগের মাধ্যমে জনসম্পদ তৈরির এসব উদ্যোগ এখন খুব দরকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।