আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মরা নিয়েও তামাশা করা যায়।



বিশিষ্ট নারীবাদি লেখিকা মিনাফারাহ’র ছেলে সম্প্রতী এক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসাধীন আবস্থায় মারা যায় গেল সপ্তাহে। মিনা ফারাহ যে হিন্দু ছিল সেটা জানলাম গতকাল দৈনিক আমাদের সময় পএিকার শেষ পাতায় তার ছেলের হিন্দু নিয়মে আন্ত্যষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার খবরটি ছাপানোর ফলে। আমি লাইব্রেরী তে প্রায়ই তার লেখা জনকন্ঠতে পড়তাম। প্রথমে নিয়ইর্কের মুসলিম সম্প্রদায় তার ছেলের লাশটি দাফন করার জন্য নিয়ে গেলে মিনা ফারাহ তাতে বাঁধা দেয়। এতে মুসলিম কামিউনিটির সাথে মিনাফারাহ পক্ষ অবলম্বন কারীদের মধ্যে এক বিবাদের সুএপাত হয়।

বেচারা মিনা ফারাহর সন্তান শাফায়েত মরে ও শান্তি পেল না। আমার প্রশ্ন মিনা ফারাহর কাছে। আপনি নিজে নাম পরিবর্তন করে মুসলামান নাম নিয়ে যদি চলতে পারেন তবে মুসলিম রীতি গুলি কেন পালন করবেন না। তাছাড়া আপনি যে হিন্দু রীতি বা প্রথা গুলি মানেন সেটাতো কোন দিন আমরা দেখলাম না । হঠাৎ হিন্দু হওয়ার খায়েস কেন মনে জাগলো তা আপনি যদি আপনার কোন কলামে জানাতেন তাহলে বিষয়টা পরিস্কার হত।

আজ আবার আমাদের সময় পএিকা লেখল যে আপনার ছেলে শাফায়েত নাকি নিয়মিত নামাজ পড়ত ও রোজা রাখত। পএিকার কথাটা বিশ্বাস করলাম না এই কারণে যে আপনি নিজেই লিখেছিলেন আপনার কলামে যে আপনার ছেলেরা পাশ্চাত্য সংস্ক্রতিতে চলতে অভ্যস্ত। তাই পএিকার ছাগু সং-বাদিকরা যে মিথ্যা খবর প্রকাশ করছে সেটা আমি জানি। আপনাকে অনেক বার একুশে টিভিতে দেখেছি। আপনার প্রিয় পএিকা জনকন্ঠের সময়ের কলাজ যিনি লিখতেন তিনি একবার তার অনুষ্ঠানে আপনাকে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন ।

সেখানে আপনার হতে, গলাতে, কপালে হিন্দুর কোন চিহ্ন আমি দেখি নাই। আমদের সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা একটা তামাশা করে বেড়ায় সবসময়। মৃত্যুর সময় তাদের সে তামাশাটা আরো জমজমাট হয়। যেমন দেখলাম নীলিমা ইব্রাহিম নামক এক ব্যক্তির দফন। এখন মুসলমান বিয়ে করে বেচারা মুষলমান হয়েছে সে কোন দিন নামাজ রোজা পড়ত কিনা জানি না কিন্তুু তাকে দাফন করা হয়।

তাই আমার প্রশ্ন হিন্দুর ঘরে জন্ম নিয়া যদি দাফন জায়েজ হয় তবে মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়া পোড়ানো কেন জায়েজ না। বরং শাফায়েতকে পেড়ানো টাতো বেশি জায়েজ কারণ তার মা তো হিন্দু ছিল অন্যদিকে ড. নীলিমা ইব্রাহিমের মা ও বাবা যে দু’জনেই হিন্দু।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।