বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
বেশ কয়েকবছর আগের কথা। রোজা চলছে, প্রায় মনে হয় ১০/১২ টা রোজা হয়েছে। এমন সময় জানতে পারলাম সে বারের ফিতরা জনপ্রতি ২৪ টাকা। জুম্মার দিনে মসজিদের ঈমাম সাহেব বয়ান রাখলেন ফিতরা এবং যাকাতে উপর।
রোজার দিন গুলোর শুক্রবারে মসজিদে প্রচন্ড ভীড় থাকে। এবং মসজিদের দান বাক্সগুলো বেশ ভার হয়ে যায়। এর মূল কারণ হলো রোজার দিনে মানুষের দানের হাত বড় হয়।
যাইহোক, জুম্মার পর পরই একজন ভিক্ষুক আমাদের বাসায় আসলেন। উনি জোড়পূর্বক সেদিনের ইফতারীর দাওয়াত নিজে নিজেই নিয়ে নিলেন।
যেন অনেকটা এমন যে, "এই তোরা ভালো করে ইফতারী বানা, আমি আসতেছি"। যাক সমস্যা নাই, আমরাও মেনে নিলাম। একজন মেহমান আজ আমাদের সাথে ইফতারী করবেন এটা তো খুশীর কথা। উনি প্রায় চলে যাচ্ছিলেন, এই ফাঁকে কি মনে করে এক ধাপ পিছিয়ে আবারো আমাকে ডাকলেন। বললেন, "ফিতরাটা দেন তো বাবা।
"
আমি তাকে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতর থেকে দুইটাকার একটা নোট এনে তার হাতে দিলাম। উনি দেখে চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকালেন। যেন খেয়ে ফেলবেন। বললেন, "এইটা কি করলেন? এইটা কিমুন ধরনের কথা? সবাইরে দিবেন ২৪ টাকা আর আমারে দিলেন ২ টাকা? এইটা কোন ইনসাফ হইলো? নিমুনা ফিতরা, আমারে ২৪ টাকাই দেওন লাগবো। "
আমি একটু হতচকিত হয়ে গেলাম।
বুঝলাম না উনি কি বলতে চাইছেন। পরে বুঝলাম মসজিদে হুজুরই যত অকামটা করেছেন। যেহেতু উনি বলেছেন, জনপ্রতি ২৪ টাকা। তাই উনি নিজেই ২৪টাকা চাইছেন। আসলে পরিবারের জনপ্রতির হিসাব ঐটা।
আমি কিছুতেই ঐ ভিক্ষুককে বোঝাতে পারলাম না আসল ব্যাপারটা। ঠান্ডা মাথায় চেষ্টা করলাম। উনি শেষে ঐ ২ টাকা নিয়েই চলে রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেলেন। মনে করেছিলাম ইফতারীর সময় ওনাকে ব্যাপারটা বোঝাবো। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের ব্যাপার উনি ইফতারী আসলেন না।
বুঝলাম উনার সাথে জালিয়াতি (!) করার জন্য উনি আমার বাসার মেহমানদারী নিলেন না। কষ্ট পেলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।