আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসিনা -খালেদা বৈঠকঃএক জন আশাবাদি জাফর ইকবালের কাছে প্রত্যাশা।

ব্যস্ত শহর ঠাঁস বুনটের ভিরে আজো কিছু মানুষ স্বপ্ন খুজে ফিরে........

জাফর ইকবাল স্যার। আমার ধারনা,যার জীবনে এতটুকু আশা নেই,দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সেই মানুষটিকেও আশা দিতে পারেন তিনি। তাই স্যারের কাছে আমি আজ একটুকু আশা প্রত্যাশা করছি। বছর খানেক পর জেল থেকে আজ জামিনে ছাড়া পেলন বি এন পি প্রধান খালেদা জিয়া। মাস খানেক আগে হাসিনাও সাময়িক ছাড়া পেলেন।

আজ উপদেষ্টা হোসেন জিল্লোর রহমান বলেছে,সরকার চাচ্ছে এই দুই নেত্রিকে এক টেবিলে বসাতে!!!! সবার জানা জাতীয় কোন ইস্যুতেই দুটি দল এক হতে পারেনা। তাই আমি কোন আশা দেখি না। আমি কখনই মনে করি না বি এন পি যে নীতি নিয়ে চলছে তাতে আওয়ামিলীগের পক্ষে বি এন পির সাথে কোন বন্ধুত্ব পুর্ন পরিবেশে রাজনিতি করা সম্ভব। কেন? তার কিছু কারন তুলে ধরছি, # শেখ মুজিব কে যারা হত্যা করেছে,সে আত্ম স্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুখ এক সাক্ষাতকারে ১৯৭৫ সালেই বলেছেন,জিয়ার কাছে তারা পরামর্শ চাইতে গেলে জিয়া তাদের বলে,GO FORWORD!!click here তার পর ইন্ডেমিনিটি অর্ডিনেন্স করে জিয়া সেই সব আত্ম স্বিকৃত খুনিদের বিরুদ্ধে যে কোন প্রকার আইনি প্রক্রিয়া গ্রহনের পথ বন্ধ করে দিলেন। (যখন এটা আমার মনে হয়,লজ্জা লাগে ভাবতে যে আমরা নিজেদের সভ্য বলে দাবি করি।

রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে,তাই বলে রাষ্ট্র এভাবে খুনিদের পক্ষ নেবে!!) শুধু তাই না ,সকল খুনিদের রাষ্ট্র দূত করে পুরষ্কৃত করে জিয়া। জিয়াকে নিশংশ ভাবে হত্যা পর, বি এন পি আবার ক্ষমতায় আসে ৯১ এ,তাখনো বহাল রাখে,এটা। এটা বাতিলের জন্য সংসদে বিল আসলেও তা পাশ হতে দেয় নি। ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা চলে মুজিব কে। ভাব খানা এমন ( ৭৫-৯৬ & ২০০১-২০০৬ ) যে মুজিবের স্থান ইতিহাসে নেই।

২০০১ সালে নতুন মাত্রা আসল,স্বাধিনতা ঘোষনার ইতিহাস পালটে পাঠ্য বইয়ে জিয়াকে ঘোষক বলেই খান্ত হয় নি,২৭ মার্চের সে ঘোষনা কে২৬ মার্চ বলে বিকৃত করতও লজ্জা পায় নি। (জিয়া যে মুজিবের পক্ষে ঘোষনা দিয়েছেন,তা সেই ঘোষনাতেই জিয়া নিজ মুখে বলেছেন। তাই না শুধু,মুজিব কে তিনি বাঙ্গালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বলে সম্ভোধন করেছেন)(সেই ঘোষনার অডিও)click here #২০০১ -২০০৬,আওয়ামি দলীয় এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টার,্সাবেক মন্ত্রি কইব্রিয়া কে হত্যা করা হয়। ১ম টিতে বি এন পি নেতার ফাসির আদেশ হয়েছে,২য় টির কথা সবাই জানেন। তার পর ২১ অগাস্ট!!সংসদে এটা নিয়ে কৌতুক করতেও ছাড়েনি বি এন পি!!!(এত গুলি গ্রেনেড মারা হইল!!একটাও লাগল না !!!ইত্যাদি বলে) তদন্তের নামে প্রথমে আওয়ামিলীগকেই দায়ি,তার পর এক নিরিহ জজ মিয়া কে জরিয়ে ফিল্মি কাহিনি বানাতেও ছাড়েনি।

১/১১ এর পর বেড় হয় সেই কাহিনি। এখন পুনরায় তদন্তে বেড় হয়েছে বি এন পি মন্ত্রির পরিকল্পনার কথা!!এই অভিযো্গে যিনি এখন জেলে। এক জন সাধারন মানষ ও এটা বুঝে,বিরুধি দলের প্রধান কে হত্যার জন্য যেখাম্লায় মন্ত্রি জড়িত,তাতে সরকারের মদদ ছিল কিন তা। যা পরবর্তিতে মামলা তদন্তের নামে প্রহশনের মাঝে দিয়ে প্রমানিত। (২২ জানুয়ারি পাতানো নির্বাচন কে ঘিরে বি এন পির কায্যকলাপ এখন না হয় বাদ দিলাম) এত কিছুর পরও,বি এন পি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত দল।

এই বৃহত দলের জন সমর্থন কে আস্বীকার করার উপায় নাই। কিন্তু প্রশ্ন হাসিনা কি পারবে খালেদার সাথে বসে কোন ঐক্য মতে পৌছাতে? এ ক্ষেত্রে অতীত নীতি পরিবর্তন করে খালেদার ভুমিকা আধিক হওয়া উচিত বলে মনে করি। যদিও কাঠগরায় দাঁড়িয়ে খালেদা সবাইকে দেখে নেয়ার যে হুংকার দিয়েছেন ,তাতে তার লক্ষন পাই না। আজ আওয়ামিলীগের জিল্লোর রহমান অবশ্য সরকারের এই বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে পজেটিভ বক্তব্য দিয়েছেন। তার পরো আমি কোন আশা দেখি না!!!আর এটাও জানি এই দুই নেত্রির মাঝে জাতীয় বিষয়ে ঐক্যমত না হলে,দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার।

জাফর স্যার আপনি কি একটুকু আশা দিতে পারেন এর পরও?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.