যে জানেনা এবং জানে যে সে জানেনা সে সরল, তাকে শেখাও। যে জানেনা এবং জানেনা যে সে জানে না, সে বোকা-তাকে পরিত্যাগ কর।
ইফ ইউ আর বিলিভার, ইউ আর মাই ব্রাদার।
ইফ ইউ আর ডিজবিলিভার, প্লিজ ইগনোর মি।
আপনি যদি বিশ্বাসী হন, তবে আপনি আমার ভাই।
আপনি যদি অবিশ্বাসী হন, দয়া করে আমাকে এড়িয়ে চলুন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত ১৯ এবং আধুনিক গণিতজ্ঞদের কাছে বিরাট সমস্যা ১৯৬ প্যালিনড্রোমিক সংখ্যা নিয়ে ব্লগে গতকাল একটি লেখা লিখেছিলাম।
সূরা মুদ্দাসসিরের ৩০ এবং ৩১ নং আয়াত দুটি মিলিয়ে পড়লে এই ১৯ সংখ্যাটির রহস্য স্পষ্ট হবে বলে আমার বিশ্বাস।
(৩০) সাকার- এর তত্ত্বাবধানে রহিয়াছে ১৯ জন প্রহরী।
(৩১) আমি ফিরিশতাদিগকে করিয়াছি জাহান্নামের প্রহরী; কাফিরদের (অবিশ্বাসীদের) পরীক্ষাস্বরূপই আমি উহাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করিয়াছি যাহাতে কিতাবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বর্ধিত হয় এবং বিশ্বাসীগণ ও কিতাবীরা সন্দেহ পোষণ না করে।
ইহার ফলে, যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাহারা ও কাফিররা (অবিশ্বাসীরা) বলিবে, 'আল্লাহ এই অভিনব উক্তি দ্বারা কি বুঝাইতে চাহিয়াছেন?' এইভাবে আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করেন। তোমার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। জাহান্নামের এই বর্ণনা তো মানুষের জন্য সাবধান বাণী।
১৯ সংখ্যা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ড. রাশাদ খালীফ পুরো কোরআনকেই ১৯ সংখ্যা দ্বারা আবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হচ্ছে তিনি ইচ্ছেমতো কোরআনের অক্ষর কমিয়ে বাড়িয়ে তা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য করতে চেয়েছেন।
এই আবিষ্কারের কৃতিত্বস্বরূপ তিনি নিজকে আল্লাহর মেসেঞ্জার দাবি করেছিলেন।
কোরআনে বর্ণিত এই রহস্যময় ১৯ সংখ্যাটি সম্পর্কে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন-অবিশ্বাসীদের পরীক্ষাস্বরূপই আমি উহাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করিয়াছি যাহাতে কিতাবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বর্ধিত হয় এবং বিশ্বাসীগণ ও কিতাবীরা সন্দেহ পোষণ না করে।
কোরআনে ১১৪ টি সূরা আছে- এটি নিশ্চিত সত্য। ১১৩ টি সূরার প্রতিটির শুরুতে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' আছে। সূরা তাওবার শুরুতে রহস্যময়ভাবে বাদ পড়া এই আয়াতটি ২৭ তম সূরা নামল এর ৩০ নং আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে।
তাহলে ১১৪ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আয়াতটি আছে, এটি নিশ্চিত সত্য। ১১৪ সংখ্যাটি ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
কোরআনে সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আয়াতটি সহ মোট ৬৩৪৯ টি আয়াত আছে। ৬২৩৬ + ১৩ = ৬৩৪৯। এটি ১৯ দ্বারা বিভাজ্য নয়।
১৯ গুণন ৩৩৪ = ৬৩৪৬। তিনটি আয়াত কম হলেই ১৯ দ্বারা বিভাজ্য হয়ে যেতো। ড. রাশাদ আয়াতগুলোকে তিন দ্বারা বিভাজ্য করার জন্য নিজের ইচ্ছেয় কাঁটছাট করেছেন। বর্ণের সমষ্টিকে ১৯ দ্বারা বিভাজ্য করার জন্য আরবি বর্ণকেও পরিবর্তন করেছেন বলে অভিযোগ আছে।
নিশ্চয়ই ড. রাশাদের অন্তরে ব্যাধি ছিল।
তিনি আল্লাহর এই রহস্যময় ১৯ সংখ্যাটি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে কোরআনের সবকিছুকে একটি ছকের মধ্যে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন।
ইহার ফলে, যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাহারা ও কাফিররা (অবিশ্বাসীরা) বলিবে, 'আল্লাহ এই অভিনব উক্তি দ্বারা কি বুঝাইতে চাহিয়াছেন?' এইভাবে আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করেন।
কোরআনের এই আয়াতই প্রমাণ করে ড. রাশাদ পথভ্রষ্ট হয়েছিলেন।
কাকতালীয়ভাবে কোরআনে ১৯ আয়াত বিশিষ্ট ৩টি সূরা আছে। ৮২ নং সূরা ইনতিফার, ৮৭ নং সূরা আ'লা এবং ৯৬ নং সূরা 'আলাক।
সূরা ইনতিফারের ১০ম আয়াতে বলা হয়েছে-'অবশ্যই আছে তোমাদের জন্য তত্ত্বাবধায়কগণ;
সূরা আ'লা'র ১৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে- অতঃপর সেথায় সে মরিবেও না, বাচিবেও না।
সূরা আলাকের ১৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে- আমিও আহ্বান করিব জাহান্নামের প্রহরীদেরকে।
সূরা মুদ্দাসসিরের এই ৩০ এবং ৩১ নং আয়াতের সংগে মিলিয়ে পড়লে এই ১৯ সংখ্যাটির রহস্য কিছুটা স্পষ্ট হবে বলে আমার বিশ্বাস।
(৩০) সাকার- এর তত্ত্বাবধানে রহিয়াছে ১৯ জন প্রহরী।
(৩১) আমি ফিরিশতাদিগকে করিয়াছি জাহান্নামের প্রহরী; কাফিরদের (অবিশ্বাসীদের) পরীক্ষাস্বরূপই আমি উহাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করিয়াছি
কোরআনকে অস্বীকারকারীদের উদ্দেশ্যে কঠোর শাস্তির ঘোষণা করে বর্ণিত আল্লাহর এই বাণীগুলোর সাথে ১৯ সংখ্যাটির কি অপূর্ব মিল!! আমার দৃঢ় বিশ্বাস আল্লাহর এই রহস্যময় ১৯ সংখ্যাটিকে ঘিরে আর্ও রহস্য আছে।
মানুষ চেষ্টার পর চেষ্টা করে যাবে। রহস্য ভেদ হতে থাকবে। তারপর আরও রহস্য আসবে। আরও গভীর রহস্য।
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির রহস্য যদি মানুষ বুঝে যায়, তাহলে তো সে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করে বসবে।
১৯৬ একটি প্যালিনড্রোমিক সমস্যা হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। কোরআনের শুরুই হয়েছে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম দ্বারা। ১৯৬ সংখ্যাটির শুরুতে ১৯৫ সংখ্যা। এই ১৯৫ সংখ্যাটির প্যালনড্রোমিক করতে গেলে দ্বিতীয় ধাপে একটি সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯৫+৫৯১=৭৮৬। আরবিতে এই বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আয়াতটির প্রতিটি বর্ণের গাণিতিক সমষ্টি ৭৮৬।
এর পরের সংখ্যাটিই প্যালিনড্রোমিক সংখ্যার শুরু। এই ১৯৬ সমস্যা নিয়ে গণিতজ্ঞরা দিনের পর দিন মাথা খাটিয়েই চলেছেন। আজও সমাধান করতে পারেন নি।
কোরআনের দ্বিতীয় সূরা বাকারার ১৯৬ নং আয়াতে ৩, ৭ এবং এদের সমষ্টি ১০ সংখ্যাগুলো উল্লেখ আছে।
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে সমগ্র কোরআনে ৬৩৪৯ টি আয়াত আছে।
ড. রাশাদ বর্ণিত আয়াতের চেয়ে ৩টি বেশি। এই রহস্যের সমাধানের দিকে না গিয়ে ড. রাশাদ ভুলপথে চালিত হয়েছিলেন।
ইহার ফলে, যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাহারা ও কাফিররা (অবিশ্বাসীরা) বলিবে, 'আল্লাহ এই অভিনব উক্তি দ্বারা কি বুঝাইতে চাহিয়াছেন?' এইভাবে আল্লাহ যাহাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করেন।
১৯ সংখ্যাটির রহস্যের সমাধান পুরোপুরি করা সম্ভব নয়। এই রহস্য সমাধানের চেষ্টা করে কোরআনকে পরিপূর্ণভাবে বুঝে উঠতে চেষ্টা করতে হবে।
বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে কোরআনকে বুঝতে চেষ্টা করলে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস স্থির হবে। যুক্তি দিয়ে মানুষকে কোরআনের সত্যতা বুঝাতে হবে।
মানুষ সহজেই যুক্তি বুঝে। একটি কম্পিউটারও যুক্তি বুঝে। মানুষ যুক্তি বুঝে নিজস্ব মন দ্বারা।
আর কম্পিউটার যুক্তি বুঝে ১ এবং ০, এই দুইটি বাইনারি ডিজিট দ্বারা। এই যে আমি ব্লগে লিখছি, কিংবা আপনারা লিখছেন, ছবি ডাউনলোড করছেন, মোবাইলে কথা বলছেন সবই কিন্তু কম্পিউটার ১ এবং ০ তে রুপান্তর করে বুঝে নিচ্ছে।
কোরআনে বর্ণিত ১৯ রহস্যময় সংখ্যাটি যোগ করলে ১০ পাওয়া যায় যা ১ এবং ০ বাইনারি ডিজিটের প্রতিনিধিত্ব করছে।
কী আশ্চর্য মিল তাই না!!!!!
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।