যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
নারায়নগঞ্জ জেলখানায় যারা আছেন তাদের মধ্যে নাজমুল হুদা অন্যতম। সেই জেলের ভেতরে আছে এক সুরম্য বাংলো। চারিপাশে বাগান। তার ভেতরে নাজমুল হুদা সারাদিন বই পড়েন। একটা এন্টেনা যুক্ত টিভি রয়েছে।
সেই টিভির এন্টেনা ঘুরিয়ে বিটিভি ছাড়াও দেখা যায় ডিডি চ্যানেলগুলো। ভিআইপি বন্দীদের সেবা করার জন্য রয়েছে ফালতু নামের কিছু আসামী। যাদের কাজ চাকরের। এই ফালতুরা এন্টিনা ঘুরিয়ে চ্যানেল নামায়। নাজমুল হুদা বেশ থ্রিলিং মুডে আছেন।
একদিন ইফতারিতে সমস্ত বন্দীদের জিলাপী খাইয়েছেন। সাথে ছিল মাছের কোপ্তা।
দৌড় সালাউদ্দিন খ্যাত ডেমরার প্রাক্তন এমপি ছিলেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লা। জেলে যখন আসেন তখন বৃদ্ধ এই নেতার ছিল লম্বা দাড়ী। জেলখানার খানাপিনায় তার জৌলুস বেড়েছে।
চেহারা হয়েছে রোশনাই। দাড়ি ছোটছোট করে এখন তিনি আগের তুলনায় অনেক ফিট। একজন কারা প্রশাসককে তিনি বলেছেন নাকি জীবনে যা ফল খেয়েছেন তার চেয়ে বেশী খেয়েছেন এই ক'য়দিনের জেলজীবনে।
গ্রেনেড পিন্টু খ্যাত অপর আসামী আছেন আরো আরামে। মোরগ ছাড়া তার আহার রোচে না।
তাও আবার যেইসেই নয়। চর্বিযুক্ত মোরগ চাই। এজন্য মোরগ কিনে বাংলোবাড়ীর মধ্যে ছেড়ে দেয়ার নিয়ম চালু করেছেন তিনি। মোরগ চড়িয়ে ফালতুদের দিন কাটে। তাজা-তাগড়া হলে তারপরে সেগুলো গ্রেনেড পিন্টু প্লেটে ওঠে।
তবে সবচেয়ে ভাল খেল দেখিয়েছেন হান্নান শাহ। মাত্র একমাসের জেল জীবনে তিনি মাতিয়ে গেছেন নারায়নগঞ্জ জেলখানা। ৭১ এর মত সারাক্ষণ কানের সাথে লাগানো থাকতো রেডিও। যখনই কোন নেতাকর্মীর জামিনের খবর শুনতেন, সাথে সাথে লাফিয়ে পুরো জেলখানা মাতিয়ে তুলতেন। এছাড়া তার বিখ্যাত পিকনিকের খবর জেলবাসীদের মুখেমুখে ফেরে।
সাবজেলের বাংলোবাড়ীর শাক-শবজী, উদ্ভিদ পুরো শেষ করে তিনি জেল থেকে বেড়িয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।