আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৫ লাখ মসজিদ বনাম ৩ লাখ পথশিশু

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

জানি না তথ্যটা সঠিক কি না। কিন্তু ভাবার মতো। সেদিন এক এনজিও কর্মকর্তার সাথে আলাপ হল। ভদ্রলোক পথশিশুদের পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করে থাকেন। তিনি জানালেন চমকে ওঠার মতো একটি তথ্য।

তিনি জানালেন, আমাদের দেশে মোট মসজিদের সংখ্যা ৫ লাখ। আর পথশিশুর সংখ্যা সর্বমোট ৩ লাখ। যদি একটি মসজিদ একজন পথশিশুর দায়িত্ব নেয়, তবে এ দেশে কোন পথশিশু থাকে না। তার ধারণাটি শুনে আমার মনে ভেসে উঠল গির্জার দৃশ্য কিংবা মিশনের দৃশ্য। প্রায় গির্জার সাথেই স্কুল বা হাসপাতাল থাকে।

সেই গির্জার দান থেকে মিশনারী এসব স্কুল বা হাসপাতাল পরিচালনা করা হয়। মানবসেবায় তারা শিক্ষা ও চিকিৎসাকে ব্যবহার করে। বিপরীত দিকে আমাদের দেশের মসজিদের সাথে থাকে মার্কেট বা দোকান। প্রায় মসজিদের নিচতলা মার্কেট এবং উপর তলা মসজিদ হতে দেখা যায়। আমাদের জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকারম কি আসলে মসজিদ নাকি মার্কেট ? এই মার্কেটের যে বিপুল আয় সেটা আসলে কোন কাজে ব্যয় হয় ? আল্লার ঘরের এত টাকা আয়ের দরকার কী যদি সেটা জনকল্যাণে না লাগে ? পক্ষান্তরে আমি কোন সময় কোন গির্জা বা মন্দিরের সাথে মার্কেট দেখিনি।

সেদিন এ বিষয়ে আমাদের মসজিদের ইমামকে জিজ্ঞেস করাতে তিনি সোজাসাপটা জবাব দিলেন, মসজিদের সাথে মার্কেট থাকে মসজিদের খরচ নির্বাহ করার জন্য। আমি পাল্টা প্রশ্ন করি, তাহলে মসজিদের জন্য দান হিসেবে যা পাওয়া যায়, সেগুলো কী হয় ? ইমাম বলে, দান দিয়ে কি আর মসজিদ চলে ? যাই হোক, আমাদের মসজিদগুলো কি জনকল্যাণে ব্যাপক অবদান রাখতে পারে না ? হতে পারে না সেগুলো মানব কল্যাণের একটি প্রতীক ? দরিদ্র অসহায় মানুষের চিকিৎসা ও শিক্ষার দায়িত্ব নিয়ে মসজিদগুলো কি এগিয়ে আসতে পারে না ? দারিদ্র দুরীকরণে রাখতে পারে না কি যথেষ্ঠ অবদান ? আশা করি, পবিত্র রমজান মাসে আমরা এ বিষয়গুলো ভেবে দেখলে সওয়াবের ভাগ বাড়বে বৈ কমবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।