যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
ফেরেশতা ভাবার কোন কারণ নাই। ডঃ ইয়াজুদ্দিন বিচারপতি ফজলুল হক কে যখন উপদেষ্টামন্ডলীতে অন্তর্ভূক্ত করেন ইয়াজুদ্দিনের কট্টর সমালোচকও সম্ভবত কল্পনা করতে পারেন নি যে ফজলুল হক দুর্নীতিবাজ হবেন। বিশেষত যে দুর্নীতির দায়ে বিএনপির পতন হলো মাত্র ক'দিন আগে, সেই দুর্নীতিতে তিনি আকণ্ঠ ডুবে যাবেন তারেক বা বাবরের মত করাপশনের চ্যাম্পিয়নরাও লজ্জা পেয়েছেন নিঃসন্দেহে।
তারপরে দুর্নীতি দমন কমিশনের ঝড় উঠলো দেশে। বন অধিদপ্তরের বাসার বালিশ ও ড্রাম থেকে উদ্ধার হলো কচকচে টাকার বান্ডিল।
দুর্নীতিবাজদের দেশ-ব্যাপী ধোলাই শুরু হলো। ঘুসখোররা নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করলো ঘুস খাওয়াল। হিডেন ক্যামেরায় ফাঁদ পেতে ধরা হলো অনেক রথি মহারথিদের।
কিন্তু এই ফজলুল হকের এতে কিছুই যায় আসে না। তিনি চারমাস উপদেষ্টা থাকাকালিন যে পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন তার জ্ঞাত পরিমাণ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ।
দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করলে এরপরে তিনি সেখান থেকে ২৪ লাখ টাকা আবার ঘুসও দিলেন।
মানে এই ফজলুল হক এরপরেও ঘুস দেবেন। জেলের মধ্যে বসেও একটা দুর্নীতি করে বসবেন। অবাক লাগে এই শুয়োরের বাচ্চা কিভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন। তার রায়প্রাপ্ত প্রতিটা কেস আবার নতুন করে পর্যালোচনা হওয়া দরকার।
দেখা উচিত কোন নির্দোষ সাজা পেয়েছে কিনা। ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চিয়তা দেয়া যায় যে তার বিচারে কমপক্ষে অর্ধেক মামলার রায় আরোপিত হয়েছে।
সম্ভবত ফজলুল হক সহজেই তার মা'কে ব্রথলে বিক্রি করে দিতে পারতেন। এখন তার বিরুদ্ধে গ্রেফ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আমি নিশ্চিত এর থেকে বাঁচার জন্য তিনি তার স্ত্রী, মেয়েদেরও বিক্রি করতে দেবেন।
অনতিবিলম্বে সরকারের কাছে অনুরোধ করি তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেবার জন্য। সেই সাথে ফজলুল হকের নামের সাথে বিচারপতি ব্যবহারের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।
বাই দ্যা ওয়ে আপনার কি কেউ শুনেছেন বর্তমান অর্থ উপদেষ্ঠা নাকি ফজলুল হককে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন? কেউ জানলে কিছু তথ্য শেয়ার কইরেন। আমারে কে জানি কইলো। তবে বিশ্বাস করি নাই।
আবার ফজলুল হকের দৃষ্টান্তও তো দেখলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্ঠারা যে দুর্নীতি করবে না তার কোন নিশ্চয়তা নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।