একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।
দৃশ্য একঃ
- বিজ্ঞানী সাহেব, আমরা আপনাকে অপহরণ করেছি। পাঁচ কোটি টাকা না পেলে আমরা আপনাকে মুক্তি দিবনা।
- আরে এটা কোন ব্যাপার হলো? পাঁচ কোটি টাকা কেন, দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতিতে যদি পাঁচ কেজি চালও চান তাইলেও কোন বেপার না। মাত্র পাঁচ কোটি টাকা বা পাঁচ কেজি চালের চেয়ে আমার জীবনের মূল্য অনেক বেশী।
এখনি আমার স্ত্রীকে ফোন দিন। তিনি নিশ্চয়ই টাকা দিয়ে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবেন।
-হ্যালো.... কি বললেন আমার স্বামীকে ফিরত পেতে পাঁচ কোটি টাকা লাগবে? আপনারা কি পাগল? এই আক্রার বাজারে পাঁচ কোটি টাকার মানে বুঝেন? ইশ! এর চেয়ে অনেক কম খরচে ঘটক বাজপাখী ভাইয়ের কাছে রেজিষ্টেশন করে চাইলেই একটা ভালো পাত্র পাওয়া যায়।
দৃশ্য দুইঃ
-স্ট্রেন্জ্ঞার ম্যান স্যার আমরা এখানে কেন মিটিং করছি? এটা কি সংলাপ নাকি প্রাক-সংলাপ?
-না, কমান্ডো, এর কোনটাই না। আমাদের দেশের একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী অপহৃত হয়েছেন।
এটা তাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগের প্ল্যান মিটিং।
-ও, বুঝেছি স্যার এটা তাহলে প্রলাপ?
-ভেরি ওয়েল সেইড, কমান্ডো!
দৃশ্য তিনঃ
-শোনো স্ট্রেন্জ্ঞার ম্যান এখন খুলনায়, মানে আমাদের আস্তানায় চলে এসেছে। বস বলেছে, যদি তাকে আমরা এক্ষুণি মেরে ফেলতে না পারি, তাহলে নাকি সে আমাদের অনেক ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু সে কি ক্ষতি করবে সেটা বুঝতে পারছিনা।
-আমি বুঝেছি! আমার মনে হয় আমাদের বসের মোবাইলে উনার মামুনিয়া গানটা ওয়েলকাম টিউনস হিসাবে সেট করা আছেতো।
তাই বস ভয় পাচ্ছেন, উনি যদি সেটার জন্য কপিরাইটের টাকা চেয়ে বসেন!
দৃশ্য চারঃ
-আচ্ছা স্ট্রেন্জ্ঞার ম্যান স্যার আমরা সবাই কালো পোষাক পরে র্যাবের ছদ্মবেশ নিয়েছি কেন?
-খাকি ড্রেস পরে নাইট গার্ডের ছদ্মবেশ নিলে শত্রুপক্ষ যদি সন্দেহ করে বসে যে, ব্যাপার কি রাতের দারোয়ান দিনের বেলা করে কি?
-জ্বি স্যার!
-ব্যাক্কল! দাঁড়াও এইটো একটা গাছের আড়াল পেয়েছি, এবার দেখি আমার কি করে! গাছের গায়ে একটা গুলি লাগলেই এক্কেবারে বৃক্ষনিধন কেইস করে দিবো।
দৃশ্য পাঁচঃ
-জলদি চলেন! দৌড়ান! আমি আপনাকে মুক্ত করেছি। আপনি এখন মুক্ত।
-আরে রাখেন আপনার মুক্তি। আগে কন, এই মুক্তি কি প্যারোলে দিয়েছে, নাকি৯ সমঝোতায়? শর্তসাপেক্ষে নাকি নির্বাহী আদেশে? চিকিৎকার জন্য এখন বিদেশ যেতে হবে? আমেরিকা নাকি সৌদি আরব? খরচ দেবে কে আমার ফ্যামিলি নাকি আপনে?
দৃশ্য ছয়ঃ
-একি স্ট্রেন্জ্ঞার ম্যান! ওরা বললো হ্যান্ডস আপ আর আপনি ওমনি মাটিতে শুয়ে পড়লেন।
-ওফ! ওরা বলেছে হ্যান্ডস আপ আর আমি শুনেছি ঠ্যাংস আপ! ধুৎ আসলে ফিচারিং আর রিমিক্স গান শুনতে শুনতে কানের পৌনে বারোটা বেজে গেছে।
কি কিছু কি বুঝলেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।