ফতোয়াবাজদের নির্মম কষাঘাতে নাইজেরিয়ার অধিবাসী মহাম্মাদুরের সোনার সংসার টুকরো টুকরো হয়ে গেল। মধ্যে নাইজেরিয়ার নুপল্যান্ডের বিদা নামক এলাকার অধিবাসী বেলো মোসাবা ( ৮৪ ) তার এই জীবনে ৮৬ বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তিনি প্রত্যেক স্ত্রীকে তার প্রাপ্য অধিকার ও মর্যদা দিয়ে সকল স্ত্রীদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন। অবশেষে একদিন তার বহুবিবাহের সংবাদটি জানাজানি হয়ে গেলে নেমে আসে তার উপর মৌলবাদীদের খড়গ।
হতভাগ্য মহাম্মাদুরের বহুবিবাহের ঘটনাটি পরবর্তিতে প্রভাবশালী ধর্মান্ধ শারিয়া বাদিদের মসলিসে স্হান পায়। নাইজেরিয়ার উত্তরান্চলের খাদুনায় শারিয়াবাদিদের প্রধান কার্যালয়ে জামায়াতুল নাসরিল আল ইসলামের (জে, এন, আই,)ফোতয়াবাজগণ বহু বিবাহ করার জন্য বেলো মোসাবাকে দোষী সাভ্যস্ত করে গত ২১শে আগষ্ট মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে।
এ ব্যপারে সে দেশের উর্ধতন মহলের পক্ষ থেকে বলা হয় যে ধর্মান্ধ উগ্রপন্হিরা রায় কার্যকর করার জন্য বেলো মোসাবার উপর চড়াও হয়ে তাকে হত্যা করতে পারে ।
পরবর্তিতে স্হানীয় অপর একটি ইসলামিক দল দ্বিতীয়বারের জন্য অপেক্ষাকৃত নমনীয় ফতোয়া বেলো মোসাবার উপর বর্তন করে। পবিত্র কোরআানের বিধি বিধান অনুয়ায়ী সর্বমোট ৪জন স্ত্রীকে রেখে বাকি ৮২ জনকে তালাক দেবার জন্য তাকে নির্দেশ হয় অন্যথায় তাকে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়। এই বিশাল অমানবিক ফতোয়া পুরণ করার জন্য শারিয়াবিদরা বেলো মোসাবাকে মাত্র দুইদিন অষ্টপিষ্ঠে বেঁধে দেয়। মজলিসে রায় প্রদানের পূর্বে হতভাগ্য বেলো মোসাবা বহু আকুতি মিনতি করে বলেন,তিনি বিয়ে করে এমন কোন অন্যায় করেন নাই যে নিজ মাতৃভূমি ত্যাগ করে যেতে হবে, ৪ জন স্ত্রীর বেশী সংসারে স্ত্রী থাকতে পারবে না, ইসলামের বিধানে এসব বলা হয় নাই।
মুহাম্মাদু বেলো মোসাবা বলেন ৩০ বছরের বেশী সময় তিনি স্ত্রী সন্তানদের সাথে ছিলেন , দুই দিনের মধ্যে তাদের ত্যাগ করা দুঃখজনক। কিনতু শত আহাজারীতে পাষাণ ফতোয়াবাজদের মন গলাতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বেলো মোসাবা স্ত্রীদের তালাক দিতে সম্মত হন। সর্বশেষ সংবাদে জানা যায় গতকাল রোববার থেকে পর্যায়ক্রমে তালাক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী ও সন্তানদের ভাগ্যে কি ঘটেছে সেটি এখনও জানা যায় নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।