রং নিযে মানুষের আদিখ্যাতার শেষ নেই। কবি, সাহিত্যিক বিশেষ করে চিত্র জগতের নায়ক নায়িকারা তো কয়েক ধাপ এগিয়ে এব্যাপারে। বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের রং ব্যাবহার করার প্রচলন আছে। যেমন নীল হলো বেদনার রং। আর নীল রংয়ের খামে প্রেমিক বা প্রেমিকা তাদের প্রিয়জনের কাছে চিঠি লিখে মনের কথা প্রকাশ করার রেওয়াজ তো সেই প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে।
ভাব খানা এমন যে শুধু নীল খামেই লিখতে হবে! অন্য কোন খামে লিখলে মনের প্রত্যাশা পূর্ণ হবে না। আবার সাদাকে দেখানো হয়েছে শান্তির প্রতীক হিসেবে। কোন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেমন আমাদের নেতা নেত্রীরা পায়রা উড়ায়ে থাকেন। আবার কোন যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাদা রং নিয়ে আসে শান্তির বার্তা হিসেবে। তেমনি লাল হলো যুদ্ধ বা কাইজ্জ্যার প্রতীক।
কালোকে দেখানো হয়েছে শোকের প্রতীক। এভাবে রংয়ের ব্যবহার মানুষের জীবনে বিভিন্ন ভাবে প্রভাব ফেলে। কোন কোন রং মানুষের জীবনে প্রশান্তি এনে দেয় তেমনি কোন রং আবার অশান্তি বা অস্থিরতার কারণ হয়ে দাড়ায়।
কলেজে ভর্তির পর নবীন বরন অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় জুয়েলের সাথে। ওদিন জুয়েল পরেছিল বেগুনী রংয়ের সালয়োয়ার-কামিজ।
বেগুনী ছ্যান্ডেল, লিপিস্টিক থেকে শুরু করে এমনকি চুলের ব্যান্ডটি পর্যন্ত বেগুনী রংয়ের ছিল। এর পর যখনই তাকে কলেজের ইউনিফর্ম ছাড়া নরমাল ড্রেসে দেখেছি সব সময় কোন না কোনভাবে তার সাজ সজ্জ্বায় বেগুনী রং কে প্রধান করেছে। আমরা কয়েক বান্ধবী মিলে একবার ওদের বাড়ীতে গিয়েছিলাম। দেখলাম ওর রিডিং রূমে থেকে শুরু করে খাতার কাভার, বালিশের কাভার টেবিলের ম্যাট টি পর্যন্ত বেগুনী রংয়ের। ধ্যানে জ্ঞানে ও যেন বেগুনী রংয়ের।
জুয়েলের এই বেগুনী রংপ্রীতি দেখে ওদিন থেকে আমরা ওকে 'পারপেল লেডী' বলে ডাকতাম।
আজ সকাল ৮.৪৫ মি. যখন আমাদের গাড়ী সোহরাওয়ারদি হাসাপাতালের সামনে তখন আমাদের গাড়ীর ডান দিকে ঠিক পাশা পাশি ছিল মেরুন রংয়ের একটি প্রইভেট কার । ওখান থেকে শুরু করে বিজয়স্মরনীপর্যন্ত গাড়ি দু`টি পাশা পাশি চলছিল। এই পথ টুকু আমি যা খেয়াল করলাম, গাড়ীর রং মেরুন। সম্ভবত গাড়ীর মালিক নিজেই ড্রাইভ করছিলেন।
যার গায়ে ছিল নীল রংয়ের টি -শার্ট, পরনে ছাই রংয়ের জিন্স। গাড়ী চালকের পাশের সীটে বসা ২৩-২৪ বছরের এক তাগড়া জোয়ান ছেলে। যার পরনে ছিল নীল জিন্স এবং নীল গেঞ্জী। পিছনের সীটে বাচ্চা সহ ভদ্র মহিলা যিনি পরেছেন গাড় নীল রংয়ের শাড়ী সাথে সাদার উপর নীল রংয়ের ব্লক প্রিন্ট ব্লাউজ । বাচ্চাকে পরিয়েছেন হালকা নীল রংয়ের ড্রেস।
মহিলার পাশে সম্ভবত কাজের মেয়ে যার পরনে ছিল কট কটা নীল রংয়ের সালওয়ার কামিজ। পুরো গাড়ীটাই নীল রংয়ে গাদা গাদি। ভাবলাম এই পরিবারকে কী নাম দেওয়া যায়? এরা যে ধ্যানে জ্ঞানে নীল!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।