আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

:::: বয়স যখন আঠারো ::::

যে কোন প্রয়োজনে স্বরণ কইরেন: hopelessduniya@yahoo.com এই আইডি তে..এড কইরেন...

সুন্দর এই পৃথিবীতে জন্ম আমাদের। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীতে আসার সবচেয়ে বড় অবদান আমাদের বাবা মায়ের। বাবা মায়ের হাত ধরেই একটি শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক পরিপূর্র্ণ মানুষ হওয়া। প্রথমে শৈশব, এরপরে কৈশর এবং অবশেষে যৌবনে পর্দাপন। একটি মানুষের শৈশব ও কৈশর কেটে যায় বাবা-মার শাসন ভালোবাসায়।

তবে হঠাৎ ব্যাপক পরির্বতন এসে যায় ১৬-১৮ বছর বয়সে। যাকে আমরা যৌবনে পর্দাপন বলতে পারি। এই সময় হঠাৎ করেই একটা মানসিক পরির্বতন চলে আসে মানুষের মাঝে। যেই বাবা মায়ের হাত ধরে পৃথিবীতে আসা তাদেরকেও মনে হতে লাগে অসহ্যকর। মনে হয় আমি যা ভাবছি সেটিই সত্য আর পৃথিবীর সব কিছুকে মনে হয় মিথ্যা।

অজানা অপর মানুষকে মনে হয় আপন এবং আপন মানুষকে মনে হয় অচেনা। ছেলে মেয়েরা এই বয়সে কিছুটা হলেও একাকীত্বে ভোগে। সকলের মাঝে থেকেও নিজেকে নি:স্ব মনে হয়। সব কিছুকে আবেগের সাথে চিন্তা করতে থাকে, অথচ বাস্তবতার ধারের কাছেও তারা যায় না। সব কিছুকে কাল্পনিক মনে হয়।

অথচ বাস্তবতার মতো কঠিন সত্যকেও তারা মেনে নিতে পারেনা। এই সময়টাই মানুষের ভবিষ্যত নির্ধারন করে। এই সময়ের ভুল সিদ্ধান্ত সারা জীবন ধ্বংশ করে দিতে পারে। আবার একটি সঠিক সিদ্ধান্ত উজ্জল ভবিষ্যত গড়তে পারে। আবেগ না থাকলে আমরা কেউই মানুষ বলে গণ্য হবো না।

তবে বাস্তবতার মুখোমুখি না হলে আমরা জীবনে চলতে পারবো না। তাই আবেগ এবং বাসস্তবতার মিশ্রনে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এই সময় কারো জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হচ্ছে বাবা-মার সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ সর্ম্পক গড়ে তোলা। কারন বাবা-মা ই পারে সন্তানকে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে। পৃথিবীর সব কিছু ভুল হলেও বাবা-মা কখনও ভুল নয়।

সবাই খারাপ চেলেত বাবা-মা চেতে পারেন না। আবেগের চোটে এই বয়সে আমরা বাবা-মা কেই সবচেয়ে বড় শক্র মনে করি। যা সর্ম্পূণ রূপেই ভুল। কোন মানুষেরই এত কম বয়সে মানসিক পরিপক্কতা আসে না। অথচ এই বাবা-মা পৃথিবীর সকল বাস্তবতা জটিলতা পেরিয়ে এসেছে।

তারা অবশ্যই চাইবে তাদের সন্তানকে যেন সেই কষ্ট গুলো না করতে হয়। তাদের শাসনের মধ্যে থাকে ভালোবাসা। এই বয়স নিজেকে গড়ে তোলার, বুঝতে না পারলেও অন্তত বোঝার চেষ্টা করার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।