আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Ciprocin ওষুধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া!! ওষুধ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য সুনির্দিষ্ট ও সচল নীতিমালা জরুরি

বারবার ভেঙে-চুরে নতুন করে গড়তে শেখা

আজ ভোরে প্রথম আলো পড়তে যেয়ে একটি সংবাদ দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে গেছি। ওষুধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়ায় মানুষের কেমন অবস্থা হইতে পারে। সিপ্রোসিন ওষুধ খেয়ে এক মহিলার মুখ ঝলসে গেছে (এসডি ছুঁড়লে যেমন হয় তেমন)। কি বিভৎস। চিকিৎসকরাও কখনো ধারনা করতে পারেনি যে কোন ওষুধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া এতদূর যাইতে পারে।

ঐ মহিলার সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রাথমিক অবস্থায় সবাই ধারনা করতেছে যে সিপ্রোসিন ওষুধ খাওয়ার ফলে এরূপ পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। চিকিৎসকরা আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও বিভিন্ন পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে। সুন্দর মহিলা রুমানা রহমানের এখন কি অবস্থা। কথা সেটা না। বাংলাদেশে আমাদের যে সমস্ত ওষুধ কোম্পানি ওষুধ তৈরী করে থাকে তাদের ওষুধ কতটা নিরাপদ।

তাদের মান কেমন? যদি ততটা ভাল না হয় হবে ভাল করার জন্য কি করা যেতে পারে? ফার্মেসীতে যেসকল ওষুধ বিক্রি করা হয় সেসকল ওষুধ মেয়াদোর্ত্তর্ণ নাকি মেয়াদ আছে? এগুলো কে দেখবে? এ দেশের ওষুধ ও চিকিৎসাক্ষেত্র ব্যবস্থাপনায় সরকারের ভূমিকা ও নিয়ন্ত্রন কতটুকু? ওষুধ ব্যবস্থাপনায় কি সরকারের কোন নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে? না থাকলে ব্যবস্থা কবে নাগাদ হবে। তা না হলে আমাদের এক প্রকার অসাধু ব্যবসায়ী এসকল ব্যবস্থার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে রুমানা রহমানের মতো হাজারো রুগীর এরুপ অবস্থা হতে পারে। এমন যদি হয় তবে তার দায় দায়িত্ব কে নেবে? সরকার নাকি ওষুধ কোম্পানী নাকি দু' পক্ষই একত্রে? আমি একবার একটা ভারতীয় বাংলা ছায়াছবিতে দেখেছিলাম। ভারতের এক বিরাট ওষুধ কোম্পানীর মালিক নদী ও খালের পানিতে এক প্রকার ভাইরাস জনিত জীবানু ছেড়ে দিয়েছিল। যার জন্য হাজার হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।

আর ঐ রোগের হাত থেকে বাঁচতে হলে ঐ ব্যক্তির মালিকানাধীন ওষুধ কোম্পানীর ওষুধ কিনতে হবে। কারন জীবানুটা তাদেরই সৃষ্টি এবং তারাই একমাত্র কোম্পানী এই পৃথিবীতে যারাই পারে ঐ ভাইরাস জীবানু নিরাময়ের জন্য ওষুধ সরবরাহ করতে। (ছায়াছবিতে অবশ্য এটি করা হয় সরকারের ব্লাকমেইলের জন্য) অবশেষে দেশের সবাই ঐ কোম্পানীর তৈরীকৃত ওষুধ ক্রয় করা শুরু করে। আর তার ফলে ঐ কোম্পানী রাতারাতি কোটি-কোটি টাকা লাভ করে। ছবিটির এই অংশ টুকু দেখে আমি খুব্ই অবাক হয়েছিলাম।

বিবেক সেখানে মুখ নিচু করে থাকে যেখানে মানুষের জীবনের বিনিময়ে কোন কোম্পানী তার মার্কেটিং প্লান দাঁড় করাতে চায়। অদ্ভূদ। আশা করি বাস্তবে এমনটি হবেনা। ওষুধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেক সংবাদ পড়ি মাঝে মাঝে। আজ মন চাইল তাই লিখলাম।

সবকিছু বিচার করে দেখলাম সঠিক ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নীতি পারে একটি দেশের মানুষের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে। ভালো থাকবেন সবাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।