আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তোর উপর অভিশাপ পড়বো, তুই ধ্বংশ হইয়া যাইবি...

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

আজ ফার্মগেটের চিত্র পুরোটা আলাদা। তার কারণ প্রথমতঃ আজ সরকারী ছুটির দিন। আর তারপরে আজ শব-ই-বরাত। আগামীকাল সরকারী ছুটি।

অনেকে ঢাকার বাহিরে বাড়ীতে চলে গেছেন গত বৃহস্পতিবারে। ঢাকা অনেকখানি খালি। লোকজন কম। অন্যদিন লোক দাঁড়িয়ে থাকে অনেক কিন্তু গাড়ী থাকে না। আর আজ গাড়ী দাঁড়িয়ে আছে অনেক কিন্তু চড়ার লোক নেই।

অফিস থেকে বাসায় ফিরতে হয় ফার্মগেট দিয়ে। ওখানে গিয়ে দেখি অনেক গাড়ী একটি পিছনে আরেকটি দাঁড়িয়ে আছে। সবচেয়ে আগের গাড়ীটাতে গিয়ে উঠলাম। প্রায় ফাঁকা বাস। ভালো দেখে একটা সিট নিয়ে জানালার ধারে বসলাম।

সবার অনুরোধ সত্বেও ড্রাইভার গাড়ী ছাড়ছে না। কি আর। অপেক্ষার করা...... হঠাৎ দেখি আমার সিটের বিপরীত দিকের সিটে এক লোক নীচে দাঁড়ানো কারো সাথে জোড়ে জোড়ে কথা বলছে। দেখলাম বাসের সবার সবাই ওদিকটায় চোখ দিলো। আমি দেখলাম, নীচে দাঁড়িয়ে আছে একজন ভিখারী।

চুলে জটা, দাড়ি ইয়া বড়, মোচ এতই বড় যে ওর ঠোট দেখা যাচ্ছে না, হাতে লাঠি, গলায় পুঁথির মালা, হাতে বালা, একটি ষ্টিলের চকচকে কৌটার মত জিনিস হাতে ধরে আছে। সে যাত্রীকে বলছে, "আইজ বছরের একটা দিন, দে কিছু দে, দে বাবার মাজারে কিছু দে। " যাত্রীটি বলছেন, "তুমি বছরের দিনের কি বোঝ? কি দিন আইজকা বছরের? তোমারে ট্যাকা না দিলে আমার কি হইবো? যাহ বেটা ভন্ড যা হওয়ার তাই হইবো, ভাগ। " এতেই গন্ডোগল বেঁধে গেল। ভিখারীটি চিৎকার করে বলতে লাগলো, "তোর উপর অভিশাপ পড়বো, তুই ধ্বংশ হইয়া যাইবি।

তুই মাজাররে অপমান করসিস। " এই বলতে বলতে বাস ছেড়ে দিলো। আমাদের সহযাত্রীটি ঐ লোকটার অভিশাপ ঘাড়ে নিয়ে বাসের গতির সাথে তার গন্তব্যের দিকে ছুটতে লাগলো। আর পিছনে থেকে গেল সেই অভিশাপ দেনে ওয়ালা। ওর দাঁত আর চোয়ালের পেশীগুলো সেঁধিয়ে আছে আবার কাউকে অভিশাপ দেওয়ার জন্য।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।