সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
কাইলকা একটা চরম ব্যস্ত দিন কাটানোর পর মাত্র ব্লগ খুলার ফুসরৎ পাইলাম। মেলাগুলা পোস্ট পড়লাম সামহয়ার ও আমার ব্লগে। সচলায়তন খুলতে প্রক্সিসার্ভার ব্যবহার করি নাই মি. ব্রাইটের পরামর্শে। পড়তে পড়তে মনে হইলো, রামায়নের কয়েকটা জটিল অধ্যায়ের ভেতর দিয়া যাইতেছি।
এবং রামায়ন পড়ার পর জিগাইতেছি স্বাভাবিক ভাবেই, আসলেই কি সচলায়তন ব্যান হইছে বাংলাদেশে।
সচলায়তন ব্যান হইছে কি না এই প্রশ্নের সুরাহা কেমনে হইবে? যে ঘোড়া ঘাস খাইতেছে তারে গিয়া জিগাইতে হবে, সে কাটা খাস খাইতেছে নাকি ঘাসের বাগানে চরিয়া বেড়াইতেছে। তাই না?
এখন পর্যন্ত সচলায়তনের মহামহিম কর্তৃপক্ষ কোনো স্পষ্ট বিবৃতি বা বিবরণ বা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে পারে নাই। যা কিছু কইছে, সেইখান থেকে আবার ফিরে আসছে। পরিস্থিতি দেইখা মনে হইতেছে, যার বিয়া তার খবর নাই।
পাড়াপড়শির ঘুম নাই। সচলায়তনের কর্তারা প্রায় সবাই বিদেশে নিরাপদে থাকেন। এই নিরাপত্তা সত্ত্বেও তারা স্পষ্ট কইরা যখন কিছু কইতে পারতেছেন না তখন আমরা যারা দেশে আছি তাদের পক্ষে কীই বা করা সম্ভব?
আমার ব্লগে দেখলাম, সচলায়তনের কে জানি নাকি কইছে। এ বিষয়ে তারা আমার ব্লগের সহায়তা চায় না। আমি লেখলাম।
আমারেও কইতে পারে। ভাই ফুটেন। আপনের ইয়ে আমাদের দরকার নাই। প্র্রশ্নটা কিন্তু সেইটা না। সচলায়তন যদি সত্যি ব্যান হয়া থাকে তাইলে সেইটা আমাদের চিন্তার বিষয়ও বটে।
জানি কোন কারণে তাদের এমন ঝামেলায় পড়তে হইলো। যে কারণেই হউক বিষয়টা ভাল না। ফলে, বিষয়টা শুধু সচলায়তনের ব্যাপার আর নাই। কিন্তু তারও আগে প্রশ্ন, সচলায়তন কি এই ব্যাপারটা ক্লিয়ার করবে না? নাকি ধোঁয়াশা পরিস্থিতি সৃষ্টি কইরা আমাদের প্রতিবাদের পথটাও বন্ধ কইরা রাখবে। আমি অন্তত একবার তাদের কর্তৃপক্ষের মুখ থেকে একটা কথা শুনতে চাই।
তারা কিছু একটা বলুক। অন্তত অমি রহমান পিয়ালকে বলুক। আগে যা কইছিল তাই ঠিক আছে।
সচলায়তন সম্পর্কে আমার অনেক অভিযোগ।
এরা ব্লগারদের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার সমর্থন করে না।
সচলায়তনে যা ছাপা হয়, তা এডিট করে, মডারেশন সিস্টেমের মধ্য দিয়া ছাপা হয়। ফলে, প্রকাশিত কন্টেন্টের দায় সচল কর্তৃপক্ষের ওপরই বর্তায়। এখন সেই কন্টেন্টের মধ্যে যদি আপত্তিকর কিছু থাকে তাইলে তার দায় তাদের নিতে হবে। এবং সেই কন্টেন্টের পক্ষে তাদের দাঁড়াইতে হবে। দাঁড়াইতে না চাইলে ভুল শিকার করতে হবে।
কিন্তু তারা তো দেখি কিছুই কয় না? আমিও নিয়মিত সচলায়তন পইড়া যা বুঝছি তাতে এমনি কিছু চোখে পড়ে নাই যার জন্য তারা ব্যান খাইতে পারে। যদি কোনো কারণ ছাড়া ব্যান করা হয় তাইলে সেইটা নিয়া বিশেষভাবে ভাবা যেতে পারে। সচলায়তন সত্যিকারের মতপ্রকাশের অধিকারের কথা বইলা। কোনো যথার্থ প্রতিবাদ করতে গিয়া যদি ব্যান খায় তাইলে অবশ্যই আমরা প্রতিবাদ করবো। কিন্তু এক সেকেন্ড ভেবে।
গুজবে কান দেয়া কোনো অর্থ নাই।
এখন আমার মত হইলো প্রতিবাদ করার আগে আমাদের অন্তত যার বিয়া তার মুখ থেকে কথাটা শুনতে হবে। তাই না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।