রডোডেন্ড্রন
কবির খাতায়
সাদা পৃষ্ঠার ডায়াগোনাল দূরত্ব
কখনোই গন্তব্য খুজে নেয় না
তাড়াহুড়োয়-
যেহেতু কবিতারও রয়েছে স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি।
শব্দেরা,যতিচিন্হেরা তাই বৃষ্টি
নয়-পউশের পড়ন্ত বিকেলের
কুয়াশা হয়ে নামে;
ধোঁয়াটে শব্দেরা কাছাকাছি এসে
শিশিরের ফোঁটা হয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে
বলপয়েন্টের ডগা থেকে সারিবদ্ধভাবে
জমা হয় নির্দিষ্ট পঙক্তিতে।
শব্দেরাও খোদ কবির মতোই যাযাবর।
অর্থাৎ মস্তিষ্ক নয় কবির শব্দের জোগানদার।
শব্দেরা আসে তাদের ব্যাক্তিগত হ্যাবিট্যাট থেকে,
তা হতে পারে ফুসফুস
যকৃত বা হৃৎপিন্ড,
হয়তো ত্বক,নয়তো শিরা এবং উপধমনী।
অস্থির গভীর থেকেও হতে পারে।
কবির বিদায় তাই নেহায়েৎই মর্মন্তূদ
কারণ-
-কবির শরীরে বন্দী শব্দেরা তখন
অনির্দিষ্টকালের জন্য
দিশেহারা
এবং
স্থগিত।
এই লেখা টা আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন কবির অকালপ্রয়াণে আত্মহত হয়ে লেখা এবং তার স্ম্রৃতির উদ্দেশে নিবেদিত।আমাদেরগান ডট কম এর যারা এখানে আছেন,তারা বুঝবেন আমি সুমিত ভাই এর কথা বলছি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।