আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের বিষয়আসয়

ক্লাউড কম্পিউটিং কী?
আপনি যদি কোনো ধরনের সোশাল মিডিয়া বা অনলাইন ডেটা ড্রাইভ ব্যবহার করেন, তবে আপনি ক্লাউড ব্যবহার করছেন। যদিও এটা কোনো ডিভাইস বা যন্ত্র নয়। এটা সার্ভারগুলোর নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন সার্ভারের কাজ আবার বিভিন্ন। কোনো সার্ভার কম্পিউটার শক্তি ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য কাজ করে।

কোনোটা আবার কাজ করে নির্দিষ্ট সেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। ব্যবহারকারীরা বিভিন্নধরনের তথ্যও রাখতে পারেন ক্লাউডে।
আপনি যদি স্মার্টফোনে তোলা কোনো ছবি ফেইসবুকে বা ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেন, তবে তা আপনি ক্লাউডেই রাখছেন। তবে আপনি যদি স্মার্টফোনে তোলা ছবি সেখানেই রাখেন, তবে আপনি ক্লাউড ব্যবহার করছেন না। ক্লাউডিংয়ের জন্য ব্যবহারকারীর হার্ডডিস্কের প্রয়োজন নেই।


ভাবছেন, আপনি এখনও ক্লাউডে যোগ দেননি? আপনি কি জিমেইল, ইয়াহু মেইল হটমেইল বা এই শ্রেণির কোনো ওয়েবভিত্তিক ইমেইল সেবা ব্যবহার করেছেন? উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনিও ক্লাউড ব্যবহারকারী।
নানা কারণেই বিভিন্ন সেবা ক্রমশ হচ্ছে ক্লাউডভিত্তিক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সফটওয়্যার নির্মাতা অ্যাডোবি তাদের ক্রিয়েটিভ সার্ভিস ক্লাউডে স্থানান্তর করেছে। এর ফলে আপনি ফটোশপ বা ইনডিজাইনের মতো ক্রিয়েটিভ সুটের বক্স কিনতে পারবেন না। এর বদলে মাসিক একটি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট সার্ভিস নিতে হবে।

এ কারণেই তারা এ সেবার নাম দিয়েছে, ‘অ্যাডোবি ক্রিয়েটিভ ক্লাউড’।

ক্লাউডের সুবিধা
কোনো তথ্য সংরক্ষণ করতে আপনি যদি একটি হার্ডডিস্ক ব্যবহার করেন, তবে তা একসময় নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু ক্লাউডে এ সমস্যা নেই। ক্লাউডে তথ্য সংরক্ষণ করতে আপনার নিজের আলাদা সার্ভার বা হার্ডডিস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। এ জন্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট সময় পরপর একটা ফি দিলেই হয়।

ক্লাউডিং ব্যবহার করে বছরে হাজার হাজার ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব।
ক্লাউডের আকার
ক্লাউডের আকার কতটুকু বা সর্বোচ্চ কী পরিমাণ তথ্য রাখা যাবে তা অনেকেরই ধারণার বাইরে। ক্লাউডে এক ‘এক্সাবাইট’ ডেটা সংরক্ষণ করা যাবে। এক এক্সাবাইট হচ্ছে ৪২ লাখ ম্যাকবুক প্রো ডিভাইসের হার্ডডিস্কের সমান।
ক্লাউডের নিরাপত্তা
ক্লাউডিংয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য রাখতে অনেক মানুষ বিব্রতবোধ করেন।

  ক্লাউড সার্ভিস ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছে সার্চ জায়ান্ট গুগল। এ ক্ষেত্রে অবশ্য যেসব ব্যবহারকারী গুগলকে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করবে, তাদের তথ্যের নিরাপত্তাই দেওয়া হবে।

ক্লাউডের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
১৯৫০ সালে মেইনফ্রেম কম্পিউটার খুবই ব্যয়বহুল ছিল। সে সময় অফিসের প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে মেইনফ্রেম কম্পিউটার কেনা সম্ভব ছিল না। তাছাড়া এ কম্পিউটার রাখতে অনেক জায়গার প্রয়োজন হত।

তখন নির্মাতারা টাইম শেয়ারিং মেথড উদ্ভাবন করেন।   টাইম শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে কয়েকজন ব্যবহারকারী একই কম্পিউটারে কাজ করার সুযোগ পেত।
পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের পরিবর্তন আসে। অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি নেটওয়ার্ক (আরপানেট) উদ্ভাবনের পর কিছুদিন যে কোন জায়গা থেকে ব্যবহারকারীরা এতে প্রবেশ করতে পারতেন। ৯০ দশক পর্যন্ত ইন্টারনেটে ব্যান্ডউইথ কম থাকায় ক্লাউডিং সহজলভ্য ছিল না।


প্রফেসর রামনাথ চিল্লাপ্পা ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে প্রথম ক্লাউড কম্পিউটিং টার্ম ব্যবহার করেন। ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে ‘সেলসফোর্স’ ইন্টারনেটে প্রথম অ্যাপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়।
২০০৬ সালে অ্যামাজন এডব্লিওএস নামে প্রথম অফিসিয়ালি ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম শুরু করে। ওয়েবসাইটে অনলাইন সর্ভিস বা ক্লায়েন্ট সাইট অ্যাপ্লিকেশন সুবিধা প্রদান করে অ্যামাজন। ইন্সটাগ্রাম এবং পিন্টারেস্ট সাইটের মতো সোশাল মিডিয়া সাইট অ্যামাজনের কাছে ডেটা হোস্ট করে।

বিশ্বব্যাপী ১৯০টি দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউডিং সুবিধা ব্যবহার করে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.