ধংসের দ্বারপ্রান্তে সভ্যতা
কিছুদিন পূর্বের একটা ব্লগ দেখলাম, একজন ব্লগার লেসবিয়ানদের ব্যাপারে আল কুরআনের বিধান জানতে চেয়েছেন, তার সন্দেহ যেহেতু কুরআনে পুরুষ পুরুষে যৌনকর্মের (গে) ব্যপারে আলোচনা হয়েছে কিন্তু লেসবিয়ানদের ব্যপারে কিছুই বলা হয় নাই তাই এটা বৈধ হলেও হতে পারে।
আসলেই কি তাই ? আসুন দেখি আল কুরআন কি বলে এ ব্যপারে। লেসবিয়ান কে যদি আপনারা অশ্লীলতা হিসেবে স্বীকার করেন তবে নীচের আয়াতগুলা দেখতে পারেন।
১) সূরা আল-আনআম, আয়াত নং ১৫১: আর অশ্লীল কাজ ও কথার নিকটেও যেও না, তা প্রকাশ্যেই হোক আর গোপনে হোক।
২) সূরা আল-আ'রাফ, আয়াত নং ২৮ : যখন তারা কোন নিকৃষ্ট ও অশ্লীল কর্ম করে তখন তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদেরকে এসব কাজ করতে পেয়েছি এবং আল্লাহও আমাদের এটা করতে নির্দেশ দিয়েছেন, হে মুহাম্মাদ (সা) তুমি ঘোষনা করে দাও যে, আল্লাহ অশ্লীল ও নিকৃষ্ট কর্মের নির্দেশ দেন না।
৩) সূরা নাহল, আয়াত নং ৯০ : নিশ্চই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা,সদাচারন ও আত্নীয়কে দানের নির্দেশ দেন ও নিষেধ করেন অশ্লীলতা, অসৎকার্জ ও সীমালংঘন।
৪) সূরা আল-আ'রাফ, আয়াত নং ৮০ : আর আমি লূত (আ) কে নবুয়ত দান করে পাঠিয়েছিলাম, যখন তিনি তার সম্প্রদায়কে বলেছিলেন, তোমরা এমন অশ্লীল ও কুকর্ম করছ যা তোমাদের পূর্বে কখনও কেউ করেনি। (লক্ষনীয় যে, লূত (আ) এর ক্বওম পুরুষে পুরুষে কুকর্ম করলেও এখানে আরবী শব্দ "ফাহেশা " অর্থাৎ অশ্লীল শব্দটি এসেছে যার মানে যে কোন ধরনের অশ্লীলতা হতে পারে কেননা কুরআন অর্থের দিক দিয়ে ব্যপকতা রাখে)।
৫) সূরা মু'মিনূন, আয়াত নং ১-৫,৬,৭ : অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মু'মিনগন, যারা নিজেদের যৌন অংগকে সংযত রাখে। নিজেদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীগন ব্যাতীত, এতে তারা নিন্দনীয় হবে না।
সুতরাং কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা হবে সীমালংঘনকারী। (এখানে মুমিনগনের সাথে সাথে মুমিন মহিলারাও সম্মন্ধিত)।
৬) সূরা রুম, আয়াত নং ২১ : এবং তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্যে হতে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সংগিনীদেরকে যাতে তোমরা তাদের নিকট শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পারিক ভালবাসা ও দয়া সৃ্ষ্টি করেছেন।
৭) সূরা নিসা, আয়াত নং ১১৯ : এবং নিশ্চই আমি তাদেরকে পথভ্রান্ত করব, মিথ্যা আশ্বাস দেব এবং তাদেরকে আদেশ করব যেন তারা পশুর কর্ন ছেদন করে এবং তাদেরকে আদেশ করব যেন তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে এবং আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শয়তানকে বন্ধুরুপে গ্রহন করে।
(এই আয়াতটির প্রেক্ষাপট হল, যখন ইবলিস আদম (আ) কে সেজদা না করার কারনে আল্লাহ যখন ইবলিসকে অভিস্ম্পাত দিলেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিলেন তখন সে উপোরল্লিখিত ওয়াদা গুলো আল্লাহর সাথে করেছিল।
বোল্ড করা স্থানে দেখুন সে আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার ওয়াদা করেছিল, লেসবিয়ান কি আল্লাহর সৃষ্টি পরিবর্তন কারী নয়। আল্লাহ নারী পুরুষ সৃষ্টি করেছেন বিপরীত লিংগের জন্যে ( উপরের সুরা রুমের আয়াত দেখুন)।
আশা করি কুরআ'ন থেকে সমাধান জানতে পারলেন, এরপরও যদি মনে করেন স্পষ্ট করেতো কোথাও লেখা নেই নারীতে নারীতে কুকর্মের কথা তবে আমি বলব কুরআনে পর্নোগ্রাফী দেখা, পশুর সাথে মানুষের যৌনকর্মের মত ব্যাপারেও আপনি স্পষ্ট করে কিছু পাবেন না
মোটকথা অশ্লীল, বিকৃত কার্যকালাপ এখন পর্যন্ত যা কিছু বেরিয়েছে আর কেয়ামত পর্যন্ত যা কিছু আসবে সবকিছুর ব্যপারে আপনি উপরের আয়াতগুলোতে সমাধান পাবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।