আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মরুজীবন-৪: কাবুলিওয়ালা বিশালদেহী পাঠান

দ্য কাপালিক ইজ ব্যাক

পাকিস্তানের পেশোয়ার প্রদেশের লোকদের বলা হয় পাঠান। এদের সবার বংশ খাঁন। পোশাক কাবুলিসেট। খাবার রুটি। আর সে রুটির যে সাইজ, বাঙ্গালী দেখলেও হার্ট-ফেইল করার কথা, একটা খাওয়া তো দূরের কথা।

এ রুটির নামই পাঠান রুটি। পাকিস্তানের যত লোক কাতারে আছে তার নব্বই ভাগই পাঠান। এরা বিশাল দেহের অধিকারী। সম্ভবত এ কারনেই মাথায় বুদ্ধি কম। কোন কিছু যতক্ষন সোজা আছে ঠিক আছে, একটু বাঁকা হলেই এদের মাথা গরম হয়ে যাবে! আরবদের বাইরে এরাই বোধ হয় প্রথম এদেশে এসে হাজির হয় কাজের খোঁজে।

প্রায় ৬০/৭০ বছর আগে জাহাজে করে। শিক্ষার আলো এদের মধ্যে এখনো এসে পৌঁছেনি। সবাই অশিক্ষিত। এ কারনে সবাই লেবার। এদেশের ভারী ভারী যত কাজ আছে সব এরা করে।

বুলড্রেজার, পকলিন, জ্যাক হ্যামার এগুলো সব এরাই চালায়। বড় বড় ট্রাক, লড়ির ড্রাইভারও বেশির ভাগ এরাই। এদের প্রায় সবারই গাড়ি আছে। রাস্তায় দাদার আমলের যত গাড়ি দেখা যায় সবগুলোর মালিক পাঠানরা। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছোট ছোট টং দোকানের মতো আছে সিটি কর্পোরেশনের, যেগুলো আসলে মুচির দোকান।

এগুলোর সব মুচিই পাঠান। এছাড়াও অবৈধ ট্যাক্সিগুলোর বেশিরভাগই চালায় পাঠানরা। মজার ব্যাপার হচ্ছে কাতারে যত পাঠান আছে তার বেশির ভাগই বয়স পঞ্চাশের উপরে। কিন্তু হলে কি হবে, ভীষণ শক্ত শরীর। কম বয়সী পাঠান এখানে খুবই কম দেখা যায়।

একেক জন ৩০/৪০ যাবতও আছে এদেশে। সবাই মসজিদে গিয়ে জামাতে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, লম্বা দাড়ি রাখে। একেকটা এলাকাই আছে পুরো পাঠানদের দখলে। এসব জায়গায় কোন মসজিদে আজানের দশ মিনিট পড়ে গেলে আর জায়গা পাওয়া যায় না। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, এরা গন হারে Gay।

কম বয়সী ছেলে দেখলেই প্রেমে পড়ে যায়। ফজরের নামাজ পড়েই এরা কাজে বেরিয়ে যায় এবং যোহরের আজান দিলে কাজ শেষ। এর পর কোটি টাকা দিলেও এদের দিয়ে আর কাজ করানো সম্ভব না। ছবির লিঙ্কঃ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।