আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লালমনিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের আধিপত্য

যে জাদু দেখায় সে জাদুকর আর যে স্বপ্ন দেখায় সে . . . গত ২৮ জানুয়ারী অপু ভাইয়ের through তে আমি আর রাশেদ লালমনিরহাট গিয়েছিলাম শীতের কাপড় দিতে। ঢাকায় ঠান্ডা কম হলেও লালমনিতে এখনো বেশ ঠান্ডা। ওখানকার স্থানীয় এক মাদ্রাসার টিচার হুসেন ভাইয়ের সাথে মিলে সারাদিনে প্রায় ১২০ টি কম্বল দেয়া হয়েছে। আগের ও পরেরদিন মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কম্বল দেয়া হল। আলহামদুলিল্লাহ, বেশ ভালোই হয়েছে পুরো কার্যক্রম।

শীতের কাপড় দিতে গিয়ে যেই জিনিসটা লালমনিতে বেশি চোখে পড়ল তা হলো খ্রিস্টান মিশনারীদের আধিপত্য। 'ধর্ম নিরপেক্ষ' বাংলাদেশে খ্রিস্টানরা তাদের ধর্মপ্রচার করতেই পারে। কিন্তু ব্যাপারটা শুধু এতটুকুতে সীমাবদ্ধ থাকলে হত। লালমনিতে দেখলাম খ্রিস্টানদের পরিচালিত নানারকম সংগঠন এমনকি ইসলামিক সেন্টার, মসজিদও আছে। সেখানে মুসলমানদের খ্রিস্টবাদ মিশ্রিত বিকৃত ইসলামের দাওয়াত দেয়া হয়।

তাদের কিছু বই দেখে তো আমার চোখ কপালে। কুরআনের আয়াত আর হাদীসে ভরা কিছু কিছু বই দেখে অনেক মুসলিমই বোকা বনে যাবে। অথচ পুরা বই সেইসব কুরআন আর হাদীসের অপব্যাখ্যায় ভর্তি। আর বাকি বইগুলো ভরা শিরক-কুফরীতে। এইসব বই পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে একজন ভালো মুসলিম হয়েও আপনি খ্রিস্টান হতে পারবেন, কিভাবে কুরআনে আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে বাইবেল প্রতিষ্ঠা করতে বলেছেন, আরো কত কি! কোটি কোটি টাকা খ্রিস্টানরা সেখানে খরচ করছে তাদের দাওয়াতের কাজে।

টাকার লোভ দেখিয়ে সেখানে গরিব মুসলিমদের খিস্টান বানানো হচ্ছে। আর যথাযথ জ্ঞানের অভাবে টাকার বিনিময়ে সেখানকার গরিব লোকগুলো তাদের দ্বীন বিক্রি করে দিচ্ছে। বানানো হচ্ছে মিশনারী স্কুল যেখানে মুসলিম ছেলে-মেয়েরা পড়ছে। পড়ার ফাঁকে ধীরে ধীরে মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে খ্রিস্টবাদের বিষ। গরিব ছেলে-মেয়ের জন্য তাদের আরেক অভিনব আবিস্কার হলো 'বন্ধু'! এখানে স্কুলের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে পরিচিত করিয়ে দেয়া হয় এক বন্ধুর সাথে যে কিনা আমেরিকা, ইংল্যান্ড বা ইতালিতে বসে সেই ছেলে বা মেয়ের ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত থাকা, খাওয়া ও চিকিত্সা সহ সব খরচ বহন করবে।

এসবের বিরুদ্ধে কিছু বললেই মিশনারীরা আপনার নামে জে.এম.বি মামলা ঠুকে দিবে। আর জে.এম.বি-র মামলার কথা শুনলে পুলিশদেরও চোখ বড় বড় হয়ে যায়। তারপরও ঝুকি নিয়ে হুসেন ভাই লোকটা প্রায় একাই কাজ করে যাচ্ছেন। লালমনি শহরে একটা মাদ্রাসা দেয়ার টাকা না থাকলেও তিনি থেমে নেই। সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন স্কুল-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার, অজ পাড়া গায়ে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দেয়ার।

ভাবি কি হলো আজ আমাদের যে আমরা কিছুই করতে পারি না? পারি না সেখানে গিয়ে মানুষদের ইসলামের দাওয়াত দিতে, পারি না কিছু টাকা দিয়ে লালমনি শহরে মাদ্রাসার জন্য একটু জমি কিনে দিতে। আফসোস লাগে ... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.